গাইবান্ধায় পল্লিচিকিৎসক অপহরণ: নতুন ভিডিওতে পুলিশের পোশাক পরা ব্যক্তির উপস্থিতি
Published: 4th, May 2025 GMT
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় পল্লিচিকিৎসক তরিকুল ইসলাম (৩৫) অপহরণের একটি নতুন ভিডিও পাওয়া গেছে। সেখানে পুলিশের পোশাক ও হেলমেট পরা এক ব্যক্তিকে দেখা গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই ব্যক্তি পুলিশের কর্মকর্তা বা সদস্য হলেও অপহরণের সময় তিনি বাধা দেননি।
তবে আজ রোববার বিকেলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার দাবি করেন, ঘটনাস্থলে পুলিশের কোনো লোক ছিলেন না। এটা অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে পুলিশের লোককে দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করা হলে ওসি বলেন, পোশাক হয়তো এ রকম হতে পারে। নানাজনে নানা কথা বলছেন।
নতুন পাওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি পল্লিচিকিৎসক তরিকুলকে টেনেহিঁচড়ে একটি অটোরিকশায় তুলছেন। পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে কিন্তু প্রশাসনের লোক আছে।’ তবুও তরিকুলকে অটোরিকশায় তোলা হয় এবং পরে তাঁকে ভ্যানে ধরে রাখা হয়।
গাইবান্ধায় পল্লিচিকিৎসক তরিকুল ইসলামকে অপহরণের সময় ঘটনাস্থলে হেলমেট ও পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তিকে দেখা যায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, স্ত্রীসহ কারাগারে ৬
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্বামীকে অপহরণ করে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে স্ত্রীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দ তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন— মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের মীর দেওহাটা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে হাসান মোল্লা (৩৪), মৃত আতোয়ার হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৫), একই এলাকার রহিম সিকদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৪), কোদালিয়া গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে মো. রানা (২০), বহুরিয়া ইউনিয়নের বহুরিয়া গ্রামের মঙ্গল সিকদারের ছেলে আরিফ (৩৩) এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন তালচানা গ্রামের আলকেসের মেয়ে আকলিমা বেগম (৪০)। তাদের মধ্যে আকলিমা অপহরণের শিকার রহিম মিয়ার স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
সোহাগ হত্যা মামলা: গ্রেপ্তার আরো ২
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সব থানায় চালু হচ্ছে অনলাইন জিডি
শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রাম থেকে অপহৃত রহিম মিয়াকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে, অপহরণে নেতৃত্ব দেওয়া রাকিব হোসেন (১৮) পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ
জানিয়েছে, একই ইটভাটায় কাজ করার সময় আব্দুর রহিমের সঙ্গে গ্রেপ্তার আকলিমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা বিয়ে করেন। ইটভাটায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর আব্দুর রহিম নিজ এলাকায় চলে যান। সেখানে তার আরেক স্ত্রী আছেন।
ছয়-সাত মাস ধরে যোগাযোগ না করায় আব্দুর রহিমকে শায়েস্তা করার ফন্দি আঁটেন আকলিমা। ফোন করে তাকে মির্জাপুরে আসতে বলেন তিনি। মির্জাপুরে আকলিমার ভাড়া বাসায় আসার পরপরই রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে অন্যরা আব্দুর রহিমকে মারধর করেন এবং গোড়াই পালপাড়ার একটি বাড়িতে নিয়ে জিম্মি করেন। এর পর তার স্বজনদের কাছে ফোন করে ৪ লাখ টাকা দাবি করা হয়। জিম্মি আব্দুর রহিমের স্বজনরা ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নির্ণয় করে দ্রুত অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঢাকা/কাওছার/রফিক