নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার দুইদিন পর ধনু নদী থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয় বলে জানান নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- জেলার আটপাড়া উপজেলার রূপচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে শহিদ মিয়া (৪৮), মদন উপজেলার বাগজান গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রুকন মিয়া (৪৫) ও কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে হৃদয় মিয়া (৩২)। 

আরো পড়ুন:

ট্যাপ থেকে বের হচ্ছিল রক্তযুক্ত পানি, ট্যাংকে পাওয়া গেল লাশ

ঘরে বৌ-শ্যালিকার লাশ, যুবক লাপাত্তা

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ শিকারিরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালিয়াজুরি উপজেলার বিভিন্ন জলমহালে পলো দিয়ে মাছ শিকার করছিলেন। গত শনিবার সকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলার সহস্রাধিক মাছ শিকারি পলো ও লাঠি নিয়ে একটি জলমহালের মাছ শিকার করতে যান। ধনু নদের রসুলপুর ঘাটে ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপ রেখে নদ পার হতে ফেরি নৌকায় যেতে চাইলে রসুলপুর গ্রামের লোকজন মাছ শিকারিদের বাধা দেন। এরই জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এসময় দুই পক্ষের অনেকে আহত হন। কিছু দোকান, ঘর, যানবাহন ভাঙচুরসহ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ধাওয়ায় কয়েকজন মাছ শিকারি প্রাণ বাঁচাতে ধনু নদে ঝাঁপ দেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন নিখোঁজ হন। আজ সোমবার তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়।

নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান বলেন, “আজ ধনু নদী থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/মিলন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ নদ উদ ধ র উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ