আমাকে প্রাক্তন স্ত্রী বলবেন না: এ আর রহমানের স্ত্রী
Published: 16th, March 2025 GMT
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমানকে। সুস্থ হওয়ায় ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন এই সংগীতশিল্পী। এ আর রহমান অসুস্থ হওয়ার পর সবার দৃষ্টি ছিল তার স্ত্রী সায়রা বানুর দিকে। নীরবতা ভেঙে তিনি জানালেন— “আমাকে ‘প্রাক্তন স্ত্রী’ বলবেন না।”
সায়রা বানু সবার উদ্দেশ্যে একটি অডিও বার্তা দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের জানাতে চাই, আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের এখনো বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। এখনো আমরা স্বামী-স্ত্রী। আমরা আলাদা আছি। কারণ গত দুই বছর ধরে আমি ভালো বোধ করছিলাম না। তা ছাড়া আমি তাকে খুব বেশি চাপ দিতে চাইনি।”
‘প্রাক্তন স্ত্রী’ না বলার অনুরোধ জানিয়ে সায়রা বানু বলেন, “দয়া করে ‘প্রাক্তন স্ত্রী’ বলবেন না। এটা ঠিক যে আমরা আলাদা আছি। কিন্তু আমার প্রার্থনা সবসময় তার সঙ্গে আছে। আমি সবাইকে, বিশেষ করে তার পরিবারের কাছে একটি কথা বলতে চাই যে, দয়া করে তাকে খুব বেশি চাপ দেবেন না, তার যত্ন নেবেন। ধন্যবাদ, আল্লাহ হাফেজ।”
আরো পড়ুন:
অসুস্থ এ আর রহমান হাসপাতালে
আমির খানের প্রেমিকা গৌরিকে কতটা জানেন?
১৯৯৫ সালের ১২ মার্চ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এ আর রহমান ও সায়রা বানু। এ দম্পতির তিন সন্তান। দুই মেয়ে খাতিজা রহমান, রহিমা রহমান ও ছেলে আমিন রহমান। গত বছরের শেষ লগ্নে হঠাৎ ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দেন। এতে হতভম্ব হয়ে পড়েন এ আর রহমানের ভক্ত-অনুরাগীরা।
খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারান এ আর রহমান। এরপর জীবিকার সন্ধানে কাজে নামতে হয় তাকে। মাত্র ১১ বছর বয়সে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার বিভিন্ন সুরকারের সঙ্গে বাজাতে শুরু করেন রহমান। ২৩ বছর বয়সে সপরিবারে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এ আর রহমান। তার নাম ছিল দিলীপ কুমার।
১৯৯২ সালে তামিল ভাষার ‘রোজা’ সিনেমা দিয়ে সুরকার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে রাম গোপাল ভার্মার ‘রঙ্গীলা’ সিনেমার সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে তার বলিউড যাত্রা। ড্যানি বয়েলের ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ সিনেমার জন্য অস্কার, গ্র্যামি, বাফটা ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতে নেন এ আর রাহমান।
তা ছাড়াও এ আর রহমানের প্রাপ্তির ঝুলিতে জমা পড়েছে ভারতের ছয়টি জাতীয় পুরস্কার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— ‘পদ্মশ্রী’ (২০০০), ‘পদ্মভূষণ’ (২০১০) প্রভৃতি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন এ আর রহম ন ন এ আর র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী