Risingbd:
2025-10-03@10:17:28 GMT

‘বোমায় না মরলে অনাহারে মরব’

Published: 20th, March 2025 GMT

‘বোমায় না মরলে অনাহারে মরব’

ইসরায়েলের সর্বশেষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির আদেশের ফলে শত শত ফিলিস্তিনি গাজার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা বেইত লাহিয়া এবং শুজাইয়া থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। অনেকেই একটি পুরাতন ফুটবল স্টেডিয়ামের অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছেন। এখানে আশ্রিতরা বলছেন যে, খাবার, টয়লেট এবং ঠান্ডা থেকে সুরক্ষার অভাব জীবনকে অসহনীয় করে তুলছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী,ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৪৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি থাকলেও গত মঙ্গলবার থেকে নির্বিচারে গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। গত ২৪ ঘন্টা ধরে গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে পৃথককারী একটি বাফার জোন সম্প্রসারণের লক্ষ্যে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজা শহরের ইয়ারমুক স্টেডিয়ামের তাঁবু শিবিরে তার ১০ সদস্যের পরিবারের সাথে অবস্থান নেওয়া সুজান সায়মা বলেন, “আমি বর্ণনা করতে পারব না এটা কতটা কঠিন। আমরা আতঙ্কের মধ্যে বাস করছি। বোমাবর্ষণে না হলেও আমরা অনাহারে মারা যাব।”

তিনি আরো বলেন, “এখানে বেদনা ও যন্ত্রণা ছাড়া আর কিছুই নেই এবং এর কোনো শেষ নেই বলে মনে হয়.

.. পুরো বিশ্ব আমাদের পরিত্যাগ করেছে।”

শিবিরের আরেকজন বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি আজিজা আলশাবরাউই বলেন, শিশুরা ক্ষুধার্ত, ঠান্ডা এবং ক্রমাগত ভয়ের মধ্যে রয়েছে। “আমরা সারা বিশ্বকে আমাদের সাহায্য করার জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছি; আমাদের দুর্দশার অবসান ঘটাও।”
 

ঢাকা/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা-পাবনা যোগাযোগ: পরিদর্শনে দুই স‌চিব

রাজধানী ঢাকার স‌ঙ্গে উত্তরের কৃষি ও শিল্প সমৃদ্ধ জেলা পাবনার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ল‌ক্ষ্যে পরিদর্শনে গে‌ছেন দুই স‌চি‌বের নেতৃ‌ত্বে সরকারের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধি দল।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে তারা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাবনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।
তারা হলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। তাদের সঙ্গে র‌য়ে‌ছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

এছাড়া প্রতিনিধিদলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলীসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও র‌য়ে‌ছেন।

এই সফরের উদ্দেশ্য হলো-পাবনার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ সেক্টরে গতি বাড়াতে ঢাকা-পাবনা সরাসরি রেল চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই, জ্বালানি ব্যয় কমাতে ঢাকা-পাবনা ফেরী পথের দূরত্ব হ্রাসসহ জনগুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করা।

সফরকা‌লে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম জানান, পাবনা সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো- ঢাকা-পাবনা সরাসরি রেল যোগাযোগ চালুর বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করা এবং জ্বালানি ব্যয় ও সময় হ্রাস করে বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থার নিশ্চিত করার জন্য কাজিরহাট থেকে ফেরীঘাট স্থানান্তর করে খাসচরে চালু করা। এছাড়াও অনান্য সংযোগ সড়ক চালুর বিষয়ও পরিদর্শন করা হয়েছে। পাবনা থেকে ঢাকার রেল যোগাযোগ এর ক্ষেত্রে ঢালার চর থেকে রাজবাড়ী হয়ে পদ্মা রেল সেতুর সাথে সংযুক্ত করার জন্য ঢালার চর-রাজবাড়ী রেল ব্রিজ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা দেখাও ছিল পরিদর্শনের অন্যতম উদ্দেশ্য।

শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস জানান, পাবনার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের পাবনা সফর নিঃসন্দেহে মাইলফলক। কেননা পাবনা হচ্ছে একটি কৃষি, শিক্ষা, ওষুধ শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জেলা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন খুবই জরুরি দরকার। এ ক্ষেত্রে সরকারের দুই সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাবনা সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

পাবনা সফর করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান শিমুল বিশ্বাস।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ