এখন থেকে ছোট অঙ্কের কৃষিঋণ দিতেও গ্রাহকের ঋণের তথ্য যাচাই করে নিতে হবে। আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরো (সিআইবি) থেকে তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন ছিল না। ফলে অনেক ঋণই খেলাপি হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন সিদ্ধান্তটি নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ।

এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি এবং প্রজ্ঞাপনে নতুন ঋণ মঞ্জুরি বা বিদ্যমান ঋণ নবায়নের জন্য আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত শস্য ও ফসল ঋণের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট সংগ্রহের প্রয়োজন হবে না বলে উল্লেখ করা আছে। সিআইবি রিপোর্ট যাচাই ছাড়া ঋণ দেওয়া হলে একজন গ্রাহক বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা পরিমাণের একাধিক শস্য ও ফসল ঋণ গ্রহণ করলেও তা ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকের পক্ষে জানা সম্ভব হয় না। এ প্রক্রিয়ায় খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে সিআইবি প্রতিবেদন সংগ্রহ করা আগের চেয়ে অনেক সহজ করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি সার্ভার ব্যবহার করে দ্রুত ঋণ আবেদনকারীর ঋণের তথ্য সংগ্রহ করতে পারছে।

এমন প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত হয়েছে কৃষি ও পল্লি ঋণের (এমএফআই লিংকেজ ছাড়া) আওতাভুক্ত সব খাতে যেকোনো পরিমাণের নতুন ঋণ মঞ্জুর বা বিদ্যমান ঋণ নবায়নের জন্য সিআইবি রিপোর্ট যাচাই করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, খেলাপি হয়েও কোনো কোনো গ্রাহক একাধিক ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। সে জন্য নতুন এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স আইব

এছাড়াও পড়ুন:

তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সাক্ষাৎ

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ।

রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’

‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’সহ ৩৮ দাবি সংবাদকর্মীদের 

সাক্ষাৎকালে বিএসআরএফের সভাপতি মাসউদুল হক জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিবালয় বিটে কর্মরত অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিকদের সচিবালয়ের ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে পত্র পাঠানো হলেও এখনো তা বাস্তবায়িত হয়নি। 

তিনি অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিকদের জন্য সচিবালয়ের ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা চালুর বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটের পাশাপাশি ৫ নম্বর গেট দিয়েও অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডধারী সাংবাদিকদের সচিবালয়ে প্রবেশের  ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান। 

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বিএসআরএফের সভাপতির প্রস্তাব আন্তরিকভাবে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। 

সাক্ষাৎকালে বিএসআরএফের সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন পিন্নু, সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদলসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ