কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদে মাছ ধরার সময় মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির গুলিতে দুই বাংলাদেশি জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে নাফ নদে এ ঘটনা ঘটে। 

গুলিতে আহতরা হলো- টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা হেদায়েত উল্লাহ (১৭) ও মো. হোসেন (১৬)। তারা কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  

ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, নাফ নদে মাছ ধরতে যাওয়া দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহতরা কক্সবাজারের সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুরে নাফ নদে বাংলাদেশ অংশে মাছ ধরতে গেলে আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এ সময় হেদায়েত উল্লাহ ও হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়। 

শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মো.

রেজাউল বলেন, সকালে বড়শি নৌকা দিয়ে তিন জেলে নাফ নদে মাছ শিকারে যায়। এরপর হঠাৎ দুপুরে আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে, এতে জেলেরা গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় জেলেদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

গুলিবিদ্ধ আহত হেদায়েত উল্লাহ বড় ভাই আবদুর রহিম বলেন, ‘মাছ ধরতে গিয়ে আরাকান আর্মির গুলিতে আমার ভাইসহ দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।’

এদিকে টেকনাফের লেদা এলাকা থেকে তিন জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন ফ নদ আর ক ন আর ম আর ক ন আর ম র গ ল ব দ ধ হয় ন ফ নদ

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে বজ্রপাতে মাদরাসা ছাত্র নিহত

নড়াইলের সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে বজ্রপাতে জাবেদ বিশ্বাস মিঠুল (২০) নামে এক মাদরাসা ছাত্র নিহত হয়েছেন। এ সময় পাশে থাকা তার বাবা আহত হন।

বৃহস্পতিবার (২৬জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শাহাবাদ ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া পৃথক বজ্রপাতে দুই নারী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

নিহত মিঠুর বিশ্বাস চাঁদপুর গ্রামের আমিনুর বিশ্বাসের ছেলে। সে স্থানীয় জুড়ালিয়া মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র।

আরো পড়ুন:

ডোমারে বজ্রপাতে স্কুলছাত্র নিহত, আহত ৩

হাকিমপুরে বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে মিঠুল বিশ্বাস ও তার বাবা আমিনুর বিশ্বাস বাড়ির পাশে জমিতে আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন। এ সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে মিঠুল গুরুতর আহত হন এবং তার বাবা আমিনুর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মিঠুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, একইদিনে পৃথকস্থানে বজ্রপাতে আহত হয়ে আরো দুইজন নারী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতরা হলেন চাঁদপুর গ্রামের লাভলী বেগম (৩৮) ও নড়াইল পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার লিলি বেগম (৬০)।

নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার সোহেলী জামান জানান, মিঠুল নামে এক যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। বজ্রপাতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে গেছে। এছাড়া বাকী আহতরা আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।

নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজেদুল ইসলাম দুপুরে বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/শরিফুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নড়াইলে বজ্রপাতে মাদরাসা ছাত্র নিহত