বাগেরহাটে লোকালয় থেকে উদ্ধার অজগর সুন্দরবনে অবমুক্ত
Published: 20th, April 2025 GMT
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন-সংলগ্ন একটি গ্রাম থেকে একটি অজগর উদ্ধার করে বন বিভাগের মাধ্যমে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের রাজেশ্বর গ্রামের ধানখেত থেকে অজগরটি উদ্ধার করেন ওয়াইল্ড টিমের সদস্যরা।
উদ্ধার হওয়া অজগরটি লম্বায় ৮ ফুট ও ওজন প্রায় ১০ কেজি বলে জানান ওয়াইল্ড টিমের শরণখোলার মাঠ কর্মকর্তা আলম হাওলাদার। তিনি বলেন, রাজেশ্বর গ্রামের মধু খাঁর ধানখেতের বেড়া দেওয়া জালে সকালে একটি অজগর সাপ আটকা পড়ে। এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সাপটি উদ্ধার করা হয়।
পাশের সুন্দরবন থেকেই অজগরটি লোকালয়ে চলে আসতে পারে মন্তব্য করে আলম হাওলাদার বলেন, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কর্মকর্তার পরামর্শে বনের ধাবড়ি এলাকায় রোববার দুপুরে অজগর সাপটিকে অবমুক্ত করা হয়েছে।
সুন্দরবন–সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের বন্য প্রাণী সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শরণখোলা রেঞ্জের কর্মকর্তা রানা দেব বলেন, উদ্ধার করা অজগরটি সুস্থ ছিল। বনরক্ষীদের সহায়তায় নিরাপদে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন দরবন অবম ক ত শরণখ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বহর নিয়ে সাবেক যুবদল নেতার সুন্দরবন ভ্রমণ
জীব ও প্রাণ-বৈচিত্র্য রক্ষার অংশ হিসেবে সুন্দরবনকে বিশ্রাম দিতে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে। ১ জুন থেকে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ে বনজীবী থেকে শুরু করে পর্যটক, কেউই সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন না। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবন ঘুরেছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন। তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা যুবদল ও মৎস্যজীবী দলের অন্তত ৩০ নেতাকর্মী।
গত শুক্রবার তারা ভ্রমণে যান। সুন্দরবনের কলাগাছিয়া টহল ফাঁড়িতে অবস্থানকালে নিজেদের ছবি রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সুন্দরবনে প্রবেশ নিয়ে জানতে চাইলে যুবদলের সাবেক নেতা আমিনুর রহমান জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক উপসচিব সুন্দরবনে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। এডিসি পদমর্যাদার একজনের মাধ্যমে বন বিভাগের কাছ থেকে ১০ জনের অনুমতি মেলে। ওই দলে তিনি যুক্ত হওয়ার পর স্থানীয় কিছু কর্মী-সমর্থক তাঁর সঙ্গে ট্রলারে উঠে পড়েন। এ সময় তাদের আর নামিয়ে দেওয়া যায়নি।
উপসচিব বা তাঁর জন্য নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সুন্দরবনে যাওয়া উচিত ছিল কিনা– জানতে চাইলে আমিনুর বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা চলার তথ্য আমাদের জানানো হয়নি।’ কথা বলার জন্য ওই উপসচিবের নাম ও যোগাযোগ নম্বর চাইলে তিনি দেননি।
এ বিষয়ে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের জিয়াউর রহমান বলেন, এক উপসচিবের একান্ত সচিব (পিএস) পরিচয়ে ১০ জনের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি চাওয়া হয়। অনেকটা ‘অনুরোধে ঢেঁকি গেলা’র মতো করে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে একই সঙ্গে কয়েক রাজনৈতিক ব্যক্তির সুন্দরবনে যাওয়ার বিষয়টি তারা জানতে পারেন। ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের এমন আবদারে তারা অসহায় হয়ে পড়েন।