চিংড়িঘেরের বাঁধ কেটে ১০ একর বনভূমি উদ্ধার
Published: 24th, April 2025 GMT
কক্সবাজারের মহেশখালীতে প্যারাবনের গাছ কেটে চিংড়িঘের নির্মাণকারীদের দখলে থাকা ১০ একর বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। উপকূলীয় বনবিভাগ অভিযান চালিয়ে এসব জমি দখলমুক্ত করে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল পর্যন্ত গোরকঘাটা ও চরণদ্বীপের রেঞ্জ কর্মকর্তা আয়ুব আলীর নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জামিরছড়ি ও জেএএম ঘাট এলাকায় দুটি চিংড়িঘেরের সব বাঁধ কেটে ১০ একর জমি দখলমুক্ত করে বনবিভাগ।
জানা গেছে, গত বছর ৫ আগস্টের পর জামিরছড়ি এলাকায় বিএনপিকর্মী মো.
বিএনপিকর্মী মো. শাহাজানের বক্তব্য জানতে তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে খুদে বার্তা দিলেও সাড়া মেলেনি।
উপকূলীয় বন বিভাগের গোরকঘাটা ও চরণদ্বীপের রেঞ্জ কর্মকর্তা আয়ুব আলী জানান, তাঁর নেতৃত্বে বনকর্মীরা ৫০-৬০ জন শ্রমিক নিয়ে চিংড়িঘেরের বাঁধ কেটে বন বিভাগের পৃথক ১০ একর জায়গা দখলমুক্ত করে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ
জুলাই সনদের দাবিতে ঢাকার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন জুলাই যোদ্ধারা।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচিতে ধাপে ধাপে জড়ো হয়েছেন শতাধিক আন্দোলনকারী। ফলে শাহবাগ মোড়ের উভয়মুখেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে, আশপাশের রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট।
জুলাই যোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনের সমন্বয়ক মাজহারুল ইসলাম আপন। শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ও শাহবাগ থানার মুখে, এমনকি আশপাশের মোড়গুলোতেও আন্দোলনকারীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
রেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ মোড়ের একাংশ জুড়ে ব্যানার, পোস্টার ও জাতীয় পতাকা নিয়ে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা। পাশেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
আন্দোলনকারীরা ‘জুলাই সনদ’ নামে একটি প্রস্তাবিত ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছেন, যেখানে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থনে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ (জাতীয় বীর)’ এবং আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা (বীর)’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের জন্য আজীবন সম্মান, চিকিৎসা, শিক্ষা, পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান এবং সম্মানজনক ভাতা নিশ্চিত করার দাবি রয়েছে।
এর দ্বিতীয় ধারায় বলা হয়েছে, শহীদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণ রাষ্ট্রের ‘অবিচ্ছেদ্য কর্তব্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এদের প্রতি অবহেলা বা অধিকার হরণকে রাষ্ট্রদ্রোহ বা বিশেষ অপরাধ হিসেবে গণ্য করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তোলা হয়েছে।
জুলাই যোদ্ধাদের ভাষ্য, এখনো জুলাই সনদ না হওয়ায় আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন। বারবার এই দাবি জানানো হলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
তারা বলছেন, জুলাই সনদ আমাদের দাবি নয়, এটি আমাদের অধিকার। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। জুলাই সনদ নিয়ে আশ্বাস পূরণ না হলে শাহবাগে অস্থায়ী মঞ্চ তেরি করে অবস্থান করবেন বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।
ঢাকা/রায়হান/ইভা