Samakal:
2025-07-31@07:23:58 GMT

ক্রেতার সারি দীর্ঘ, বরাদ্দ কম

Published: 6th, March 2025 GMT

ক্রেতার সারি দীর্ঘ, বরাদ্দ কম

কম দামে চাল, ডাল, তেল ও আলু বিক্রি হচ্ছে এমন খবর শুনে বৃহস্পতিবার বগুড়া শহরের কালিতলাহাটে লাইনে দাঁড়িয়েছেন বিউটি বেগমসহ প্রায় সাতশ মানুষ। সেখানে ট্রাকে করে সাশ্রয়ী দামে পণ্য বিক্রি করছিল সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সারি দীর্ঘ হলেও এ পয়েন্টে পণ্য বরাদ্দ হয়েছে চারশ মানুষের জন্য। 
বিউটি বেগম জানান, তাঁর স্বামী একটি বেসরকারি কোম্পানীর তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। যে টাকা আয় করেন তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম অবস্থা। তাই বাধ্য হয়ে টিসিবির পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এখন লাইনের যে অবস্থা তাতে পণ্য কিনে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। 
শহরের জেলখানা মোড়েও মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। কথা হয় বউবাজার এলাকার আমেনা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, স্বামী সবজি বিক্রি করেন। রোজায় শাকসবজির চাহিদা কম থাকায় বিক্রি তেমন হচ্ছে না। তাই টিসিবির পণ্য কিনতে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনিও শেষ পর্যন্ত পণ্য কিনতে পারবেন কিনা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। 
গতকাল বগুড়া শহরের কয়েকটি এলাকায় দীর্ঘ সারি দেখা যায় টিসিবির ট্রাকে সেল করা টিসিবির পণ্যের ক্রেতার। কোনো কোনো এলাকায় পণ্য নিতে এসে না পেয়ে খালি হাতে ফিরে গেছেন অনেকে। সেউজগাড়ি ফুলতলা বাজারে পণ্য নিতে আসা এক শ্রমিক বলেন, কাজ বাদ দিয়ে ৩ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে কিছুই কিনতে পারলাম না। পণ্য শেষ হয়ে গেছে। 
সপ্তাহে একদিন করে পর্যায়ক্রমে শহরের ২০টি পয়েন্টে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হয়। প্রতি পয়েন্টে ৪০০ জন ক্রেতা এই পণ্য কেনার সুযোগ পাবেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শহরের কালিতলা, জেলখানা মোড়, সেউজগাড়ি ফুলতলা বাজার, মালতিনগর বটতলা পয়েন্টে পণ্য বিক্রি করা হয়। পণ্যের মধ্যে ছিল ছোলা, চিনি, মশুরের ডাল ও সোয়াবিন তেল। ৪৫০ টাকায় প্যাকেজে থাকছে ১০০ টাকা করে ২ লিটার সোয়াবিন তেল, ৬০ টাকা দরে ২ কেজি মশুরের ডাল, ৭০ টাকা কেজি চিনি ও ৬০ টাকা কেজি ছোলাবুট।  কালিতলাহাট পয়েন্টে টিসিবি পণ্য বিক্রি করে বিসিক ফুলবাড়ি এলাকার মেসার্স মম ট্রেডাস। 
এ প্রতিষ্ঠানের ডিলার শরিফুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে দীর্ঘ সারি ছিল আমার পয়েন্টে। ক্রেতা বেশির ভাগই মধ্যেবিত্ত পরিবারের। বরাদ্দ ছিল ৪০০ জনের কিন্তু লাইনে ছিলেন অন্তত ৭০০ জন। বাকিরা খালি হাতে ফিরে গেছেন। 
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান সহকারী পরিচালক সাদ্দাম হোসাইন বলেন, প্রতিদিন একেকটি ট্রাকে ৪০০ জনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। যে আগে লাইনে দাঁড়াতে পারবেন তিনি আগে মালপত্র পাবেন। স্বল্প বরাদ্দের কারণে অনেককেই খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর দ দ শহর র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ