ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের শহর কানে বসেছে চলচ্চিত্রজগতের সম্মানজনক আসর কান চলচ্চিত্র উৎসব। গত ১৩ মে এ উৎসবের ৭৮তম আসরের পর্দা উঠেছে। বরাবরের মতো এবারের আসরে হাজির হয়ে নজর কাড়লেন প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। তবে ওয়েস্টার্ন লুকে নয়, শাড়ি পরে লাল গালিচায় হেঁটে প্রশংসায় ভাসছেন এই তারকা।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন পরেন সাদা রঙের বেনারসি। শাড়ির সঙ্গে পেয়ারআপ করেন এমেরাল্ড পিঙ্ক জুয়েলারি। ঐশ্বর্য রাইয়ের শাড়ির ডিজাইন করেন মণীশ মালহোত্রা। তবে বচ্চন-বধূর যে জিনিসটা সবচেয়ে নজর কেড়েছে তা হলো— সিঁথি ভরা সিঁদুর, যা পুরো সাজটাই বদলে দিয়েছে।
ঐশ্বরিয়া শাড়ির সঙ্গে বেছে নিয়েছেন সাদা রঙের ফুল স্লিভ ব্লাউজ। একই সঙ্গে শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং ওড়নাও বয়ে বেড়ান। মেকআপও একেবারে সামান্য রেখেছিলেন অভিনেত্রী। ন্যুড মেকআপের সঙ্গে ব্রাউন লিপস্টিক ঠোঁটে লাগান।
আরো পড়ুন:
‘শাহরুখকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের চেয়ে তাকে জানতে পারাটা সৌভাগ্যের’
হেরা ফেরি থ্রি: জটিলতা নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক
ঐশ্বরিয়ার গলার হারটি ২৯০ ক্যারেটেরও বেশি মোজাম্বিক রুবি দিয়ে তৈরি করা। এটি ডিজাই করেছেন মণীশ মলহোত্রা। এই স্টেটমেন্ট পিসটির সঙ্গে ৩০ ক্যারেটেরও বেশি রুবি দিয়ে তৈরি একটি নেকলেস ব্যবহার করেছেন, যাতে হীরা বসানো। সঙ্গে নজর কাটে রাই-সুন্দরীর রেনেসাঁ অফ রুবিস স্টেটমেন্ট আংটিটি।
কানের লাল গালিচায় ঐশ্বরিয়ার হাঁটার নানা মুহূর্ত ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে ভূয়সী প্রশংসা করছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। আশু মিশ্রা লেখেন, “আমাদের রানি এখানে।” আরশাদ লেখেন, “অবশেষে কানের রানি।” কাজল লেখেন, “ঐশ্বরিয়াকে ছাড়া কান অসম্পূর্ণ।”
একজন লেখেন, “উফ এই সিঁদুরটা! সবটা বদলে দিল।” অন্য একজন লেখেন, “আসল রানি, কোনো তুলনা হয় না।” প্রগতি সিনহা লেখেন, “সাদা শাড়িতেও কীভাবে কাউকে এত সুন্দর লাগতে পারে। ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।” এমন অসংখ্য মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ন চলচ চ ত র উৎসব
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ২৬ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার: জাতিসংঘ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ২৬ হাজারের মতো শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে শুধু গাজা নগরীতে এই সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। এসব শিশুর জন্য জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন।
গত মঙ্গলবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকার মুখপাত্র টেস ইনগ্রাম। মঙ্গলবারই ইসরায়েলি সেনারা গাজা নগরীতে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করেছেন।
ইনগ্রাম বলেন, আগস্টে গাজায় প্রতি আট শিশুর একজন মারাত্মক অপুষ্টিতে আক্রান্ত ছিল, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ হার। গাজা নগরীতে এই অনুপাত প্রতি পাঁচে একজন। তিনি বলেন, গাজা নগরী থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষকে জোরপূর্বক সরানো হচ্ছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের প্রাণনাশ হতে পারে। ইসরায়েলের স্থল অভিযানের মুখে শহরের পুষ্টিকেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি সেনারা বলছেন, দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় আশ্রয় নেওয়া মানুষ খাদ্য, ওষুধ ও তাঁবু পাবেন। তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে ঘোষিত ‘মানবিক আশ্রয়’ এলাকাগুলোতেও হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইনগ্রাম বলেন, ‘গাজায় সাত শতাধিক দিনের যুদ্ধ-ধ্বংসযজ্ঞে প্রায় পাঁচ লাখ শিশুকে এক নরক থেকে আরেক নরকে ঠেলে পাঠানো হয়েছে, যা অমানবিক।’
জাতিসংঘের হিসাবে, গাজা নগরী ও আশপাশের এলাকাগুলোর ১০ লাখ মানুষের প্রায় ৪০ শতাংশ ইতিমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।