নাফনদে আরাকান আর্মি গুলিতে দুই জেলে আহত
Published: 12th, May 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদে মাছ ধরার সময় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির গুলিতে দুই বাংলাদেশি জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে নাফনদে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিতে আহতরা হলো- টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা হেদায়েত উল্লাহ (১৭) ও মো. হোসেন (১৬)। তারা কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, নাফনদে মাছ ধরতে যাওয়া দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহতরা কক্সবাজারের সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুরে নাফনদে বাংলাদেশ অংশে মাছ ধরতে গেলে আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এ সময় হেদায়েত উল্লাহ ও হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়।
শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মো.
গুলিবিদ্ধ আহত হেদায়েত উল্লাহ বড় ভাই আবদুর রহিম বলেন, ‘মাছ ধরতে গিয়ে আরাকান আর্মির গুলিতে আমার ভাইসহ দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।’
এদিকে টেকনাফের লেদা এলাকা থেকে তিন জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ফ নদ আর ক ন আর ম আর ক ন আর ম র গ ল ব দ ধ হয়
এছাড়াও পড়ুন:
আজ শাহবাগ অবরোধ করলেন জুলাইয়ের আহতরা
আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও আহতদের উন্নত চিকিৎসার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহতরা। রোববার সকালে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগের দুইদিন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সেখানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এনসিপিসহ চরমোনাইর পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন, হেফাজতে ইসলাম সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল, এবি পার্টি, লেবার পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ জুলাই অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক বিভিন্ন সংগঠন।
রাজপথে চলমান আন্দোলনের আহত অংশগ্রহণকারীরা বলেন, তারা কোনও রাজনৈতিক দলের ব্যানারে আন্দোলন করলেও ‘জুলাই সনদ’কে হারিয়ে যেতে দিতে চান না। আহতদের দাবি, তাদের জীবন থাকতেই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর পুনর্বাসন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।
তারা আওয়ামী লীগকে ‘ভারতের রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধের নামে নাটক নয়, আইনের প্রয়োগ ঘটিয়ে দলটিকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে।’ আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট বার্তা, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়া তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
এছাড়া তারা দাবি করেন, রাজপথে অবস্থানকালেই ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করতে হবে। আহতদের চিকিৎসা নিশ্চয়তা দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসা জরুরি বলেও তারা জানান। দাবি তোলা হয়, আহতদের আজীবন চিকিৎসার ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে।
আন্দোলনকারীরা হুশিয়ারি দেন, যতদিন পর্যন্ত না তাদের সব দাবি পূরণ হবে, ততদিন পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
এর আগে শনিবার (১০ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে। এর পাশাপাশি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।