সিরিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত যোদ্ধাদের সঙ্গে দেশটির বর্তমান প্রশাসনের নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া ডট নেট এ তথ্য জানিয়েছে।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বলেছে, সিরিয়ার উপকূলে প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদস্য এবং পতিত সরকারের জঙ্গিদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও অতর্কিত হামলায় ৭০ জনেরও বেশি নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।

এর আগে বলা হয়েছিল, উপকূলীয় শহর জাবলেহ এবং আশেপাশের গ্রামগুলোতে বৃহস্পতিবার সরকারি বাহিনী এবং আল-আসাদের অনুগতদের মধ্যে সংঘর্ষে ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। দেশটিতে গত ডিসেম্বরে বাশার আল আসাদের পতনের পর এটিই সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা।

লাতাকিয়া প্রদেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মুস্তাফা নাইফাতি বলেছেন, ‘‘জাবলেহ এলাকায় টহলদার বাহিনীকে লক্ষ্য করে বাসার আল আসাদের কয়েকটি দল পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে আমাদের অবস্থান এবং চেকপয়েন্টগুলোতে আক্রমণ করেছে। এতে আমাদের বাহিনীর অসংখ্য মানুষ শহীদ এবং আহত হয়েছেন।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনব এবং আমাদের জনগণের সম্পত্তি রক্ষা করব।’’

ঢাকা/নাসিম

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ