বন্দরে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে যুবককে হত্যা
Published: 30th, April 2025 GMT
বন্দরে চোর আখ্যা দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রাহিম (২৩) নামে এক যুবককে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে নৃশংস হত্যা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের দক্ষিন বারপাড়াস্থ ইকবালের বাড়িতে নৃশংস এ হত্যাকান্ডের ঘটে। নিহত রাহিম ওরফে রাইস (২৩) বন্দর উপজেলার বারপাড়া এলাকার শাহাবুদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া হাবিবুর রহমানের ছেলে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, চোর আখ্যা দিয়ে প্রতিবেশী ইকবাল মিয়ার নেতৃত্বে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে ধামাচাপার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
নিহত রাহিমের মা রাশিদা বেগম, জানান, রাহিমকে প্রতিবেশী মৃত-রহিমউদ্দিন প্রধানের ছেলে ইকবাল মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত দেড় টার দিকে ছেলের ডাক চিৎকার শুনে ঘুম থেকে ওঠে দৌড়ে ইকবালের বাড়িতে গিয়ে দেখি ছেলের শরীরের কাটা স্থানে মরিচের গুড়া ও লবন লাগানো হচ্ছে। এঅবস্থা আমার চোখের সামনে ইকবাল, রমজান, আমজাদ, মাসুদ, বাধন, সালাউদ্দিন ও শিল্পি সহ ১০/১২ জন মিলে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথা থেঁতলে দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রাহিম। এ হত্যাকান্ডের বিচার প্রার্থনা করছি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, নিহত রাহিম ইট বালু বহনকারী পিকআপ চালক। ইকবালের বড় ভাই বাহরাইন প্রবাসী বিল্লাল মিয়ার স্ত্রী হাবিব আক্তারের সঙ্গে রাহিমের পরকীয়া এ সন্দেহে তাকে চোর আখ্যা দিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে ইকবাল ও তার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী হাবিবাও স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ভাবে ওই বাড়িতে চুরির ঘটনার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে নৃশংস এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত সম্ভব্য সকলেই পালিয়ে গেছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য য বক ন র য়ণগঞ জ ইকব ল
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।
ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন।
ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন।
অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।
ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”
প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।
মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”
মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।
গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ