ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে কমপক্ষে আরও ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কানাডা, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের নেতারা। 

মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এই তিন দেশ ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে গাজায় আক্রমণ বন্ধ না করলে "জোরালো পদক্ষেপ" বা নিষেধাজ্ঞার মতো সিদ্ধান্ত নিবে তারা।

অন্যদিকে ২২টি দেশ অবরুদ্ধ ছিটমহলে সাহায্য পাঠাতে আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলকে। তবে এসব বিষয়কে তোয়াক্বা করছে না তারা। নিজেদের ঘোষণা অনুযায়ী গাজা দখলের জন্য উপত্যকাজুড়ে চালিয়ে যাচ্ছে সর্বাত্মক হত্যাযজ্ঞ।

ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাহায্যের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি আরও আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই প্রতিশ্রুতির মধ্যে সমগ্র গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে ইসরায়েলের।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের নতুন হামলায় ইরানের আইআরজিসির গোয়েন্দা প্রধান নিহত

ইরানের রাজধানী তেহরানে এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থিত সামরিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

স্থানীয় সময় রবিবার (১৫ ‍জুন) বিকেলে চালানো এ হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কাজেমি এবং তার ডেপুটি হাসান মোহাকিক নিহত হয়েছেন।

রবিবার রাতে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন ও সংবাদ সংস্থাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলে ৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান, তেল আবিব ও হাইফাতে সরাসরি আঘাত

ইরানে আবারো হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরো জানিয়েছে, তেহরানে ইসরায়েলের নতুন হামলায় আইআরজিসির তৃতীয় ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোহসেন বাঘেরিও নিহত হয়েছেন।

এর আগে, শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের প্রথম হামলায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসির কমান্ডার হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং অন্তত ছয় জন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল ইরান। 

রবিবার ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৯০০ জন। হতাহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ জন নারী এবং বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ