শপআপের সঙ্গে সৌদি আরবের সারি একীভূত হয়ে গঠন করল ‘সিল্ক’ গ্রুপ
Published: 9th, April 2025 GMT
বাংলাদেশের বৃহত্তম বিটুবি কমার্স প্ল্যাটফর্ম শপআপ ও গালফ অঞ্চলের শীর্ষস্থানীয় বিটুবি মার্কেটপ্লেস ও সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম সারি জোট বেঁধে গঠন করলো ‘সিল্ক গ্রুপ’। এর ফলে এশিয়া ও গালফ অঞ্চল মিলে গঠিত হলো একটি অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক প্ল্যাটফর্ম। যাত্রার শুরুতেই সিল্ক পেয়েছে সৌদি সরকারের বিনিয়োগ তহবিল ‘পিআইএফ-এর সানাবিল ইনভেস্টমেন্ট ও পিটার থিয়েলের ভালার ভেঞ্চারসের কাছ থেকে ১৩০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ। এর মধ্যে রয়েছে ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট ও সিল্ক ফাইন্যান্সিয়ালের জন্য অর্থায়ন সুবিধা। এই বিনিয়োগ এসএমইভিত্তিক জিডিপি বৃদ্ধির মাধ্যমে সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।
শপআপ ও সারি এখন পর্যন্ত ছয় লক্ষাধিক খুচরা বিক্রেতা, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে এবং পাইকারদের সেবা দিয়েছে, যা থেকে উপকৃত হয়েছে লাখ লাখ খুচরা ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবার। যৌথভাবে তাদের প্ল্যাটফর্মে ইতোমধ্যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি লেনদেন হয়েছে এবং এমবেডেড ফাইন্যান্স হিসেবে ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি পরিমাণ অর্থছাড় হয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা বাজারে ১০ কোটি পণ্য সরবরাহ করেছে। এই সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে সিল্ক এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে, যা আর্থিক, বাণিজ্যিক, এবং লজিস্টিক পরিষেবা প্রদান করে ব্যবসার দক্ষতা ও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।
শপআপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আফিফ জামান সিল্ক গ্রুপে সিইও পদে থাকবেন। শপআপ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আতাউর রহিম চৌধুরী শপআপ (বাংলাদেশ) সিইও হিসেবে এ অঞ্চলের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন। সারি-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোহাম্মদ আলদোসারি হবেন সিল্ক ফাইন্যান্সিয়ালের সিইও।
শপআপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আফিফ জামান বলেন, এই জোট তৈরির মাধ্যমে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক করিডোরগুলোর একটিতে প্রবেশ করছি, যার আকার ৬৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এই অঞ্চলের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ও ভোক্তাদের কাছে আমরা বৈশ্বিক পণ্য পৌঁছে দিতে পারব- ভবিষ্যতের বৈশ্বিক বাজারে সিল্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।
সিল্ক ফাইন্যান্সিয়াল সিইও মোহাম্মদ আলদোসারি বলেন, আমরা শুধু আমাদের ব্যবসার পরিসর বাড়াচ্ছি না বরং গালফের ব্যবসায়ী ও দক্ষিণ এশিয়ার উৎপাদকদের জন্য ডিজিটাল বাণিজ্যের সংজ্ঞাই বদলে দিচ্ছি। এই অংশীদারিত্ব দুই দেশের বিস্তৃত আঞ্চলিক অভিজ্ঞতা ও বিশ্বমানের প্রযুক্তির মত সেরা দিকগুলোকে একত্র করেছে। এর ফলে আমাদের ইকোসিস্টেমের প্রতিটি ব্যবসা উপকৃত হবে যার মূল উপাদান হিসেবে থাকবে আর্থিক সেবা।”
ভালার ভেঞ্চারস-এর প্রতিষ্ঠাকালীন পার্টনার জেমস ফিটজজেরাল্ড বলেন, বর্তমানে বিশ্বে সৌদি আরব ও উপসাগরীয় অঞ্চলের একটি চমকপ্রদ অর্থনৈতিক সম্ভাবনার গল্প রয়েছে। এই একীভূত হওয়া একটি সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন যা এই বাজারগুলোকে দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত একটি নতুন বাণিজ্যিক ইকোসিস্টেমের কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শপআপ প ল য টফর ম ফ ইন য ন স ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।
চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।
এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।
ঢাকা/এমআর/রফিক