প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ ৯ স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
Published: 15th, May 2025 GMT
প্রধান বিচারপতির বাসভবন, মাজার গেটসহ রাজধানীর ৯ স্থানে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ডিএমপি।
বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে অদ্য ১৫ মে বৃহস্পতিবার হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২ এর প্রবেশ গেট, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ভবনের সম্মুখে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায় ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে পুনরায় অনুরোধ জানানো হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রদল নেতা হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ, ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এবং প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেছে ছাত্রদল।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে এসে ভিসি চত্বরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এসময় তাদের 'আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না, আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে' ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বাদ যোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শাহরিয়ার আলম সাম্যের জানাজা অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন নাছির।
নাছির বলেন, বিভিন্ন ক্যাম্পাসে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে একজন মানসিক ভারসাম্যহীনকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের এক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আজ ছাত্রদলের। পরীক্ষিত নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে যেভাবে হত্যা করেছে, সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শতভাগ নিষ্ক্রিয় ছিল।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির বদলে একটি ছাত্রসংগঠনকে বিভিন্ন হলে দখলদারিত্ব করতে সহায়তা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর হলগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচার আমরা দেখিনি। এফএইচ হলের পুরোপুরি তদন্ত করে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে দেখিনি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় এখনো বিচার শুরু হয়নি।
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কীভাবে একজন শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে মধ্যরাতে লাইটিং অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। উপাচার্য কীভাবে মুচকি হাসি রেখে সপদে বহাল থাকে, আমি সে প্রশ্ন করতে চাই।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের কোথাও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে পারেনি। এই সরকারে অতি দ্রুত ভিসি-প্রক্টরকে সরানোর দাবি জানাচ্ছি। নাহলে শুধু ভিসি প্রক্টরের বিরুদ্ধে নয়, আমরা ইন্টেরিম সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বাধ্য হবো।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ শেষে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির ভিসি প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানান