মা নাজমুন মুনিরা ন্যানসির পথ ধরেই গানের জগতে পথচলা শুরু মার্জিয়া বুশরা রোদেলার। অল্প বয়সে গানের জগতে প্রবেশ করেই তাক লাগান তিনি। কিশোরী রোদেলার জন্য এরইমধ্যে গান তৈরি করেছেন হাবিব ওয়াহিদ, হৃদয় খান, এহসান রাহী, সেতু চৌধুরীরা। সেসব গানে প্রশংসায় ভেসেছেন রোদেলা। তবে এবার ঈদে একেবারে অন্যরকম একটি গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। গানটির শিরোনাম ‘অকারণ’।
এটি রোদেলার ৬ নম্বর মৌলিক গান। ‘অযথা ভাবনায়, এ কেমন আসা যাওয়া/ অকারণ অবেলায়, তারই মাঝে ডুবে যাওয়া/ ভুল করি আবার উড়ি, মন থাকে উচাটন/ অনুভূতির কিযে বাড়াবাড়ি/ সে মানে না বারণ- এমন কথার গানটি লিখেছেন ফয়সাল রাব্বিকীন। এর সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন প্রত্যয় খান।
কথার সঙ্গে মিল রেখে এরইমধ্যে গানটির একটি মিউজিক ভিডিও করা হয়েছে। চন্দন রয় চৌধুরীরর নির্দেশনায় এতে অভিনয় করেছেন রোদেলাই। ঈদ উপলক্ষে ১৯শে মার্চ গানটি প্রকাশ পাবে রোদেলার ইউটিউব চ্যানেলে।
গানটি প্রসঙ্গে রোদেলা বলেন, একেবারেই অন্যরকম একটি গান এটি। এর কথায় প্রথম প্রেমের অনুভূতি ফুটে উছেছে। সুরে ও গায়কিতেও ভিন্নতা খুঁজে পাবেন শ্রোতা-দর্শক। গানটির সুন্দর একটি ভিডিও করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস ভালো লাগবে সবার।
গানটির গীতিকবি ফয়সাল রাব্বিকীন বলেন, গানটির পরিকল্পনা বেশ আগে থেকেই হচ্ছে। রোদেলাকে ভেবেই গানটি লেখা। তার বয়স ও সে সময়টার প্রেমের অনুভূতি-আকুলতা প্রকাশ হয়েছে গনটির কথায়। আমার মনে হয় গানটি সবার ভালো লাগবে।
গানটির সুরকার ও সংগীত পরিচালক প্রত্যয় খান বলেন, রোদেলার কথা চিন্তা করেই গানটি করা। লিরিক হাতে পাওয়ার পর বেশি সময় লাগেনি কাজটি করতে। রোদেলা অসাধারণ গেয়েছে। সবার গানটি ভালো লাগবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস