বিএসআরএম স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উদ্বোধন
Published: 4th, May 2025 GMT
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও বিএসআরএম গ্রুপ অব কোম্পানিজের যৌথ উদ্যোগে বিএসআরএম স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং উদ্বোধন করা হয়েছে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে গত ৩০ এপ্রিল ‘শেপিং টুমরো : ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবিলিটি’ শিরোনামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নতুন এ উদ্যোগটির অফিসিয়াল লোগো এবং ওয়েবসাইট উন্মোচিত হয়েছে।
অ্যাকাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির এ ধরনের কোলাবোরেশন বাংলাদেশে এই প্রথম। এ উদ্যোগ বাংলাদেশের প্রকৌশল শিক্ষাকে নতুনভাবে এগিয়ে নেওয়ার মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই নতুন স্কুলের লক্ষ্য হলো এমন প্রকৌশলী গড়ে তোলা যারা প্রযুক্তিগত দক্ষতার পাশাপাশি উদ্ভাবন, নৈতিকতা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার মানদণ্ডে পরিপূর্ণ হয়ে আগামীর যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে উঠবে।
এ যৌথ সহযোগিতা বিএসআরএমের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেই সঙ্গে এই উদ্যোগ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের শিক্ষাদর্শনের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
স্যার ফজলে বিশ্বাস করতেন—শিক্ষাব্যবস্থা হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, ফলপ্রসূ এবং মানব উন্নয়নের জন্য। বিএসআরএম স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং সেই চেতনারই প্রতিফলন, যেখানে শিক্ষা হবে উদ্ভাবনের পথপ্রদর্শক এবং মানবকল্যাণে নিবেদিত।
এই যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বকে বার্তা জানাচ্ছে যে, বাংলাদেশ এখন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে গ্লোবাল সাউথে এগিয়ে যাচ্ছে। এখান থেকেই গড়ে উঠছে এমন নেতৃত্ব, যারা মানবকল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভবিষ্যতের নগর, শিল্প ও সমাজকে নতুনভাবে গড়ে তুলবে।
বিএসআরএম এর চেয়ারম্যান আলী হুসাইন আকবর আলী এফসিএ বলেন, জাতি গঠনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো উচিত সরকার ও অন্যান্য খাতের এই ধরনের সহযোগিতা করা। এ ধরনের উদ্যোগ দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।
এই দর্শনের অন্যতম প্রমাণ হলো বিএসআরএম স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রতিষ্ঠা। যা শিক্ষার মাধ্যমে উন্নত জাতি গঠনের প্রতি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশ আপনাদের ডাকছে। বাইরের দিকে তাকাবেন না। এখানেই থাকুন, এখানেই কাজ করুন, এখানেই নিজেকে গড়ে তুলুন। আপনার জ্ঞান, শক্তি আর চিন্তাধারা আজ এই দেশেই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আপনি যদি আজ দেশের যদি জন্য কিছু করেন সেটি কাল আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পথ দেখাবে।
অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন তামারা হাসান আবেদ বলেন, আজ বিএসআরএম স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে মর্যাদা, ন্যায়বিচার ও সুযোগ তৈরির একটি মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের অঙ্গীকারকে আবারও পুনর্ব্যক্ত করছি।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, আমার বিশ্বাস এই সহযোগিতার ফলে ইন্ডাস্ট্রির জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অ্যাকাডেমিয়ার সঙ্গে একত্রিত হয়ে তা ইতিবাচকভাবে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং বিএসআরএম এর মানবিক মূল্যবোধ—সব মিলিয়ে এটি কেবল একটি উদ্যোগ নয়, বরং একটি বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তনের অংশ।
অনুষ্ঠানে বিএসআরএম স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র য ক ইউন ভ র স ট র অন ষ ঠ ন ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে ২ মাথা নিয়ে শিশুর জন্ম
রাজশাহীতে দুই মাথা নিয়ে একটি কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহীর খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতালে শিশুটির জন্ম হয়।
শিশুটির মায়ের নাম সুমাইয়া খাতুন, আর বাবা গোলাম আযম। তাদের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিল্লি বাজার এলাকায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রসব ব্যথা উঠলে সুমাইয়াকে রাজশাহীর খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তিনি একটি কন্যাশিশুর জন্ম দেন। শিশুটির দেহ একটি হলেও মাথা রয়েছে দুটি।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে পুকুরে ভাসছিল শিশুর নিথর দেহ
কুড়িগ্রামে পুকুরে ডুবে শিশুর মুত্যু
শিশুটিকে দেখার পর চিকিৎসকেরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। বর্তমানে শিশুটি রামেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে রায় বলেন, ‘‘এটি যমজ শিশু নয়, এটি জন্মগত ত্রুটি। শিশুটির দেহ ও যৌনাঙ্গ একটি হলেও মাথা দুটি। দুই মুখমণ্ডল থাকায় চারটি চোখ, চারটি কান, দুটি নাক এবং দুটি মুখ রয়েছে। শিশুটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ ধরনের শিশুর জন্ম খুবই বিরল ঘটনা।’’
ঢাকা/কেয়া/রাজীব