এবারের মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালনের পরিবেশে ভিন্নতা আছে: নুরুল কবির
Published: 4th, May 2025 GMT
গত বছরের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালনের পরিবেশ আর ২০২৫ এর পরিবেশে ভিন্নতা রয়েছে বলে জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদের সহ-সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির। তিনি বলেন, দেশের সরকার প্রধানদের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। রাজনীতিবিদদের ওপর সংবাদ কর্মীদের কাজের স্বাধীনতা নির্ভর করে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করতে গিয়ে সংবাদকর্মীদের অনেক ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়।
রোববার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সম্পাদক পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংবাদিক নেতারা। গণমাধ্যম থেকে ফ্যাসিবাদ বের করতে স্পষ্ট রূপরেখার প্রয়োজন বলে মত দেন তারা।
নিউ এজ সম্পাদক বলেন, সারাবিশ্বে যখন ঘটা করে মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করতে হয়, তখন বুঝতে হবে যে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এখন খর্ব হচ্ছে। বাংলাদেশে বিগত সময়ের চেয়ে এখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে পার্থক্য সূচিত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার যে সূচক, বাংলাদেশ এখনও সেই সূচকের অনেক নিচে অবস্থান করছে। গণমাধ্যমকে বাধাগ্রস্ত করার প্রধান শক্তি রাজনৈতিক দলগুলো।
তিনি বলেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যে অসম চুক্তি রয়েছে, তা এখনও রিভিউ করার কোনো উদ্যোগ দেখিনি। বরং আমরা দেখছি যে, যারা আন্দোলন করেছে, তারা ১৬ ডিসেম্বর মানে না- এর দায় কাদের? নারী সংস্কার কমিশন মানে না- এর দায় কাদের? একদিকে আমরা যেমন আশাবাদী হয়ে উঠছি, অন্যদিকে আবার আশঙ্কাও দেখছি, যে সংস্কারের বটম লাইন হবে- স্বাধীনতা। ’৭১ কে ধরেই সব ধরণের সংস্কার হতে হবে।
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম।
আলোচনা সভায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
সম্পাদকদের মধ্যে বক্তব্য দেন দ্য নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবির, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সমকালের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিন প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ বস র স ব ধ নত র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
এখনও হৃতিক সুজানের বন্ধুত্ব রয়ে গেছে
বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় তারকা জুটি হৃতিক রোশন ও সুজান খান। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। এই জুটির দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু সম্পর্কটি বিচ্ছেদে গড়িয়েছে। তবে বন্ধুত্ব টিকে আছে তাদের।
১৪ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক ছিন্ন করে দুইজন আলাদা হন। ২০১৪ সালে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়। তবে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখনও রয়েছে। প্রায়ই তাদের সন্তানদের নিয়ে একসঙ্গে ঘুরতে দেখা যায়।
বলা হয়ে থাকে, তারকাদের বিচ্ছেদ মানেই কোটি কোটি টাকার মামলা। হেভি ওয়েট তারকা হৃতিক রোশনের বেলায় মামলাটা যে অনেক বেশি টাকায় মেটাতে হবে, তাতো বোঝাই যাচ্ছে। হৃতিক-সুজান জুটি বিয়ে যেমন আলোচিত হয়েছিল, তেমনই তাদের বিচ্ছেদ নিয়েও আলোচনায় এসেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছেন, এটিই বলিউডের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিচ্ছেদ।
আরো পড়ুন:
হৃতিকের ছেলেকে পাপারাজ্জিদের তাড়া, ভিডিও ভাইরাল
আলোচনায় হৃতিক-কিয়ারার চুম্বন দৃশ্য
বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘হৃতিক-সুজান জুটির বিচ্ছেদ নিষ্পত্তিতে সুজান ৩৮০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫২৭ কোটি টাকা) পেয়েছেন। তবে বলা হচ্ছে, এটিই বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিচ্ছেদ হিসেবে রেকর্ড গড়ে।’’
উল্লেখ্য, নির্মাতা রাকেশ রোশনের ছেলে হৃতিক আর অভিনেতা সঞ্জয় খানের মেয়ে সুজান দুইজন-দুইজনের শৈশবের বন্ধু। ২০০০ সালে ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমা দিয়ে হৃতিক যখন বলিউডে অভিষেকের অপেক্ষায়, তখনই সুজানের সঙ্গে তার প্রেম চলছিল। চার বছর প্রেমের পর বিয়ে করেন তারা। ২০১০ সালের ‘কাইটস’ সিনেমার শুটিং চলাকালে হৃতিক ও সুজানের সম্পর্কে ফাটল ধরে।
দুইজনই নতুন প্রেমে রয়েছেন। হৃতিক প্রেম করছেন অভিনেত্রী সাবা আজাদের সঙ্গে, আর সুজান প্রেম করছেন আর্সলান গোনির সঙ্গে।
ঢাকা/লিপি