ইফতারি বিতরণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬
Published: 27th, March 2025 GMT
ইফতারি বিতরণ নিয়ে চট্টগ্রাম নগরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ডবলমুরিং থানার মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন খুরশিদ আলম, মো. রাকিব, মো. মুরাদ, মো. সোহেল, হাসান মুরাদ এবং মো. জালাল। এর মধ্যে খুরশিদ ও রাকিব চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরীর অনুসারী। অন্যরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেনের অনুসারী।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, জিয়া মঞ্চ ডবলমুরিং থানা কমিটির উদ্যোগে মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় ইফতারসামগ্রী বিতরণের আয়োজন করা হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে ১০ থেকে ১৫ জন অনুষ্ঠানে এসে আওয়ামী লীগের এক কর্মীর সহযোগিতায় অনুষ্ঠান আয়োজনের অভিযোগ তোলেন। এ সময় তর্কাতর্কি থেকে সংঘর্ষ হয়।
জিয়া মঞ্চ ডবলমুরিং থানা কমিটির আহ্বায়ক মো.
দেলোয়ার বলেন, ‘রাকিব আমাকে ছুরিকাঘাত করতে গেলে আমি সরে যাই এবং সেই আঘাত খুরশিদের গায়ে লাগে।’
অন্যদিকে খুরশিদ ও রাকিবের অভিযোগ, দেলোয়ারই আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেছেন।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী রফিক আহমেদ আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ইফতারসামগ্রী বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ছুরিকাঘাতে একজন আহত হয়েছেন। থানায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র ডবলম র স ঘর ষ আম দ র ইফত র ব তরণ
এছাড়াও পড়ুন:
রিকশাচালকদের সমাবেশ থেকে বাসদ নেতাসহ তিনজন গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে একটি সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও ছাত্র ফ্রন্টের নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নগরের দেওয়ানহাট মোড় এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে ডবলমুরিং থানা-পুলিশ। তবে হালিশহর থানায় আগে হওয়া বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
জানা গেছে, আজ সকালে দেওয়ানহাট মোড় এলাকায় ‘রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ ছিল। সেখান থেকে বাসদ নেতাসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ বলছে, অনুমতি ছাড়াই সমাবেশটি করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশ সড়ক অবরোধে বাধা দিলে পুলিশে ওপর চড়াও হন কয়েকজন। তাঁদের মধ্য থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
তবে আয়োজকেরা জানিয়েছেন, সমাবেশের জন্য ব্যানার নিয়ে দাঁড়াতেই পুলিশ ব্যানার কেড়ে নেয় এবং মাইক ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের জেলা আহ্বায়ক ও বাসদ (খালেকুজ্জামান) চট্টগ্রাম জেলা শাখার ইনচার্জ আল কাদেরী, ছাত্র ফ্রন্টের নেতা মিনহাজ উদ্দিন এবং ইজিবাইকের চালক মো. রোকনকে নিয়ে যায় পুলিশ।
ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের সদস্যসচিব মনির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছর যাবৎ ৭ দফা দাবিতে এই আন্দোলন আমরা করে আসছি। আমরা ইজিবাইকের নীতিমালার জন্য কাজ করছি, কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ করিনি। কর্মসূচি শুরুর আগেই পুলিশ এভাবে হামলা করে গ্রেপ্তার করতে পারে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমেদ বলেন, ‘সমাবেশের কোনো অনুমতি ছিল না। সমাবেশের লোকজন এসে দেওয়ানহাট মোড়ে গাড়ি ও রাস্তাঘাট বন্ধ করছিলেন। আমরা তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছি। হালিশহর থানার একটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’