Samakal:
2025-11-02@21:44:53 GMT

রোদেলার কণ্ঠে ‘অকারণ’

Published: 15th, March 2025 GMT

রোদেলার কণ্ঠে ‘অকারণ’

মা নাজমুন মুনিরা ন্যানসির পথ ধরেই গানের জগতে পথচলা শুরু মার্জিয়া বুশরা রোদেলার। অল্প বয়সে গানের জগতে প্রবেশ করেই তাক লাগান তিনি। কিশোরী রোদেলার জন্য এরইমধ্যে গান তৈরি করেছেন হাবিব ওয়াহিদ, হৃদয় খান, এহসান রাহী, সেতু চৌধুরীরা। সেসব গানে প্রশংসায় ভেসেছেন রোদেলা। তবে এবার ঈদে একেবারে অন্যরকম একটি গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। গানটির শিরোনাম ‘অকারণ’।

এটি রোদেলার ৬ নম্বর মৌলিক গান। ‘অযথা ভাবনায়, এ কেমন আসা যাওয়া/ অকারণ অবেলায়, তারই মাঝে ডুবে যাওয়া/ ভুল করি আবার উড়ি, মন থাকে উচাটন/ অনুভূতির কিযে বাড়াবাড়ি/ সে মানে না বারণ- এমন কথার গানটি লিখেছেন ফয়সাল রাব্বিকীন। এর সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন প্রত্যয় খান।

কথার সঙ্গে মিল রেখে এরইমধ্যে গানটির একটি মিউজিক ভিডিও করা হয়েছে। চন্দন রয় চৌধুরীরর নির্দেশনায় এতে অভিনয় করেছেন রোদেলাই। ঈদ উপলক্ষে ১৯শে মার্চ গানটি প্রকাশ পাবে রোদেলার ইউটিউব চ্যানেলে।

গানটি প্রসঙ্গে রোদেলা বলেন, একেবারেই অন্যরকম একটি গান এটি। এর কথায় প্রথম প্রেমের অনুভূতি ফুটে উছেছে। সুরে ও গায়কিতেও ভিন্নতা খুঁজে পাবেন শ্রোতা-দর্শক। গানটির সুন্দর একটি ভিডিও করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস ভালো লাগবে সবার।

গানটির গীতিকবি ফয়সাল রাব্বিকীন বলেন, গানটির পরিকল্পনা বেশ আগে থেকেই হচ্ছে। রোদেলাকে ভেবেই গানটি লেখা। তার বয়স ও সে সময়টার প্রেমের অনুভূতি-আকুলতা প্রকাশ হয়েছে গনটির কথায়। আমার মনে হয় গানটি সবার ভালো লাগবে।

গানটির সুরকার ও সংগীত পরিচালক প্রত্যয় খান বলেন, রোদেলার কথা চিন্তা করেই গানটি করা। লিরিক হাতে পাওয়ার পর বেশি সময় লাগেনি কাজটি করতে। রোদেলা অসাধারণ গেয়েছে। সবার গানটি ভালো লাগবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের নতুন পর্যটন স্পট ‘আলী বান্দা’

পূর্ব সুন্দরবনের নিসর্গঘেরা অভয়ারণ্যে গড়ে তোলা হয়েছে নতুন পর্যটন কেন্দ্র ‘আলীবান্দা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার’। সবুজ ম্যানগ্রোভ বনের বুক চিরে, নদীর নোনাজলে ভেসে, প্রকৃতির নীরব সৌন্দর্যে ঘেরা এই কেন্দ্রটি চলতি নভেম্বর মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের আওতাধীন আলী বান্দা এরইমধ্যে ভ্রমণপিপাসুদের দৃষ্টি কেড়েছে। শরণখোলা রেঞ্জ অফিস থেকে ট্রলারযোগে মাত্র ৪০ মিনিটের নৌপথ পেরিয়ে পৌঁছানো যায় সেখানে। 

যাত্রাপথে চোখে পড়ে বনের গভীর সবুজ গাছগাছালি, ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যাওয়া পাখি, কচুরিপানায় ঢাকা জলাশয় এবং সুন্দরী-গেওয়া গাছের সারি যা পর্যটকদের মোহিত করে।

বন বিভাগ জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আলীবান্দা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয়। এখানে তৈরি হয়েছে ছয়তলা ভবনের সমান উচ্চতার একটি ওয়াচ টাওয়ার, যেখান থেকে সুন্দরবনের বিস্তৃত সবুজাভ দৃশ্য চোখে ধরা পড়ে। 

রয়েছে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ফুট ট্রেইল (ওয়াকওয়ে)। পথের দুই পাশে ঘন বনের মাঝে হাঁটলে দেখা যায় প্রকৃতির আসল রূপ। এছাড়া রয়েছে মিষ্টি পানির পুকুর, হরিণ রাখার সেড, জেটি, বিশ্রামাগার, সুভেনিয়ার শপ এবং পর্যটকদের নিরাপত্তায় বনরক্ষী ও স্থানীয় গাইডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান।

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আলীবান্দা বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর মানুষের জন্য সবচেয়ে সহজগম্য স্পট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কম সময় ও কম ঝুঁকিতে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে এখানে। স্থানীয় পর্যটকরা এরইমধ্যে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন বলেন, “আলীবান্দা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার চালু হলে স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে স্থানীয় গাইড, নৌযানচালক, হোটেল ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কর্মসংস্থান বাড়বে। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব পর্যটনের মাধ্যমে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা বাড়বে।”

তবে পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশ ফি নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। আলীবান্দায় প্রবেশের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪৫ টাকা।

শরণখোলা ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল বয়াতী বলেন, ‘‘আলীবান্দায় প্রবেশ ফি ৩৪৫ টাকা, অথচ একই বনের করমজল পর্যটন পয়েন্টে ফি মাত্র ৪৬ টাকা। অনেকেই আলীবান্দায় যেতে আগ্রহী, কিন্তু ফি বেশি হওয়ায় নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।’’

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “আলীবান্দা এখন প্রায় প্রস্তুত। চলতি মাসেই এখানে হরিণ আনা হবে। বর্তমানে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে স্পটটি। যেহেতু এটি ২০১৭ সালে ঘোষণা করা অভয়ারণ্য এলাকার অন্তর্ভুক্ত, তাই সাধারণ বনাঞ্চলের তুলনায় কিছু বিধিনিষেধ ও প্রবেশ ফি বেশি রাখা হয়েছে। তবে পর্যটকদের দাবির বিষয়টি আমরা সরকারের কাছে জানাব।’’

ঢাকা/শহিদুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনের নতুন পর্যটন স্পট ‘আলী বান্দা’
  • খুলনার নতুন কারাগার চালু, ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হবে বন্দীদের
  • ভাসমান পথশিশুদের নিয়ে এলইইডিও-র অন্যরকম আয়োজন