কৃষিঋণ বিতরণেও সিআইবি যাচাই করতে হবে
Published: 23rd, March 2025 GMT
এখন থেকে ছোট অঙ্কের কৃষিঋণ দিতেও গ্রাহকের ঋণের তথ্য যাচাই করে নিতে হবে। আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরো (সিআইবি) থেকে তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন ছিল না। ফলে অনেক ঋণই খেলাপি হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন সিদ্ধান্তটি নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ।
এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি এবং প্রজ্ঞাপনে নতুন ঋণ মঞ্জুরি বা বিদ্যমান ঋণ নবায়নের জন্য আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত শস্য ও ফসল ঋণের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট সংগ্রহের প্রয়োজন হবে না বলে উল্লেখ করা আছে। সিআইবি রিপোর্ট যাচাই ছাড়া ঋণ দেওয়া হলে একজন গ্রাহক বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা পরিমাণের একাধিক শস্য ও ফসল ঋণ গ্রহণ করলেও তা ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকের পক্ষে জানা সম্ভব হয় না। এ প্রক্রিয়ায় খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে সিআইবি প্রতিবেদন সংগ্রহ করা আগের চেয়ে অনেক সহজ করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি সার্ভার ব্যবহার করে দ্রুত ঋণ আবেদনকারীর ঋণের তথ্য সংগ্রহ করতে পারছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত হয়েছে কৃষি ও পল্লি ঋণের (এমএফআই লিংকেজ ছাড়া) আওতাভুক্ত সব খাতে যেকোনো পরিমাণের নতুন ঋণ মঞ্জুর বা বিদ্যমান ঋণ নবায়নের জন্য সিআইবি রিপোর্ট যাচাই করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, খেলাপি হয়েও কোনো কোনো গ্রাহক একাধিক ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। সে জন্য নতুন এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স আইব
এছাড়াও পড়ুন:
নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।
এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।
এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।