বাংলাদেশ কোস্টগার্ড অসামরিক জনবল নিয়োগ দেবে। রাজস্ব খাতভুক্ত এসব শূন্য পদে বিধিমোতাবেক সরাসরি নিয়োগের জন্য শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিকদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। অনলাইন (Online) ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করা হবে না। অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ ও আবেদন ফি জমাদান শুরু হয়েছে আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে।

পদের নাম ও বর্ণনা—

১.

সাঁটলিপিকার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ১

গ্রেড: ১৩

বেতনস্কেল: ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা

আবেদনের যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি এবং কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা

২. সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ২

গ্রেড: ১৪

বেতনস্কেল: ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা

আবেদনের যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি এবং কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা

৩. ইউডিএ/কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ৩

গ্রেড: ১৪

বেতনস্কেল: ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা

আবেদনের যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি এবং কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা

৪. ধর্মীয় শিক্ষক

পদসংখ্যা: ১

গ্রেড: ১৪

বেতনস্কেল: ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা

আবেদনের যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত মাদ্রাসা বোর্ড থেকে অন্যূন ২য় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ ফাজিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে; সংশ্লিষ্ট কাজে অন্যূন ২ (দুই) বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা; হাফেজ বা কারিগণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং সুললিত কণ্ঠের অধিকারী হতে হবে।

৫. অটোমেকানিক

পদসংখ্যা: ২

গ্রেড: ১৪

বেতনস্কেল: ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা

আবেদনের যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড হতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানের পরীক্ষায় অন্যূন ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ এবং কোনো স্বীকৃত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) বা ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠান হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ১ (এক) বছর মেয়াদি অন্যূন ২য় শ্রেণির ট্রেড কোর্স সনদপ্রাপ্ত।

৭ বৃত্তিতে বিদেশে পড়াশোনা, আবেদনের সুযোগ ২ দিন৪০৪ পদে সরকারি চাকরি, আবেদন শেষ আগামীকাল

৬. ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ১৩

গ্রেড: ১৫

বেতনস্কেল: ৯৭০০-২৩৪৯০ টাকা

আবেদনের যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড হতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; ভারী গাড়ি চালনার বৈধ ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চালকেরা অগ্রাধিকার পাবেন।

৭. ইলেকট্রিশিয়ান

পদসংখ্যা: ১

গ্রেড: ১৬

বেতনস্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা

আবেদনের যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড হতে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানের পরীক্ষায় অন্যূন ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ এবং কোনো স্বীকৃত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) বা ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠান হতে অটো ইলেকট্রিশিয়ান সনদপ্রাপ্ত।

এআই/প্রথম আলো

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ য সমম ন র

এছাড়াও পড়ুন:

ফুডপ্যান্ডার ডেলিভারি বয় থেকে সফল ফ্রিল্যান্সার আবু সালেহ, মাসে আয় কত জানেন

পরিবারের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। অভাবের সংসারে নিজেকে একরকমের বোঝাই মনে করতেন। কিছু একটা করা দরকার। পরিস্থিতি যেন আবু সালেহ আহমেদকে দিন দিন আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অনেক স্বপ্ন দেখেছেন, সেই স্বপ্নে নিজেকে অটুট রেখেছেন। আর পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা পথ। ধৈর্য নিয়ে নিজের স্বপ্নের দিকে তাকিয়ে আজ সালেহ নিজেকে বলতেই পারেন একজন সফল ফ্রিল‍্যান্সার। কেননা এখন তিনি মাসে আয় করেন তিন লাখ টাকা।

আবু সালেহ আহমেদ। ডাকনাম আফনান। বাবা মো. কুতুব উদ্দিন শেখ মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এখন অবসর নিয়েছেন। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার তারাপুর গ্রামের আবু সালেহ আহমেদ এখন অবশ্য এলাকায় থাকেন না। থাকেন ঢাকার কাঁঠালবাগানে। এখান থেকেই আফনান গড়ে মাসিক তিন লাখ টাকা আয় করেন। ছোট্ট একটা অফিসও নিয়েছেন, যেখানে চারজন ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান করেছেন।

২০১৬ সালে সেনগ্রাম ফাজিল মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পাসের পর ২০২০ সালে লক্ষ্মীপুর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন আবু সালেহ আহমেদ। এখন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে স্থাপত্য বিভাগে চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন। ছাত্রাবস্থাতেও তাঁর মাসিক আয় কোনো কোনো মাসে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যায়। ২৭ বছর বয়সী আবু সালেহ আহমেদ বিয়ে করেছেন গত বছর। স্ত্রীর নাম ফাতেমা জোহরা।

পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াই ছিল কঠিন

আফনান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আসলে মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পাস করে বের হয়েছি। তখন ইচ্ছা থাকলেও আমাদের সামর্থ্য ছিল না ভালো জায়গায় পড়ার। আমার চার বছর যে সম‍য়টা কেটেছে, আসলে খুব কষ্টে কেটেছে। কলেজে আমি এক্সট্রা কারিকুলামে ভালো ছিলাম, ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ছিলাম, বেশ কিছু জায়গায় বিতর্ক করে চাম্পিয়নও হয়েছি। স‍্যারদের চোখে পড়েছি। একসময় আর পেরে উঠছিলাম না, তাই দুই বছর পড়তে পড়তেই টিসি (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) নিতে গিয়েছিলাম। লক্ষ্মীপুর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকেরা আমার কথা শুনে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। যার ফলে আমি পড়াশোনাটা শেষ করেছি।’

আবু সালেহ আহমেদ প্রথম আলোকে আরও বলেন, ‘দিনগুলো কঠিন ছিল। টিউশনি করাতাম। ১ হাজার ৫০০ টাকা পেতাম। ১ হাজার টাকা মেসভাড়া ও ৫০০ টাকায় খাওয়া। সকালে ও রাতে খেতাম। মাসে তা–ও খাওয়ার বিল আসত ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। মেসের বাকিরা সেটা দিয়ে দিত। তারপর একদিন ২ হাজার ৫০০ টাকার একটা টিউশনি পেয়ে একটু যেন শক্তি পেলাম। এভাবেই আমার ডিপ্লোমার চার বছর কেটেছে।’

একবুক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায়

২০২০ সালে ডিপ্লোমা পড়া শেষ করেই একবুক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন আবু সালেহ আহমেদ। এসেই শুরু করেন আবার জীবনসংগ্রাম। কোথাও কাজ পাচ্ছিলেন না। শেষমেশ ফুডপ্যান্ডায় রাইডার (ডেলিভারি বয়) হিসেবে কাজ নেন তিনি। কিন্তু শুধু ফুডপ্যান্ডায় কাজের আয় দিয়ে তাঁর চলছিল না। তখন থেকেই কাজের পাশাপাশি কিছু একটা করার চেষ্টা করছিলেন। কিছু জায়গায় খোঁজ নিয়ে ভর্তি হয়ে যান তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণের প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ আইটিতে। খাবার ডেলিভারির পাশাপাশি কাজও শিখতেন।

আবু সালেহ আহমেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফুডপ্যান্ডার ডেলিভারি বয় থেকে সফল ফ্রিল্যান্সার আবু সালেহ, মাসে আয় কত জানেন