রেস্তোরাঁর মেঝেতে ঘুরে বেড়াচ্ছে মাছ
Published: 17th, November 2025 GMT
থাইল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলের একটি সাধারণ মানের রেস্তোরাঁ হঠাৎ করেই দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। ওই রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে রীতিমতো লাইন পড়ে যায়। অতিথিরা খেতে এসে একের পর এক ছবি তোলেন, ভিডিও করেন। ওই ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার পর সেগুলো ভাইরাল হয়ে যায়। রেস্তোরাঁর জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পায়।
থাই ওই রেস্তোরাঁর হঠাৎ জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণ মাছ। তবে সেটা কিন্তু তাদের মেন্যুতে থাকা কোনো মাছের রেসিপি নয়, বরং জীবন্ত মাছ। যেসব মাছ রেস্তোরাঁর মেঝেতে সাঁতরে বেড়ায়, মাঝেমধ্যে অতিথিদের পায়ে সুড়সুড়ি দিয়ে যায়।
রেস্তোরাঁটি রাজধানী ব্যাংকক থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে থাইল্যান্ডের নাখন পাথম প্রদেশে অবস্থিত, নাম ‘পা জিত’। রেস্তোরাঁর পাশের একটি নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে আশপাশের এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি ওই রেস্তোরাঁর ভেতরেও ঢুকে পড়েছে। আর বন্যার পানির সঙ্গে ভেসে আসছে নানা প্রজাতির, নানা রঙের মাছ।
নদীর পাড়ের ওই রেস্তোরাঁর বয়স ৩০ বছরের বেশি, মালিকের নাম পর্নকমল প্রাংপ্রেমপ্রি চার বছর আগে প্রথমবার যখন রেস্তোরাঁটি বন্যার পানিতে ভেসে গিয়েছিল, তখন তাঁর খুবই মন খারাপ হয়েছিল।
পর্নকমল বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, নিশ্চয়ই আর কোনো অতিথি আমার এখানে খেতে আসবেন না। কিন্তু একজন অতিথি এখানে খেতে এসে মেঝেতে জীবন্ত মাছ ঘোরাঘুরি করার ছবি তুলে তা অনলাইনে পোস্ট করেন। তারপরই অনেক মানুষ এখানে খেতে আসতে শুরু করেন।’
রেস্তোরাঁয় আসা অতিথিরা মাছের ঝাঁকের সঙ্গে ছবি তোলেন, কেউ কেউ মাছকে খাবার দেন।
বন্যার সময় উল্টো রেস্তোরাঁয় বেচাবিক্রি অনেক বেড়ে যায় বলে জানান পর্নকমল প্রাংপ্রেমপ্রি তিনি বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় বন্যার সময় তাঁর রেস্তোরাঁয় দৈনিক বিক্রি দ্বিগুণের বেশি বেড়ে যায়।
স্বামী-সন্তান নিয়ে রেস্তোরাঁয় খেতে এসেছেন ২৯ বছর বয়সী চমফুনুথ খান্তানিতি। তিনি পরিবার নিয়ে নাখন পাথম প্রদেশেই বাস করেন। এই নারী বলেন, পায়ের কাছে জীবন্ত মাছ ঘুরে বেড়ানো এই রেস্তোরাঁর খবর শুনে তিনি নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলেন না।
খান্তানিতি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটা দারুণ। কারণ, আমরা এখানে বাচ্চাদের আনতে পারি। বাচ্চারা ছোটাছুটি না করে শান্তভাবে মাছগুলো দেখে। আমার মনে হয়, থাইল্যান্ডে একমাত্র এখানেই আপনি এভাবে মাছ ঘোরাফেরা করতে দেখতে পাবেন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওই র স ত র বন য র
এছাড়াও পড়ুন:
রেস্তোরাঁর মেঝেতে ঘুরে বেড়াচ্ছে মাছ
থাইল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলের একটি সাধারণ মানের রেস্তোরাঁ হঠাৎ করেই দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। ওই রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে রীতিমতো লাইন পড়ে যায়। অতিথিরা খেতে এসে একের পর এক ছবি তোলেন, ভিডিও করেন। ওই ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করার পর সেগুলো ভাইরাল হয়ে যায়। রেস্তোরাঁর জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পায়।
থাই ওই রেস্তোরাঁর হঠাৎ জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণ মাছ। তবে সেটা কিন্তু তাদের মেন্যুতে থাকা কোনো মাছের রেসিপি নয়, বরং জীবন্ত মাছ। যেসব মাছ রেস্তোরাঁর মেঝেতে সাঁতরে বেড়ায়, মাঝেমধ্যে অতিথিদের পায়ে সুড়সুড়ি দিয়ে যায়।
রেস্তোরাঁটি রাজধানী ব্যাংকক থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে থাইল্যান্ডের নাখন পাথম প্রদেশে অবস্থিত, নাম ‘পা জিত’। রেস্তোরাঁর পাশের একটি নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে আশপাশের এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি ওই রেস্তোরাঁর ভেতরেও ঢুকে পড়েছে। আর বন্যার পানির সঙ্গে ভেসে আসছে নানা প্রজাতির, নানা রঙের মাছ।
নদীর পাড়ের ওই রেস্তোরাঁর বয়স ৩০ বছরের বেশি, মালিকের নাম পর্নকমল প্রাংপ্রেমপ্রি চার বছর আগে প্রথমবার যখন রেস্তোরাঁটি বন্যার পানিতে ভেসে গিয়েছিল, তখন তাঁর খুবই মন খারাপ হয়েছিল।
পর্নকমল বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, নিশ্চয়ই আর কোনো অতিথি আমার এখানে খেতে আসবেন না। কিন্তু একজন অতিথি এখানে খেতে এসে মেঝেতে জীবন্ত মাছ ঘোরাঘুরি করার ছবি তুলে তা অনলাইনে পোস্ট করেন। তারপরই অনেক মানুষ এখানে খেতে আসতে শুরু করেন।’
রেস্তোরাঁয় আসা অতিথিরা মাছের ঝাঁকের সঙ্গে ছবি তোলেন, কেউ কেউ মাছকে খাবার দেন।
বন্যার সময় উল্টো রেস্তোরাঁয় বেচাবিক্রি অনেক বেড়ে যায় বলে জানান পর্নকমল প্রাংপ্রেমপ্রি তিনি বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় বন্যার সময় তাঁর রেস্তোরাঁয় দৈনিক বিক্রি দ্বিগুণের বেশি বেড়ে যায়।
স্বামী-সন্তান নিয়ে রেস্তোরাঁয় খেতে এসেছেন ২৯ বছর বয়সী চমফুনুথ খান্তানিতি। তিনি পরিবার নিয়ে নাখন পাথম প্রদেশেই বাস করেন। এই নারী বলেন, পায়ের কাছে জীবন্ত মাছ ঘুরে বেড়ানো এই রেস্তোরাঁর খবর শুনে তিনি নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলেন না।
খান্তানিতি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটা দারুণ। কারণ, আমরা এখানে বাচ্চাদের আনতে পারি। বাচ্চারা ছোটাছুটি না করে শান্তভাবে মাছগুলো দেখে। আমার মনে হয়, থাইল্যান্ডে একমাত্র এখানেই আপনি এভাবে মাছ ঘোরাফেরা করতে দেখতে পাবেন।’