শেখ হাসিনার মামলার রায়, গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি স্বাভাবিক
Published: 17th, November 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ‘পলাতক’ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা চলছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়।
রায়কে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে। জেলা শহরের বাসিন্দারা নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন। অফিস থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শহর জুড়ে চলাচল করছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন।
আরো পড়ুন:
বিশ্ব দেখছে শেখ হাসিনার বিচার
রাজধানীর প্রবেশমুখ যাত্রাবাড়ী এলাকায় গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক
জেলার টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া, কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলাগুলোর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। মোতায়েন রয়েছে ৩ প্লাটুন বিজিবি। তাদের বিভিন্ন স্থানে টহল দিতে দেখা গেছে।
গোপালগঞ্জ শহরের শরবত ব্যবসায়ী মিন্টু আলি খান বলেন, “সকাল থেকে দোকান নিয়ে বসেছি। এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি। পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।”
রিকশাচালক সোহাগ মোল্যা বলেন, “সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। কোথাও কোনো বাধার মুখ পড়তে হয়নি। অনেক মানুষ সড়কে চলাচল করছেন।”
এর আগে, আজ ভোরে জেলার কাশিয়ানীতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশ গিয়ে তাদের ধাওয়া করে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
গোপালগঞ্জের পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মুকসুদপুর সার্কেল) মো.
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, “কয়েকজন লোক রাস্তায় উঠে অবরোধের চেষ্টা করেছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় তারা। অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে পারেনি দুষ্কৃতকারীরা।”
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবির টিএসসিতে বড় পর্দায় সম্প্রচার চলছে হাসিনার রায়
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ দায়ে মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম রায় সরাসরি বড় পর্দায় সম্প্রচার করা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে পায়রা চত্বরে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে সম্প্রচার শুরু হয়। আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। এসময় ঢাবি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, খুনি হাসিনার বিচার চাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, খুনি হাসিনাকে ফাঁসি দে’, ‘লীগ ধর , জেলে ভর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
ঢাবি শিক্ষার্থী আরিফ হাসান বলেন, আজকে আমাদের কাছে আনন্দের দিন। কেননা যে হাসিনা দীর্ঘ ষোলো বছর নানাভাবে আমাদের ওপর অত্যাচার করেছে এবং সর্বশেষ জুলাই অভ্যুত্থান আমার ভাই-বোনদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে, সেই খুনি হাসিনার আজকে রায় হচ্ছে। আমরা তার ফাঁসির রায় চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল সংসদের সদস্য সাইয়েদুজ্জামান নূর আলভী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ও খুনি হাসিনা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের মানুষের ওপর নির্যাতন করে গিয়েছে। ১৭ বছরে গুম, খুনসহ নানা অপরাধ করেছে। তারপর জুলাইতে তারা যে গণহত্যা চালিয়েছে, তার দায়ে খুনি হাসিনার রায়ের জন্য আমরা এখানে অপেক্ষা করছি। আমরা তার ফাঁসির রায় দেখার জন্যই অপেক্ষা করে আছি।
ঢাবি শিক্ষার্থী উবায়দুর রহমান হাসিব বলেন, জুলাইয়ে আমাদের ভাইকে যারা খুন করেছে সেই খুনের মাস্টারমাইন্ড খুনি হাসিনা। হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি, তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হবে সেই প্রত্যাশা নিয়ে আছি।
ঢাকা/সৌরভ/ফিরোজ