ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসরায়েলি-মার্কিন জিম্মি এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বধীনতাকামী সংগঠন আন্দোলন হামাস। খবর বিবিসি, আলজাজিরার

এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আলোচনা পুনরায় চালু করতে এবং গাজা উপত্যকায় আমাদের জনগণের কাছে সাহায্য ও ত্রাণ সরবরাহ পৌঁছানোর অংশ হিসেবে মার্কিন ইসরায়েলি সৈনিক এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়া হবে।’

গত ৭০ দিন ধরে গাজায় খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানিসহ সব সাহায্য প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে ইসরাইল।

তবে হামাসের বিবৃতিতে ২১ বছর বয়সী আলেকজান্ডারকে কখন মুক্তি দেওয়া হবে তা উল্লেখ করা হয়নি, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ ইসরায়েল সফর করবেন।

জানা গেছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি কাতারে মার্কিন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেছে। কর্মকর্তা বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলছে এবং যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা এবং মানবিক সাহায্য প্রবেশকে সহজতর করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে।

তেল আবিবে জন্মগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে বেড়ে ওঠা আলেকজান্ডার গাজার সীমান্তে একটি অভিজাত পদাতিক ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় হামাস তাকে ধরে নিয়ে যায়।

ইসরায়েলের সঙ্গে আর যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী নয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। মঙ্গলবার (৬ মে) গোষ্ঠীটির এক সিনিয়র কর্মকর্তা এমনটা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলের ‘ক্ষুধার যুদ্ধ’ বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ফিলিস্তিনের গাজায় আরও আগ্রাসী পদক্ষেপের দিকে যাচ্ছে ইসরায়েল। হাজারো সংরক্ষিত সেনা তলব করে শুরু হয়েছে বড় অভিযানের প্রস্তুতি। এ নিয়ে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

জিম্মিদের মুক্তির অজুহাতে গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর নারকীয় তাণ্ডব চালানোর পর এবার ভিন্ন কথা বলছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তি নয়, যুদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্য হামাসকে পরাজিত করা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

তিন বছরের চুক্তিতে রিয়ালের কোচ আলোনসো 

রিয়াল মাদ্রিদের পরবর্তী কোচ হচ্ছেন জাবি আলোনসো। তার সঙ্গে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি করছে লস ব্লাঙ্কোসরা। ফুটবল দলবদল বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক ফ্যাবরিজিও রোমানো দাবি করেছেন, দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়ে গেছে।

তবে রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। ওই ঘোষণা আসতে সময় লাগতে পারে আরও এক থেকে দুই সপ্তাহ। তবে বায়ার লেভারকুসেনের পোস্ট ও জাবি আলোনসোর বার্তা থেকে পরিষ্কার চুক্তি নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

গতকাল ঘরের মাঠে মৌসুমের শেষ ম্যাচ খেলেছে লেভারকুসেন। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ৪-২ গোলে ম্যাচটি হেরেছে তারা। ম্যাচ শেষে জাবির ছবি দিয়ে লেভারকুসেন তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। সঙ্গে নতুন অধ্যায়ের জন্য শুভকামনা জানিয়েছে।

পরবর্তী গন্তব্য কোথায় এমন প্রশ্নে আলোনসো বলেন, ‘আমার পরবর্তী ক্লাব? আমি সেখানে খুশী থাকতে চাই। সুতরাং এখন কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

ফ্যাবরিজিও জানিয়েছেন, আলোনসো জুনের ক্লাব বিশ্বকাপ থেকেই রিয়াল মাদ্রিদের ডাগ আউটে দাঁড়াতে সম্মত হয়েছেন। চলতি লা লিগা মৌসুম শেষে তাকে কোচ হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে রিয়াল। আগামী সপ্তাহে কার্লো আনচেলত্তিকেও বিশেষ সম্মাননার দেবে ব্লাঙ্কোস বোর্ড।

জাবি আলোনসো রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক মিডফিল্ডার। তিনি ২০০৯-১৪ পর্যন্ত লস ব্লাঙ্কোসদের জার্সিতে খেলেছেন। এছাড়া লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখে খেলেছেন। কিংবদন্তি কোচ হোসে মরিনহো, পেপ গার্দিওলা, রাফায়েল বেনিতেজের অধীনে খেলেছেন তিনি। তার বাবা স্পেন জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছিলেন। খেলেছেন বার্সা ও রিয়াল সোসিয়েদাদে। সোসিয়েদাদের কোচও ছিলেন। স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ী দলের এই সদস্য ২০১৭ সালে অবসরের পর ২০১৯ সালে রিয়াল সোসিয়েদাদ ‘বি’ দলে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন।

২০২২ সালে বায়ার লেভারকুসেনের কোচ হয়ে ১১৯ বছরের ইতিহাসে ক্লাবকে প্রথম শিরোপা জেতান। এরপরই তাকে কোচ করতে লিভারপুল, বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে প্রাণের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ দিয়ে নিজেকে প্রমাণের নতুন চ্যালেঞ্জ নিলেন তিনি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ