হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্য ঘোষিত কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ আখ্যা দিয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই কমিটি বাতিলের দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে নবগঠিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক সাকিব অভিযোগ করে বলেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমার সংগ্রাম, ত্যাগ ও আত্মত্যাগ হবিগঞ্জবাসী জানে। অথচ কমিটিতে পদ কেনাবেচার মাধ্যমে অযোগ্যদের স্থান দেওয়া হয়েছে। আমাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ না দিয়ে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে, কারণ আমি টাকা দিইনি। অথচ যারা অর্থের বিনিময়ে পদ কিনেছেন, তারা আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন।”

তিনি বলেন, “নবগঠিত কমিটিতে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের স্থান দেওয়া হয়েছে। আহ্বায়ক করা হয়েছে ছাত্রদল সংশ্লিষ্ট আরিফ তালুকদারকে, সদস্যসচিব হয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মাহদি, আর মুখ্য সংগঠক হিসেবে শিবির কর্মী সুজনকে রাখা হয়েছে। ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদেরও পুনর্বাসন করা হয়েছে, যা গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।”

এনামুল হক সাকিব বলেন, “কমিটিতে নারী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি চরম বৈষম্য করা হয়েছে। ২২৪ সদস্যের মধ্যে ২০০ জন পুরুষ, ২৪ জন নারী এবং মাত্র একজন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী রয়েছেন। অথচ গণঅভ্যুত্থানে নারী ও সংখ্যালঘুদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। এছাড়া, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বানিয়াচংয়ের ছয়জন শহীদ হলেও কমিটিতে তাদের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি।”

তিনি বলেন, “এই কমিটি হবিগঞ্জবাসীর সঙ্গে প্রতারণা এবং গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী। তাই আমি ও আমার ৪৫ জন সহযোদ্ধা এই কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি এবং হবিগঞ্জের মাটিতে এই ‘পকেট কমিটি’র কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না।”

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন নবগঠিত জেলা কমিটির সহ-সদস্যসচিব সুরাইয়া সামান্থা পুষ্পিতা, সদস্য শেখ হৃদয়, শফিকুল ইসলাম মান্না, ইশতিয়াক আহমেদ, বাহুবল উপজেলার সমন্বয়ক আরাফাতুজ্জামান শাওন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হবিগঞ্জ জেলা শাখার ২২৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওইদিনই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে হবিগঞ্জ শহরসহ কয়েকটি স্থানে ঝাড়ু মিছিল বের করা হয়।

ঢাকা/আজহারুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ট ত ত কম ট সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।

শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাগরিক সমাজ শাসকদের পক্ষে থাকে কেন?
  • সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জাসাস’র ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন
  • আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি