ডিআরইউয়ে সন্ত্রাসী জাকির গংয়ের হামলা, সভাপতিসহ আহত অনেক সাংবাদিক
Published: 21st, May 2025 GMT
দেশে রিপোর্টারদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) রাতের আঁধারে হামলা চালিয়েছে দখলবাজ ও আওয়ামী লীগের দোসর সন্ত্রাসী জাকির হোসেন ও তার অনুসারীরা।
হামলায় অনেকের মধ্যে ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, সদস্য মশিউর রহমান, মাহবুব হাসান, দেলোয়ার মহিন, মফিজুল সাদিকসহ অনেক সাংবাদিক আহত হন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার (২১ মে) রাতে হঠাৎ করে এই হামলা চালানো হয়। ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে থেকে চেয়ারম্যান টি-স্টল নামে একটি দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায় হামলকারীরা। ৫০ হাজার টাকার মালামালসহ দোকানটি গায়েব করে দেয় জাকির হোসেন গং।
আরো পড়ুন:
অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলাচেষ্টা
সাভারে চিত্র সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ
দোকান লুটের বিষয়ে ডিআরইউ-এর সিনিয়র সদস্য মশিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে।
ডিআরইউ-এর সভাপতি হামলার খবর শুনে ছুটে যান। সদস্যদের গায়ে কেন হাত তোলা হয়েছে, এই প্রশ্ন রেখে জবাব চাইলে ডিআরইউ-এর সভাপতির গায়েও হাত তোলা হয়।
শুধু সভাপতি নন, জাকির গংয়ের হামলায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক নেতা ও সদস্য আহত হয়েছেন। জাকির ও জাকিরের স্ত্রী, কন্যা, ভাগ্নেসহ শতাধিক লোকজন সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়।
হামলা প্রসঙ্গে ডিআরইউ সভাপতি বলেন, “জাকিরের অনুসারীরা হঠাৎ করেই আমাদের ওপর হামলা করেছে। এর আগে একটা দোকান লুট করা হয়েছে। গরিব মানুষের একটা দোকান যেটা লুট করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি জানতে চাইলে আমাদের সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। সদস্যদের ওপরে হামলা চালিয়ে তারা ক্ষান্ত হয়নি। পরে ডিআরইউ-এর সদস্যদের ওপরে রাতের আঁধারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়।”
“রাতের আধারে কাপুরুষোচিত এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত করে এর সঠিক বিচারের দাবি জানাই। ডিআরইউ-এর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২২ মে) আমরা মামলা করব। জাকির গংরা গত ১৬ বছর সাংবাদিক ও এলাকার নিরীহ মানুষের ওপরে নির্যাতন চালিয়ে রামরাজত্ব কায়েম করেছে,” যোগ করেন আবু সালেহ আকন।
ঢাভুক্তভোগী আজিমের স্ত্রী জানান, “জাকিরের লোকজন আমাদের দোকানের ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করেছে এবং দোকান ভাঙচুর করে তুলে নিয়ে গেছে। পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে, অনেকজনকে আহত করেছে। জাকির আমার জায়গা জোর করে দখল করে রেখেছে। সেখানে তারা মাদক ব্যবসা করে। আমি এর বিচার চাই।”
ঢাকা/এএএম/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত ল ট কর সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ডিআরইউয়ে সন্ত্রাসী জাকির গংয়ের হামলা, সভাপতিসহ আহত অনেক সাংবাদিক
দেশে রিপোর্টারদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) রাতের আঁধারে হামলা চালিয়েছে দখলবাজ ও আওয়ামী লীগের দোসর সন্ত্রাসী জাকির হোসেন ও তার অনুসারীরা।
হামলায় অনেকের মধ্যে ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, সদস্য মশিউর রহমান, মাহবুব হাসান, দেলোয়ার মহিন, মফিজুল সাদিকসহ অনেক সাংবাদিক আহত হন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার (২১ মে) রাতে হঠাৎ করে এই হামলা চালানো হয়। ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে থেকে চেয়ারম্যান টি-স্টল নামে একটি দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায় হামলকারীরা। ৫০ হাজার টাকার মালামালসহ দোকানটি গায়েব করে দেয় জাকির হোসেন গং।
আরো পড়ুন:
অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলাচেষ্টা
সাভারে চিত্র সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ
দোকান লুটের বিষয়ে ডিআরইউ-এর সিনিয়র সদস্য মশিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে।
ডিআরইউ-এর সভাপতি হামলার খবর শুনে ছুটে যান। সদস্যদের গায়ে কেন হাত তোলা হয়েছে, এই প্রশ্ন রেখে জবাব চাইলে ডিআরইউ-এর সভাপতির গায়েও হাত তোলা হয়।
শুধু সভাপতি নন, জাকির গংয়ের হামলায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক নেতা ও সদস্য আহত হয়েছেন। জাকির ও জাকিরের স্ত্রী, কন্যা, ভাগ্নেসহ শতাধিক লোকজন সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়।
হামলা প্রসঙ্গে ডিআরইউ সভাপতি বলেন, “জাকিরের অনুসারীরা হঠাৎ করেই আমাদের ওপর হামলা করেছে। এর আগে একটা দোকান লুট করা হয়েছে। গরিব মানুষের একটা দোকান যেটা লুট করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি জানতে চাইলে আমাদের সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। সদস্যদের ওপরে হামলা চালিয়ে তারা ক্ষান্ত হয়নি। পরে ডিআরইউ-এর সদস্যদের ওপরে রাতের আঁধারে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়।”
“রাতের আধারে কাপুরুষোচিত এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত করে এর সঠিক বিচারের দাবি জানাই। ডিআরইউ-এর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২২ মে) আমরা মামলা করব। জাকির গংরা গত ১৬ বছর সাংবাদিক ও এলাকার নিরীহ মানুষের ওপরে নির্যাতন চালিয়ে রামরাজত্ব কায়েম করেছে,” যোগ করেন আবু সালেহ আকন।
ঢাভুক্তভোগী আজিমের স্ত্রী জানান, “জাকিরের লোকজন আমাদের দোকানের ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করেছে এবং দোকান ভাঙচুর করে তুলে নিয়ে গেছে। পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে, অনেকজনকে আহত করেছে। জাকির আমার জায়গা জোর করে দখল করে রেখেছে। সেখানে তারা মাদক ব্যবসা করে। আমি এর বিচার চাই।”
ঢাকা/এএএম/রাসেল