সরু রাস্তায় বড় সেতু, হয়নি সংযোগ সড়ক
Published: 6th, February 2025 GMT
নান্দাইল উপজেলায় সাড়ে তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দুই বছর আগে নির্মিত সেতুটি এখনও সংযোগ সড়কবিহীন। সরু কাঁচা রাস্তায় সেতু নির্মাণের কারণে মানুষের পুরোপুরি কাজে আসবে না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
নান্দাইল-তাড়াইল পাকা সড়কের দরিল্লা গ্রাম থেকে একটি কাঁচা রাস্তা রাজগাতী ইউপির দাসপাড়া গ্রামের ভেতর দিয়ে দাসপাড়া মোড়ে আমলীতলা-কালীগঞ্জ বাজার পাকা সড়কের সঙ্গে মিলেছে। সাড়ে তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের উঁচু-নিচু দরিল্লা-দাসপাড়া সরু রাস্তাটির মাঝখানে রয়েছে সুখাইজুড়ি নদী। প্রায় দুই বছর আগে এ নদীর ওপর স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করে, যা দাসপাড়া সেতু নামে পরিচিত। কিন্তু সংযোগ সড়কের অভাবে এতদিনেও সেতুটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে পুরো কাঁচা রাস্তার মাঝখানে বড় সেতু নির্মাণ হলেও বর্ষাকালে সড়ক ও সেতুটি কাজে আসবে না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ফলে ব্যয়বহুল সেতু নির্মিত হলেও এ অঞ্চলের চারটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে না।
সরেজমিন দেখা গেছে, ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির ওপর স্থানীয়দের গোবর শুকানোর পাশাপাশি ঠিকাদারের কিছু নির্মাণসামগ্রী রাখা আছে। উঁচু সেতুটির দুই পাশে নিচু বালুময় সংযোগ সড়কে হাঁটতে গেলে পা দেবে যায়। সড়ক তৈরির জন্য কাটা মাটি বৃষ্টির পানিতে নদীতে চলে যাওয়ার চিহ্ন স্পষ্ট। সেখানে বিশ্রামরত কয়েকজন শ্রমিক দেখে জানতে চাইলে বলেন, তারা সেতুটির উভয় পাশে কিছু অংশে ইট বিছিয়ে সংযোগ সড়ক তৈরির কাজ করতে এসেছেন। রাস্তার বাকি অংশ কাঁচাই থাকবে।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি যদি কাঁচাই থাকে, তাহলে সেতু নির্মাণেও তাদের দুর্ভোগ কমবে না। তাই তারা কাঁচা রাস্তায় বড় সেতু নির্মাণের কারণ বুঝতে পারছেন না।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আলীম উদ্দিনের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, দুই বছর ধরে সংযোগ সড়কের অভাবে লোকজন চলাচল করতে পারছে না।
স্থানীয় বিল ভাদেড়া গ্রামের পথচারী ইব্রাহিম জানান, আশপাশের ১০টি গ্রামের মানুষ শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো, আবার বর্ষায় নৌকা দিয়ে নদীটি পার হতো। দুই বছর আগে এখানে সেতু নির্মাণ হলেও এখন পর্যন্ত সংযোগ সড়ক হয়নি। এখন কিছু সামান্য অংশে ইট বিছিয়ে সংযোগ সড়ক করা হবে বলে শুনেছেন; কিন্তু বাকি তিন কিলোমিটার রাস্তা কাঁচাই থেকে যাচ্ছে। এতে তাদের কষ্ট পুরোপুরি শেষ হবে না।
দাসপাড়া মোড়ের বাসিন্দা তোতা মিয়া বলেন, ‘এইহানে অত বড় বিরিজ (সেতু) অইব এইডা আমরা জীবনেও ভাবছি না। হইছে বালা (ভালো) হইছে; কিন্তু এই বিরিজ তো বর্ষাকালে আমরার কোনো কাজে লাগত না।’
ইজিবাইক চালক রাজু মিয়া জানান, রাস্তাটি পাকা করে তার পর সেতু নির্মাণ করা উচিত ছিল।
এ বিষয়ে এলজিইডির নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদ আহমেদ বলেন, ইট বিছিয়ে সেতুটির উভয় পাশের কিছু অংশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তার সামান্য অংশে ইট বিছানো হলেও বাকিটুকু কাঁচাই থেকে যাবে। এতে সেতুটি কতটুকু কাজে আসবে? এ প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, বাকিটুকু পরে অন্য কোনো প্রকল্প থেকে করে দেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স য গ সড়ক দ ই বছর ইট ব ছ সড়ক র
এছাড়াও পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।
আরো পড়ুন:
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।
বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।
তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।
৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।
ঢাকা/আমিনুল