সাদা বেনারসি আর সিঁথিতে সিঁদুর, লাল গালিচায় অন্য এক ঐশ্বরিয়া
Published: 22nd, May 2025 GMT
অবশেষে কানের লাল গালিচায় এলেন ঐশ্বরিয়া, তবে যে ঐশ্বরিয়াকে রেড কার্পেট এতোদিন দেখে এসেছে তিনি সে ঐশ্বরিয়া নন। সাদা-মাটা একজন, খুব একটা উচ্ছ্বাস নেই, ছিল না বাহারি গাউনের চমক। এই ঐশ্বরিয়া একেবারেই ভারতীয় সাজে, কালজয়ী সৌন্দর্যের প্রতীক হয়েই হাজির হলেন যেনো।
বহু বছর ধরেপালে দ্য ফেস্টিভ্যাল ভবনের রেড কার্পেট মানেই যেনো ঐশ্বরিয়া। অন্তত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মানুষরা তেমনটিই ভাবেন। তাই প্রতি বছর কান চলচ্চিত্র উৎসব মানেই ঐশ্বরিয়ার বাহারি গাউনে নজরকাড়া উপস্থিতি আর ছুড়ে দেওয়া উড়ন্ত চুম্বন।
তবে এ বছর কানে ঐশ্বরিয়ার উপস্থিতি নিয়ে তৈরি হয় ধুয়াশা। মুম্বাইয়ের এক বিয়ের অনুষ্ঠানে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ঐশ্বর্যার নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়, যা দেখে অনেকে ভেবেছিলেন—তিনি হয়তো এবার কানে উপস্থিত হবেন না। তবে নিস বিমানবন্দরে তার আগমন সেই সব গুঞ্জনে জল ঢেলে দেয়। কান রেড কার্পেটে তার উপস্থিতি প্রমাণ করে, তিনি এখনও আন্তর্জাতিক ফ্যাশনের অগ্রদূত। উৎসবে এসে বলিউড অভিনেত্রী আবারও প্রমাণ করলেন—তিনি কেবল রূপসী নন, বরং এক কালজয়ী সৌন্দর্যের প্রতীক। ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে তার এবারের উপস্থিতি শুধু নজর কাড়েনি, বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৈরি করেছে এক উচ্ছ্বাসের ঝড়।
শ্বেতশুভ্র বেনারসি, ঐতিহ্যের ছোঁয়া
এবারের কান রেড কার্পেটে ঐশ্বর্যাকে দেখা যায় এক ক্লাসিক সাদা বেনারসি শাড়িতে, যা ডিজাইন করেছেন খ্যাতনামা ডিজাইনার ম্যানিশ মালহোত্রা। শাড়িটির সূক্ষ্ম সোনালি কারচুপি ও কেপ-স্টাইলের ওড়না তার সাজকে দেয় এক রাজকীয় ছোঁয়া। এই পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ছিল ভারী রুবি ও আনকাট ডায়মন্ডের গহনা, যা সম্পূর্ণ লুকে যুক্ত করে সম্রাজ্ঞীর শোভা।
সিঁথিতে সিঁদুর, রাজরানীর আবহ
লাল লিপস্টিক, গাঢ় আইলাইনার, হালকা ব্লাশ এবং খোলা চুলে তার সৌন্দর্য যেন হয়ে উঠেছিল নিখুঁত এক ভারতীয় বিবাহিত নারীর প্রতিচ্ছবি। বিশেষ করে কপালের মাঝ বরাবর টানা লাল সিঁদুর ছিল তার এই লুকের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক—যা তাকে এনে দেয় সময়ের ঊর্ধ্বে এক শাশ্বত রূপ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল লুক
ঐশ্বর্যার এই লুক ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে ইনস্টাগ্রাম, এক্স (টুইটার) ও ফেসবুকে। হাজারো মন্তব্য ও শেয়ারের মধ্য দিয়ে অনুরাগীরা জানিয়েছেন তাদের ভালোবাসা। অনেকেই লিখেছেন— কুইন ইজ ব্যাক’ একজন মন্তব্য করেন, “ঐশ্বর্যা শুধু রেড কার্পেটে হাঁটেন না, তিনি ইতিহাস রচনা করেন।”
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ন চলচ চ ত র উৎসব উপস থ ত
এছাড়াও পড়ুন:
পাঁচ মিনিটের করতালিতে মুগ্ধ স্কারলেট
স্কারলেট জোহানসনের প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘এলেনর দ্য গ্রেট’ কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হলো। উৎসবের ‘আঁ সার্তে রিগা’ বিভাগে প্রদর্শিত ছবিটি দেখে পাঁচ মিনিট করতালিতে উষ্ণ অভিবাদন জানান হলভর্তি অতিথিরা। যা জোহানসনের জন্য এক স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে ওঠে।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন কিংবদন্তী জুন স্কুইব, চিউয়েটেল ইজিওফর ও এরিন কেলিম্যান। প্রদর্শনী শেষে দর্শকদের উচ্ছ্বসিত অভিব্যক্তির মাঝে স্কারলেট জোহানসন মঞ্চে এসে জুন স্কুইবকে আলিঙ্গন করেন। পরে তিনি স্কুইবকে ‘অসাধারণভাবে অনুপ্রেরণাদায়ী’ বলে উল্লেখ করেন।
‘এলেনর দ্য গ্রেট’ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন ৯৪ বছর বয়সী এলেনর মরগেনস্টিন, যিনি ব্যক্তিগত গভীর শোকের পর এক গল্প বলতে শুরু করেন, যা ধীরে ধীরে বিপজ্জনক বাস্তবতার রূপ নেয়। চরিত্রটি রূপায়ণ করেছেন জুন স্কুইব, যিনি তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।
চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আগে জোহানসন বলেন, ‘এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা আমার কাছে স্বপ্ন পূরণের মতো। এটি বন্ধুত্ব, শোক এবং ক্ষমা করে দেওয়ার গল্প। সিনেমায় যে অনুভূতি দেখানো হয়েছে তা আজকের দিনে বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। এটি একটি স্বাধীন চলচ্চিত্র এবং এতে জড়িত সবাই শুধুমাত্র স্ক্রিপ্টের প্রেমে পড়ে কাজ করেছেন। এটা কারও অর্থ উপার্জনের জন্য করা হয়নি।’
এরিন কেলিম্যান সম্পর্কে জোহানসন বলেন, ‘সে একেবারে আবিষ্কারের মতো। আমি খুবই রোমাঞ্চিত যে বিশ্ব এখন ওকে চিনতে পারবে।’
উৎসবে জোহানসনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার এজেন্ট ও সিএএ-র সিইও ব্রায়ান লর্ড, অস্কারজয়ী অভিনেতা অ্যাড্রিয়ান ব্রোডি এবং তার সঙ্গী জর্জিনা চ্যাপম্যানসহ আরও অনেকে।
এছাড়াও জোহানসন এ বছর কান-এ আরও একটি আলোচিত ছবি, ওয়েস অ্যান্ডারসনের ‘দ্য ফিনিশিয়ান স্কিম’-এ অভিনয় করেছেন। আগেও তিনি ২০০৫ সালে ‘ম্যাচ পয়েন্ট’, ২০০৮ সালে ‘ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সেলোনা’, এবং ২০২৩ সালে ‘অ্যাস্টেরয়েড সিটি’ ছবির জন্য কানে এসেছেন।