লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের কাছে ইজারার প্রতিবাদে মশালমিছিল
Published: 17th, November 2025 GMT
চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল ও পানগাঁও নৌ টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের কাছে ইজারা দেওয়ার চুক্তির প্রতিবাদে মশালমিছিল ও সমাবেশ করেছে ‘বন্দর রক্ষা ও করিডরবিরোধী আন্দোলন’। এ সময় অনতিবিলম্বে এই চুক্তি থেকে সরে আসতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে মশালমিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের লাভজনক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের লালদিয়া বন্দর বিদেশি কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়ার পাঁয়তারা করছিল। সরকার জনগণের মতামত ও বাধাকে উপেক্ষা করে দ্রুতগতিতে ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় চুক্তি সম্পাদন করেছে। এতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
বক্তারা আরও বলেন, সরকার এই দেশবিরোধী চুক্তি থেকে সরে না এলে অধ্যাপক ইউনূসের অবস্থাও শেখ হাসিনার মতোই হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ। সঞ্চালনা করেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকান্দার হায়াত, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার, যুব ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন ভুঁইয়া, ছাত্রলীগ (বিসিএল) সভাপতি গৌতম শীল, ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন, ছাত্রলীগ (বিসিএল) সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুনলালদিয়া টার্মিনাল নির্মাণে এপিএম টার্মিনালসের সঙ্গে সরকারের চুক্তি৭ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
এ রায় ঘোষণা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভুক্তভোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত: ওএইচসিএইচআর
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণা গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের সময় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভুক্তভোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের (ওএইচসিএইচআর) দপ্তরের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি। তবে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
আজ সোমবার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করেন রাভিনা শামদাসানি।
ওএইচসিএইচআরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে রাভিনা শামদাসানি বলেন, ‘২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমাদের তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে আমরা নির্দেশদাতা ও নেতৃত্বের অবস্থানে থাকা ব্যক্তিদেরসহ দোষীদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে আসছি। ভুক্তভোগীদের কার্যকর প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যবস্থা করারও আহ্বান জানিয়েছি।’
রাভিনা শামদাসানি বলেন, ‘যেহেতু এই বিচারপ্রক্রিয়ার কার্যক্রমের বিষয়ে আমরা অবগত ছিলাম না, তাই আমরা সব জবাবদিহিমূলক কার্যক্রম, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অপরাধের অভিযোগগুলো যেন প্রশ্নাতীতভাবে যথাযথ প্রক্রিয়া ও ন্যায়বিচারের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করে, সে জন্য ধারাবাহিকভাবে বলে এসেছি। এটি বিশেষভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ যখন, এ মামলার ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, অভিযুক্তের অনুপস্থিতিতে বিচার হয়েছে এবং মৃত্যুদণ্ডের শান্তি দেওয়া হয়েছে।’
মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাভিনা শামদাসানি। তিনি বলেছেন, ‘মৃত্যুদণ্ডের রায়ের জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা সব পরিস্থিতিতে এর বিরোধিতা করি।’
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক আশা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশ সত্য প্রকাশ, ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়বিচারের একটি সমন্বিত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য ও ক্ষত কাটিয়ে ওঠার দিকে এগিয়ে যাবে। এ প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা খাতের অর্থবহ ও রূপান্তরমূলক সংস্কার অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত। আর এ সংস্কার হবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, যেন আর কখনো মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের ঘটনা না ঘটে। এসব প্রচেষ্টাগুলোয় বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে সহায়তা দিতে প্রস্তত রয়েছে ওএইচসিএইচআর।