আমি পর্বতপ্রেমী মানুষ। জীবনের বড় একটা সময় পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে কাটিয়েছি। কিন্তু এ দেশে অত পর্বতই বা কই? ভারত-নেপাল এমনকি বান্দরবানের পাহাড়ের নাগাল পাওয়াও যখন দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে, তখনই মাথায় আসে নদী। নদীর দেশ, তো নদীতে যাই না কেন? ভাবনার পালে প্রথম হাওয়াটা লাগে ২০২৩ সালে, সুনামগঞ্জ গিয়ে। আমি আর বন্ধু মুনীম সেবার সুরমা নদীতে নৌকা চালিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসি। এই অসাধারণ অভিজ্ঞতার পর কায়াকের পোকাটা মাথায় স্থায়ীভাবে ঢুকে পড়ে। অল্প অল্প করে কায়াকের কেরামতি রপ্ত করি। ঢাকার আশপাশের নদীগুলোয় ছোট ছোট কয়েকটা ট্রিপ, কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে অষ্টগ্রাম, কর্ণফুলী বেয়ে কাপ্তাই থেকে চট্টগ্রাম, বুড়িগঙ্গায় সদরঘাট থেকে চাঁদপুর, এভাবে দুই বছর কেটে গেলে পরে পদ্মা নদী নিয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকি।

ঠিক করলাম পদ্মায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চাঁদপুর যাব। গুগল ম্যাপসে পুরো রুটটা প্লটিং করে দেখি ৩০০ কিলোমিটারের বেশি পথ। প্রথম ধাক্কাটা ছিল কায়াকের ব্যবস্থা করা। আরও প্রায় মাস দু-তিনেক নানা জোগাড়যন্ত্র করে, গত কোরবানির ঈদের ম্যারাথন ছুটিতে বেরিয়ে পড়ি শেষমেশ। বন্ধু মুনীম আর জিসানকে পটিয়েপাটিয়ে রাজশাহীর একটা লোকাল বাসে চড়ে বসি ১০ জুন। পরিকল্পনা হলো ওরা আমার সহায়তায় থাকবে। মোবাইলে লোকেশন শেয়ার করা থাকবে, আমার কাছাকাছি দূরত্বে থেকে সড়কপথে এগোবে ওরা, আর প্রতি রাতে ক্যাম্প সাইটে দেখা হবে।

পদ্মায় কায়াকিং.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মৃত বন্য প্রাণীর জাদুঘর

২ / ৮সংরক্ষণ করে রাখা বাঘশাবকের দেহ দেখাচ্ছেন এক কর্মকর্তা

সম্পর্কিত নিবন্ধ