কোন অপশক্তি আমাদের এই ঐক্যের ফাটল ধরাতে পfরবে না : রাজীব
Published: 11th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেছেন, আমি জাতীয়তাবাদী দলের একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে আপাদেরকে বলতে চাই জাতীয়তাবাদী দলের হয়ে যারা কাজ করেছেন অবশ্যই আপনাদের পত্যেকেই রাজনৈতিক ভাবে মূল্যায়ন করবে। কোন অপশক্তি আমাদের এই ঐক্যের ফাটল ধরাতে পরবে না।
আপনাদের অবদানের কারণেই আজকে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের যে লক্ষ গণতন্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া সেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে এখনো পৌঁছাতে পারি নাই। তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
মঙ্গলবার ( ১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের মিশনপাড়া হোসিয়ারি সমিতি প্রাঙ্গনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
রাজীব বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদের আন্দোলনে যে আত্মত্যাগ আপনারা করেছেন। প্রত্যেকটা নেতাকর্মী মামলা কেয়েছেন, দিনের পর দিন জেলে খেটেছেন। পরিবার থেকে আলাদা থাকতে হয়েছে। আপনাদের আমাদের সকলের চেষ্টায় স্বৈরাচারী সরকারকে সৃষ্টি কর্তা এদেশে থেকে মুক্ত করেছে। যার অবদান সবথেকে বেশি আপনাদের।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটি আধুনিক রাষ্ট্র ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন। এই কর্মসূচি নির্ভর করবে আপনার আমার কর্মের উপরে।
রাজীব দলীয় নেতকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, মনে রাখতে হবে আপনারা যে যেখানে আছেন, ওয়ার্ড, ইউনিয়নে প্রত্যেকে জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিনিধি। ওইখানের নেতা শুধু আপনেই। আপনাকে দেখেই নারায়ণগঞ্জের মানুষ চিন্তা করবে জাতীয়তাবাদী দল সাদকরণ মানুষের জন্য কি করবে। সে ক্ষেত্রে আমার যেমন দায়িত্ব রয়েছে আপনারও সমান দায়িত্ব রয়েছে।
কিছু মানুষ রয়েছে যারা দীর্ঘ ১৭ বছর ত্যাগ শিকার করেছে, তারা অনেক সঞ্জমে চেষ্টা করেছে, কোন অবস্থাতেই যেন দলের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয়। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, সুযোগ সনদানী লোকজন আমাদের কিছু দুর্বলতার কারণে আমাদের মধ্যে মিশে জনগণের মাঝে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে, সেবিষয়ে সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এসময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হওয়ায় জেলা বিএনপির আওতাধীন সকল ইউনিটসহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, মৎস্যজীবী দলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এদিকে বিকেল নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম ভিপি রাজিবের নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে শহরে আনন্দ মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। আনন্দ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চাষাড়া চত্বর ঘুরে মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে এসে শেষ হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল র ন ত কর ম আপন দ র ব এনপ র আম দ র আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ পাকিংয়ে তীব্র যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যানজট। এ যানজটের কারণে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা পেরুতে সময় লেগে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। ফলে প্রতিনিয়ত চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে নারায়ণগঞ্জবাসীকে।
নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগ কিংবা সিটি কর্পোরেশন এ যানজট থেকে জেলাবাসীকে পরিত্রাণ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে দিন যতই বড়ছে ততই বাড়ছে নারায়ণগঞ্জবাসীর দুর্ভোগ।
নারায়ণগঞ্জে এমন কোন সড়ক নাই সেই সড়কে যানজট নাই। মূল সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলি সব জায়গায়ই যানজট আর যানজট। তবে এ যানজটের পেছনে মূল সড়কের যানজটকেই দায়ি করছেন অনেকে।
তারা বলছেন, মূল সড়ক যদি যানজট মুক্ত থাকতো তাহলে এর আশেপাশের সড়কগুলো যানজটের সুষ্টি হতো না। মূল সড়কে তীব্র যানজটের কারণেই এর প্রভাব পড়ছে অন্য সড়কগুলোতেও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে শহরের চাইতে চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণে করেছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচলের কথা শুনলেই মানুষ আতকে উঠে। কারণ, যানজটের মাত্র পনেরো মিনিটের রাস্তা পাড় হতে সময় লাগে ঘন্টার পর ঘন্টা।
এ রাস্তায় এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীকেও যানজটে আটতে থাকতে দেখা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। একবার যানজটে আটকা পড়লেই দিন শেষ। কখন বাড়ী কিংবা অফিসে যাবেন তার কোন ঠিক নেই।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, এ যানজটের প্রধান কারণ হচ্ছে পঞ্চবটি-মুক্তারপুর ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ। ফ্লাইওভারের কর্মযজ্ঞের ফলে যানবাহনগুলোকে একটু ধীর গতিতে যেতে হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
তবে এ যানজটের আরও একটি বড় কারণ চোঁখে পড়ে, আর তা হলো পঞ্চবটি এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে এবং চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশে ট্রাক ও কভার্ডভ্যানগুলো অবৈধভাবে পাকিং করে রাখা।
এসব যানবাহনগুলো সড়কের দু’পাশে পার্কিং করে রাখার কারণে মূল সড়ক অনেকটাই সরো হয়ে যায়। ফলে এ সড়ক দিয়ে অন্যসব যানবাহনগুলো ঠিকমত চলাচল করতে পারে না। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
অথচ, পঞ্চবটির খুব কাছেই রয়েছে ট্রাক ও কভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড। যানবাহনের চালকরা ওই স্ট্যান্ডে গাড়ী না রেখে সড়কের পাশে অবৈধভাবে বাঁকাত্যাঁড়া গাড়ীগুলো রাখছেন। এর ফলে যে, ওই সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এবং যানজটের কবলে পড়ে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, এ বিষয়ে যেন তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
তাদের ভাব-নমুনা দেখা মনে হয় যে, তারাই যেন এ সড়কটির মূল মালিক। না পুলিশে তাদের কিছু বলে, না তারা জনগণের কোন কথা শোনে। তারা তাদের ইচ্ছেমত গাড়ীগুলো রেখে যানজটের সৃষ্টি করছেন।
চাষাঢ়া-পঞ্চবটি সড়কে চলাচল করা ভুক্তভোগী পথচারিরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করাটা বর্তমানে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এত ভয়াবহ যানজট আমরা কখনোই চোঁখে দেখিনি। পঞ্চবটি ফ্লাইওভারের নিচে যেভাবে ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো রাখা হয় পুরো সড়কটা তারা কিনে নিয়েছে। পুলিশও কিছু বলে না।
এছাড়া চাষাঢ়া থকে পঞ্চবটি পর্যন্ত পুরো সড়কে দু’পাশেই তারা গাড়ীগুলো রাখছেন। রাস্তাটি পাশে এমনিতেই জায়গা কম, আবার যদি তারা এভাবে গাড়ী রাখেন তাহলে যানজটের সৃষ্টিতো হবেই। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সচেতন মহল বলেন, আসলে নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে ট্রাক স্ট্যান্ডটি সরিয়ে নেয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আইভী একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিনি শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে পঞ্চবটি এলাকাতে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ট্রাক স্ট্যান্ড গড়ে তোলেন এবং সেখানে এ স্ট্যান্ডকে স্থানান্তর করেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
এখন তারা কিছু গাড়ী ওই স্ট্যান্ডে রাখে বাকি গাড়ীগুলো সড়ক দখল করে এলোপাথারিভাবে রাখে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলেও যেন কারো কোন কিছু বলার নেই। কারণ, এ সমস্যা নিয়ে বহুবার ডিসি-এসপির সাথে বসা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে কিন্তু সুরাহা হয় নাই।
তবে, ৫ আগস্টে দেশে একটি বড় পরিবর্তনের পর আশা করছিলাম এবার হয়তো এর একটা সুরাহা হবে। কিন্তু না। সড়ক দখল করে রাখা ট্রাক-কভার্ডভ্যানগুলো বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে মানুষকে বাধ্য হয়েই যানজটের মত দুর্ভোগ দুর্দশাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।
তারা বলেন, আসলে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য সেদিন ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এতবড় একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলো। কিন্তু দেশের মানুষ যদি সেই শান্তি শৃঙ্খলা ভোগই করতে না পারে, তাহলে এত প্রাণ দিয়ে কি লাভ হলো?
আমরা জানিন না, প্রশাসন আসলে কাদেরকে খুশি করাতে চাচ্ছেন? মুষ্টিম কিছু চালকদের জন্য হাজার হাজার মানুষের এ কষ্ট কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি করবো, তারা যেন খুব শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়। নারায়ণগঞ্জবাসীকে যেন কিছুটা স্বস্তি দেয়।
এ বিষয়ে টিআই করিম বলেন, ৫ আগস্টের পর নারায়ণগঞ্জে যানজটের যে ভয়াবহতা সৃষ্টি হয়েছিলো বর্তমানে তা কমে আসছে। আশাকরছি, আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। পঞ্চবটি সড়কে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য এ রুটে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এমতাবস্তায় যদি কোন চালক রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গাড়ী পার্কিং করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।