টেকনাফ সীমান্তে রাখাইনে আগুনের কুণ্ডলী, ধোঁয়া
Published: 4th, May 2025 GMT
কক্সাবাজারের টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমারের রাখাইনে আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। আজ রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টেকনাফের ওপারে তিনটি স্থানে আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া উড়তে দেখেছেন সীমান্তের বাসিন্দারা।
রোহিঙ্গারা বলছেন, রাখাইনে ফেলে আসা রোহিঙ্গাদের পরিত্যক্ত বাড়িঘরগুলো আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে আরাকান আর্মি। সম্প্রতি সময়ে মিয়ানমারে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি মানবিক করিডর নিয়ে ব্যাপক আলোচনায় মধ্য এ ধরনের ঘটনায় রোহিঙ্গাদের মধ্য আতঙ্ক বাড়ছে। এছাড়া সেখানে (মিয়ানমারে) থাকা রোহিঙ্গাদের ওপর আরাকান আরাকান আর্মি নির্যাতন চালানোয় এখনও তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।
সীমান্তের বাসিন্দা সাদেক হোসেন ফাহিম বলেন, ‘বিকেলে শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে ঘুরতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ জেটি ওপারে মিয়ানমার সীমান্তে রাখাইনে আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া উড়তে দেখি। এক সঙ্গে সীমান্তের ওপারে তিন-চারটি জায়গায় ধোঁয়া দেখা গেছে।’
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা মো.
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়ার বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছি। তবে আমাদের আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর নতুন করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছে।’
তবে সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠোকাতে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, বিজিবি সর্তক অবস্থানে রয়েছে। নতুন করে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট কন ফ র খ ইন আগ ন র খ ইন আর ক ন ক ন আর
এছাড়াও পড়ুন:
পাঁচ কোটির ক্লাবে জংলি, প্রযোজক জানালেন ব্লকবাস্টারের অপেক্ষায়
বিগত বছরের তুলনায় এবার ঈদুল ফিতরে সিনেমা নিয়ে দর্শকের উন্মাদনা ছিল অনেকটাই বেশি। মুক্তি পাওয়া হাফ ডজন সিনেমার মধ্যে অনেক সিনেমা নিয়েই দর্শকদের ন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মত। ঈদের সাড়া জাগানো একটি ছবি সিয়াম আহমেদের ‘জংলি’।
শুরুতে ‘জংলি’ সিনেমার প্রতি অন্যরকম ভাবনা ছিল দর্শকদের। কেউ ভেবেছেন এটি অ্যাকশন ঘরানার, আবার কেউ ভেবেছেন থ্রিলার স্টোরি। কিন্তু প্রেক্ষাগৃহে যাওয়ার পর ছবিটি দেখে ভিন্ন অভিজ্ঞতা পায় দর্শকেরা।
এর সঙ্গে ‘জংলি’ মুক্তির পর দিন যতো যায়, সিনেমাটি সাফল্যের আলো দেখতে থাকে ততটাই। এক মাস হলো ছবিটি মুক্তির। এখনও প্রেক্ষাগৃহে চলছে ‘জংলি’, দর্শকেও ভর্তি প্রেক্ষাগৃহের অন্দর।
দেশের মাল্টিপ্লেক্স, সিনেমা হলগুলো থেকে তো বটেই, বিদেশের থিয়েটার থেকেও সুখবর পাওয়া গেল সিয়াম আহমেদের এই ছবিটি নিয়ে। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে একটা বড় অঙ্কের টাকা আয় করেছে পরিচালক এম রাহিম-এর এই সিনেমাটি।
এদিকে মুক্তির মাস খানেক পর জংলি সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টাইগার মিডিয়া জানিয়েছে সিনেমাটি টোটাল ওয়ার্ল্ডওয়াইড গ্রস সেল ৫ কোটি ২ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিনেমাটিকে সুপারহিট দাবি করে ব্লকবাস্টার হিটে পথেও বলে দাবি করেছেন।
টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার জাহিদ হাসান অভি জানিয়েছেন, 'জংলি' আমাদের গোটা টিমের প্রচণ্ড প্যাশন প্রজেক্ট। আমরা খুব কনশাসলি এই প্রজেক্টটা রেডি করেছিলাম যেন মার্কেট থেকে লগ্নিকৃত অর্থ তুলতে পারি পাশাপাশি এই ভগ্নপ্রায় ইন্ডাস্ট্রি থেকে প্রফিট করে আরও মানুষকে অনুপ্রেরণা দিতে পারি। প্রযোজকরা যেন স্বপ্ন দেখার সাহস পায়, এটাই আমাদের ইচ্ছা ছিল। জংলির বাজেট আড়াই কোটি টাকা, রিলিজের আগেই আমরা প্রপার ব্র্যান্ড প্লেসমেন্ট, টিভি রাইটস থেকে বেশ ভালো একটা অংক ফেরত পেয়েছি। এদিকে সিনেমাহল থেকেও দেশে-বিদেশে দারুণ সাড়া পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত দেশের সিনেমাহল থেকে জংলি ৪ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা গ্রস সেল করেছে ও বাইরের দেশ থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা গ্রস সেল করেছে। জংলির টোটাল ওয়ার্ল্ডওয়াইড গ্রস সেল ৫ কোটি ২ লক্ষ টাকা।
অভি বলেন, 'জংলি'কে এখনও যেভাবে ভালোবাসা দিচ্ছেন আপনারা, তাতে করে আমি আমার এক যুগের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি 'জংলি' নিশ্চিতভাবেই ব্লকবাস্টার হতে যাচ্ছে।’
জানা গেছে, জনি থেকে জংলি হয়ে ওঠা চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ। সিনেমার প্রথমার্ধে সিয়ামকে সেই চিরায়ত ‘চকলেট বয়’ লুকে দেখা গেলেও পরে তার লুক ও অভিনয় ছিল আগের কাজগুলোর চেয়ে একেবারেই আলাদা। পর্দায় এবার তিনি পাশের বাড়ির ছেলে নন; বরং বখে যাওয়া এক জংলি। পর্দায় তিনি সত্যিই জংলি হয়ে উঠেছিলেন।