প্রতিপক্ষের হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা নিহত
Published: 21st, May 2025 GMT
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কাশেম মোতাইত (৪৫) নামের এক স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২১ মে) দুপুরে উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নের সেরু মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল কাশেম ইউনিয়নের চর মাইঝারা এলাকার নুরুল ইসলাম মোতাইতের ছেলে ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবুল কাশেম মোতাইতের পরিবারের সঙ্গে একই এলাকার কাশেম আলী খাঁয়ের পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিনের।
আরো পড়ুন:
ফুলছড়ির ৬ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক দুই নেতা আটক
বুধবার দুপুরে সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আবুল কাশেমের ওপর হামলা চালায় কাশেম আলী খাঁয়ের লোকজন। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শরীয়তপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আমান মাদবর বলেন, ‘‘আবুল কাশেম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবি জানাই।’’
শরীয়তপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) তানভীর হোসেন বলেন, ‘‘প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মরদেহ সুরতহাল করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’
পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
ঢাকা/আকাশ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সন্দ্বীপে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় স্কুলছাত্রকে হত্যা
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে মাদক, দখলবাজি ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদ করায় দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাতকে (১৭) হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জামসেদুর রহমানের ছেলে। বাবা জামসেদুর সন্দ্বীপ উপজেলা শ্রমিকদলের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও মগধরা ইউনিয়ন বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক।
সাংবাদিকদের দেওয়া এক লিখিত বিবৃতিতে জামসেদর রহমান অভিযোগ করেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় সারিকাইত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী রাজুর নেতৃত্বে আমার ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাতের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। তারা ৪ ঘণ্টা ছেলেকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। রাজু বাহিনীর হামলায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে রিফাত মৃত্যুবরণ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারিকাইত ইউনিয়ন থেকে বহিরাগতরা মগধরা ইউনিয়নে অবৈধ ব্যবসা করতো। আমার ছেলে মাদক, অবৈধ মাটি কাটা, দখলবাজি ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদ করতো। এসব নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি ১৮ মে ইউএনও’র কাছে একটি অভিযোগ দেওয়ার পরদিন ১৯ মে রাজু বাহিনী আমার ছেলেকে হত্যা করে।,
স্থানীয়রা জানান, ১৯ মে সন্ধ্যা ৮টায় জামসেদুর রহমানের ছেলে রিফাতের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে রিফাতের ওপর হামলা হয়। প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, আমরা খবর পেয়ে আহত রিফাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।