নতুন ঠিকানায় প্রিমিয়ার ব্যাংকের কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট শাখা
Published: 5th, May 2025 GMT
বৃহত্তর পরিসরে গ্রাহকদের সবচেয়ে আধুনিক এবং সর্বোত্তম সেবা দিতে প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট শাখা সম্প্রতি নতুন ঠিকানায় উদ্বোধন করা হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু জাফর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুদ্দিন চৌধুরী, এসইভিপি ও অপারেশনস বিভাগের প্রধান মো.
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ আবু জাফর বলেছেন, প্রিমিয়ার ব্যাংক টেকসই ব্যাংকিং ও গ্রাহকের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে এগিয়ে চলছে। আমরা গ্রাহকসেবা ও সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নতুন নতুন পণ্য চালুর মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করছি।
উদ্বোধন হওয়া স্থানান্তরিত কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট শাখায় (কুমিল্লার কোতোয়ালী মডেল থানা, গোমতী টাওয়ারের নিচতলায়) পুরোদমে ব্যাংকিং সেবা চালু হয়েছে।
ঢাকা/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক য ন টনম ন ট শ খ ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
কর আরোপ হওয়াতে অবৈধভাবে প্রযুক্তিপণ্য সহজেই বাজারে ঢুকবে—মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম
প্রশ্ন:
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিসিএসকে নেতৃত্ব দেওয়া কতটা চ্যালেঞ্জিং?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতিকে (বিসিএস) নেতৃত্ব দেওয়া নিঃসন্দেহে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি এখন অনেকটাই ভঙ্গুর। বিশেষ করে প্রযুক্তি ও কম্পিউটার ব্যবসা একধরনের স্থবিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাজার সংকুচিত হচ্ছে অথচ খরচ বাড়ছে—যার অন্যতম কারণ ব্যাংক সুদের উচ্চ হার। একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হলো চোরাচালান। কর আরোপ হওয়াতে অবৈধভাবে প্রযুক্তিপণ্য সহজেই বাজারে ঢুকবে, যা বৈধ ব্যবসায়ীদের জন্য প্রতিযোগিতাকে অসম করে তুলছে। পাশাপাশি কিছু পণ্যের ওপর অযৌক্তিক হারে উচ্চ শুল্ক আরোপ ব্যবসাকে আরও জটিল করে তুলেছে। এতে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছে বৈধ পথে ব্যবসা করতে।
এই পরিস্থিতিতে বিসিএসের নেতৃত্ব নেওয়া মানে কেবল সংগঠনের কাজ চালিয়ে যাওয়া নয়। বরং নীতিগত পর্যায়ে সক্রিয় থেকে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করাও। কিন্তু এখানেও চ্যালেঞ্জ আছে—কারণ, সরকার বর্তমানে অতিমাত্রায় ব্যস্ত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে। ফলে প্রযুক্তি খাত কিংবা ব্যবসায়িক নীতিমালা নিয়ে কার্যকর সংলাপ কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রশ্ন:এবারে বিসিএসে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হলো। কেন?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: এবারই প্রথমবারের মতো বিসিএসে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হয়েছে, যা সংগঠনের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা। এর পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। কয়েক বছর ধরে বিসিএসের নেতৃত্ব কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছিল। সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে সংগঠনের কার্যক্রম ও গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়। তদুপরি, সদস্যপদ–সংক্রান্ত অনিয়ম এবং ভুতুড়ে সদস্যদের কারণে নির্বাচনী ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কেউ কেউ একাধিক ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ভোটার হন, এমনকি কেউ কেউ ২০টি পর্যন্ত ভোট দিতেন। ফলে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা অনেক সময় নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। বিসিএসে ৩ হাজারের বেশি সদস্য থাকলেও, অনেকেই প্রকৃত কম্পিউটার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন। এসব ভুতুড়ে সদস্যদের সঠিক যাচাই ও সদস্যপদ বাতিলের কার্যক্রম শুরু করা হবে। আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই যাচাই-বাছাই করে আমরা প্রকৃত সদস্যদের সংরক্ষণ করব এবং ভুয়া সদস্যদের বাদ দেব। এবারের নির্বাচনে প্রশাসকের দায়িত্বে থাকার সময় সদস্যদের পক্ষ থেকে আমার প্রতি আস্থা ও প্রত্যাশা ছিল। তাই আমাকে আহ্বায়ক করা হয়েছিল। যদিও আমি তখন আইনগত সীমাবদ্ধতার কারণে দায়িত্ব নিতে পারিনি, তবুও সেই আস্থার প্রতিফলন হিসেবেই এবার আমি নির্বাচন করেছি আর সাতজনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছি। অনেক সাবেক প্রার্থী এবার আসেননি, কারণ তাঁরা জানতেন ভুয়া সদস্যদের দিয়ে ফলাফল নিয়ন্ত্রণ করা এবার আর সম্ভব হবে না। অন্যদিকে সংগঠনের আর্থিক দুর্বলতা—যেমন প্রতিবছর প্রায় ১ দশমিক ৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়। অনেক যোগ্য প্রার্থীকে এ জন্য পেছনে টেনে দিয়েছে। তাঁরা ভেবেছেন, এত বড় দায়িত্ব ও ব্যয়ের চাপ নেওয়া বাস্তবসম্মত নয়।
প্রশ্ন:বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত কমিটি কি ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারবে?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: অবশ্যই পারবে। আমরা যাঁরা দায়িত্বে এসেছি, তাঁরা কেউই কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়, বরং বিসিএসকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আগ্রহী হয়েই এসেছি। নির্বাচনের আগে থেকেই আমরা সাতজন মিলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মতের ভিন্নতা না রেখে একটি সম্মিলিত ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব গঠন করব। এই নির্বাচনে আমরা সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত হয়েছি, যা প্রমাণ করে আমাদের প্রতি সদস্যদের আস্থা ও প্রত্যাশা অনেক বেশি। এটি যেমন একটি বড় সম্মান, তেমনি বড় দায়বদ্ধতাও। এই আস্থা ধরে রাখার জন্য আমরা সংগঠনের উন্নয়ন এবং স্বচ্ছতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে বাস্তবতা হলো, সাতজন সদস্য দিয়ে পুরো বিসিএসের মতো একটি বড় সংগঠন পরিচালনা করা কঠিন। তাই আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে—কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ১১ জনে উন্নীত করার। এ বিষয়ে আমরা শিগগিরই একটি ইজিএম আহ্বান করব এবং সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।
প্রশ্ন:শাখা কমিটিগুলোর বর্তমান অবস্থা কেমন?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: শাখা কমিটিগুলো এখনো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তবে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা অভ্যন্তরীণভাবে শাখা কমিটিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছি। অনেক শাখায় অফিস ভাড়া ও পরিচালনার বিষয়ে জটিলতা দেখা দেয় এবং কিছু শাখার কাজ স্থবির হয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে গত এক বছরে রাজনৈতিক কারণে কিছু শাখা এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল, যেন তা কোনো রাজনৈতিক দলের অফিস হয়ে গেছে। আমাদের লক্ষ্য হলো এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে এবং শাখাগুলোকে আবার সক্রিয় ও সচ্ছল করা।
প্রশ্ন:তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের ভবিষ্যৎ কী দেখছেন?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: আইসিটি খাতের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল, যদি সঠিকভাবে কাজ করা হয়। আমরা তৈরি পোশাক খাতে যেমন একটানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে আছি, ঠিক তেমনি আইসিটি খাত আমাদের দেশের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। তৈরি পোশাকের মতো একক খাতে বড় অগ্রগতি সীমিত, কারণ লেবুর মতো, যত বেশি চেপে ধরবে, তত রস কম বেরোবে। তাই আমাদের উচিত নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করা, যেমন আইসিটি। বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, অটোমেশনসহ নানা প্রযুক্তির কারণে পৃথিবীর অনেক দেশই এ খাতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও প্রযুক্তি ব্যবহারে অনুপ্রেরণা বৃদ্ধি করতে হবে। দেশের প্রতিটি ছেলেমেয়েকে আইটি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে, যেন তারা বিদেশে গিয়ে চাকরি না খুঁজে বরং দেশের প্রযুক্তি খাতে অবদান রাখতে পারে। সরকারের উচিত প্রাথমিক পর্যায় থেকেই বিনা মূল্যে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার সরবরাহ করা, যাতে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল শিক্ষার সুযোগ পায়। শুধু ছাত্র-ছাত্রী নয়, কৃষক, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, প্রত্যেককেই প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করে দেশের সার্বিক উন্নয়ন করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কৃষকদের জন্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আবহাওয়া, ফসলের রোগব্যাধি নির্ণয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা গড়ে তোলা যেতে পারে।
প্রশ্ন:বাজেটে মনিটর, রাউটার ও এসএসডির দাম বেড়েছে। বিসিএস সভাপতি হিসেবে আপনি কী করবেন?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: শুল্ক বাড়ার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। আমি এনবিআরের চেয়ারম্যান সাহেবের সঙ্গে কথা বলছি, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সাহেবের কাছে এটার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছে, অনুরোধ করা হয়েছে ডিও দেওয়ার জন্য। গতকালকেও আমি কয়েকবার ফোন করছি। কিন্তু এইটা (শুল্ক আরোপ) কেন করা হয়েছে, এটা দিয়ে সরকারের কতটুকু লাভ হবে। এসএসডির ওপর ৩৮ শতাংশ শুল্ক থাকলে কেউ তা দিয়ে আনবে না। ফলে অবৈধভাবে এ পণ্য আসবে। আর একটা মনিটরের ওপরে এত বেশি শুল্ক আরোপ করার কারণে যারা এখন পেশাদার কাজ করবে তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। একটা মনিটরের দাম যে ২ হাজার ৪০০ টাকা বেড়ে গেল, তো এই টাকাটা যাচ্ছে কেন সাধারণ মানুষের পকেট থেকে। তার মানে হলো এখন কালোবাজারিটা বেশি হবে। আইফোন কোনো কর দিয়ে বাংলাদেশে আসে না, তাহলে আইফোনের ওপর শুল্ক দিয়ে লাভ হয়েছে কী? আমাদের দেশের ব্যবসা ও প্রযুক্তি খাতকে মজবুত করতে হলে নীতি ও অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে, যাতে বাংলাদেশের আইসিটি খাত বিশ্বমানের সাফল্য অর্জন করতে পারে।
প্রশ্ন:স্টারলিংক আসায় দেশের আইসিটি খাতে কী প্রভাব পড়বে?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: আমরা নিজেরাও স্টারলিংকের পুনর্বিক্রেতা হওয়ার জন্য আবেদন করছি। তাদের মোট দাম কত এবং ব্যবহারের জন্য এর যৌক্তিকতা, পারফরম্যান্স বিচার করে আমরা সঠিক জবাব দিতে পারব। কিন্তু আমি একটা কথা বলতে চাই, স্টারলিংক আসায় আমাদের জন্য একটি বড় সুবিধা হলো বাজারে প্রতিযোগিতার সুযোগ বাড়বে। কারণ, শেষ পর্যন্ত যেই পলিসি সঠিক হবে, সেটাই আমাদের লাভজনক হবে।
প্রশ্ন:বিসিএস সভাপতি হিসেবে আপনার প্রথম কাজ কী হবে?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: বিসিএসের সভাপতি হিসেবে আমার প্রথম কাজ হবে দেশের আইসিটি খাতের প্রধান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে আগামী দুই বছরের জন্য একটি কার্যকর কর্মপরিকল্পনা বা ক্যালেন্ডার তৈরি করা। আমাদের দেশের আইসিটি বাজারের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন সঠিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা। বর্তমানে অনেক টাকা বিদেশে প্রশিক্ষণ ও সার্ভিসিংয়ে ব্যয় হচ্ছে, যা আমাদের দেশে যদি সঠিকভাবে বিনিয়োগ করা যায় তাহলে দেশে মেধাবী জনশক্তি বাড়ানো সম্ভব হবে। আমার লক্ষ্য হবে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস বাড়ানো, যাতে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী হয়। একই সঙ্গে আমাদের স্থানীয় সার্ভিসিং খাতকে উৎসাহিত ও সঠিকভাবে উন্নয়ন করা প্রয়োজন, যাতে দক্ষ কর্মীরা দেশেই ভালো সুযোগ পায়। অন্যদিকে, আমি প্রস্তাব করব দেশের সব শিক্ষার্থী, বিশেষ করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনা মূল্যে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার বিতরণ করার ব্যবস্থা করা হোক। সরকারি ব্যবস্থাপনাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে দেশ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এসব অব্যবস্থাপনা বন্ধ করে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নীতি গ্রহণ করতে হবে। সবশেষে আমার প্রধান দায়িত্ব হবে দেশের আইসিটি খাতকে একটি আধুনিক, দক্ষ ও স্বনির্ভর খাতে পরিণত করা, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
প্রশ্ন:শোনা যাচ্ছে আপনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবেন, সেটা কোন দল থেকে করবেন?
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার রাজনৈতিক বিশ্বাস বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) আদর্শের সঙ্গে জড়িত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমি অনুপ্রাণিত এবং তাঁকে আমি সম্মান করি। তিনি যেভাবে দেশ ও জনগণের জন্য কথা বলেন, সেটা আমার কাছে অনেকটাই গ্রহণযোগ্য। আমি এখনো কোনো রাজনৈতিক পদে নেই, তবে একজন শক্তিশালী সমর্থক হিসেবে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত। আমার মনে হয় এই মুহূর্তে দেশের জন্য বিএনপি ছাড়া আর কোনো দল সত্যিকারের বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত নয়। দেশের উন্নয়নে বিএনপিই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব কি না, তা নির্বাচনী মনোনয়নের ওপর নির্ভর করবে। আমি মনে করি, যাকে জনগণ নেতা মনে করবে, তাকে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। রাজনীতিকে নোংরা ভাবা ভুল; যারা দেশকে ভালোবাসে, তাদের উচিত এই জায়গায় সক্রিয় হওয়া। আমার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে, যেখানে আমি বড় হয়েছি। আমার মাটির গন্ধ ও মানুষের ভালোবাসা আমার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। সম্প্রতি ওই এলাকার সাবেক এমপি মারা গেছেন, যে কারণে এলাকার মানুষের দৃষ্টি আমার ওপর আরও বেশি পড়েছে। তবে আমি বলেছি, রামগঞ্জে অনেক মেধাবী ও সৎ মানুষ আছেন, যাঁরা এলাকার জন্য ভালো কাজ করতে পারবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম: আপনাকেও ধন্যবাদ।