বাংলাদেশ-কোরিয়া কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদারের তাগিদ
Published: 7th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ ও কোরিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অনেক বাড়ানো সম্ভব। বাংলাদেশে কোরিয়ার বিনিয়োগ বাড়ানোরও সুযোগ রয়েছে। এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার করা দরকার।
ইস্টার্ন ব্যাংক এবং কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ‘বাংলাদেশে কোরীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি: সুযোগ, চ্যালেঞ্জ ও নীতিমালা সংস্কার’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন। রাজধানীতে ইবিএল প্রধান কার্যালয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে কোরীয় প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং-সিক। বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে দেশটির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ও কর্মক্ষম জনবলের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
কোরিয়া-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে সংলাপ চলমান রাখা, নীতি সহায়তা এবং বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করেন কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট শাহাব উদ্দীন খান।
ইবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার আন্তঃদেশীয় বিনিয়োগ বাড়াতে ইস্টার্ন ব্যাংকের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নাহিয়ান রহমান রচি। তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরে রেগুলেটরি রিফর্মস এবং সুশৃঙ্খল পরিষেবার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দোকানিদের ভবনে ফেরাতে পদক্ষেপ নিন
চট্টগ্রাম নগরীতে কাঁচাবাজারের জন্য খ্যাত চকবাজারের ধনির পুল এলাকায় সাড়ে পাঁচ বছর আগে ছয় কোটি টাকায় একটি তিনতলা ভবন নির্মাণ করেছিল সিটি করপোরেশন। কয়েক দফা পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বিক্রেতা বা দোকানদারেরা ভবনটিতে দোকান নিয়ে বসছেন না। ফুটপাতে বাজার বসার কারণে ওই এলাকায় যানজট লেগেই আছে, ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে পাশের খালেও জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। অথচ ভবন নির্মাণে পরিকল্পনায় ভুল থাকায় এ সংকট তৈরি হয়েছে। কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়ে ভবনটিকে কাজে লাগাতে হবে।
চকবাজারের এই কাঁচাবাজার নিয়ে প্রথম আলো আগেও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সম্ভাব্যতা যাচাই করা ছাড়া বা পরিকল্পনাহীন অবকাঠামো নির্মাণ করার মধ্য দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের বাস্তব উদাহরণ এটি। জনগণের অর্থে নির্মিত ভবনটি জনগণের কোনো উপকারেই আসছে না। দোকানদার বা বিক্রেতারা এখানে সুফল পাওয়ার কথা থাকলেও তা থেকে পুরোপুরিই বঞ্চিত তাঁরা। অন্যদিকে ফুটপাতে দোকান বসার কারণে নানাভাবে নাগরিক দুর্ভোগ বেড়ে গেছে, ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশেরও।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নতুন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা শাহাদাত হোসেন ভবনটিকে চালু করার প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ফুটপাতে দোকানদারদের ভবনের দোতলায় পুনর্বাসন করেন তিনি। এ জন্য তাঁদের কোনো দোকানভাড়া দিতে হচ্ছিল না। শুধু বাজারের ইজারাদারের টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছিল। ফুটপাতে থাকার সময়ও এই অর্থ দিতে হতো। এরপরও দোকানিরা ভবনে থাকেননি। দু-তিন মাস না যেতেই আবার ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ব্যবসা শুরু করেন সবজি বিক্রেতারা। গত শুক্রবার ফুটপাত ও সড়কে দোকান দেখে ক্ষুব্ধ হন মেয়র শাহাদাত হোসেন।
তার মানে, শুধু দোকানিদের পুনর্বাসনই যথেষ্ট নয়। কাঁচাবাজারটি যখন পুরোনো ভবনে ছিল, তখন দোকানের বিন্যাস যেমন ছিল নতুন ভবনে সেটি হয়নি। আগের ভবনে সবজি, পেঁয়াজ, রসুনের বাজার ছিল নিচতলায়। দোতলায় ছিল মাছ-মাংসের বাজার। নতুন ভবনে হয়েছে উল্টো। মানুষ নিচতলা থেকে মাছ-মাংস কিনে সবজির জন্য আর দোতলায় উঠতে চান না। ফলে দোতলায় থাকা দোকানিরা বলছেন, ক্রেতারা না আসায় তাঁদের পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁরা ফুটপাতে বসছেন। ফুটপাতে যেখানে তাঁদের দৈনিক বিক্রি ৪০-৫০ হাজার টাকা ছিল, নতুন ভবনে তা কমে ৮-১০ হাজার টাকায় নেমে এসেছে।
ভবনটিকে যেভাবেই হোক কাজে লাগাতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া। পুরোনো ভবনে যেভাবে বাজারের দোকানগুলো বরাদ্দ করা ছিল, নতুন ভবনেও সে অনুসারে করা যায় কি না, বিবেচনা করা হোক। তা ছাড়া ক্রেতাদের মানসিকতায়ও পরিবর্তন আনতে হবে। ফুটপাতে দোকান বসানো ও খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।