দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মাদ ইউনূসকে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক থেকে জামায়াত আমির এ আহ্বান জানান।

রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।

বৈঠকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষমতার ভাগবাটোয়ায় ছাড়া তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি, বিএনপির উদ্দেশ্যে

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘‘তারা ভেবেছিল ২-৩টা আসন দেখিয়ে ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারার লোভ দেখিয়ে, তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে কিনে নেবে। কিন্তু যারা বিপ্লবের শক্তি, যারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে, তাদের কেনার সাধ্য বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের হয় নাই।’’ 

শনিবার দুপুর ১টায় সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড়ে শহীদ আসিফ চত্বরে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে নাহিদ বলেন, ‘‘৫ আগস্ট আমরা দরজা খুলে দিয়ে বলেছিলাম আসুন জাতীয় সরকার গঠন করি, দেশ পুনর্গঠন করি। সকল বিভাজন সব কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলি। কিন্তু তারা আমাদের সেই প্রস্তাবে সায় দেয়নি। তারা বলেছিল ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে, আবার বলেছে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। ক্ষমতার ভাগবাটোয়ায় ছাড়া দেশ সংস্কারে তাদের কোনো সমর্থন পাওয়া যায়নি।’’ 

দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরাবাসী অতীতেও সোচ্চার ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। চাঁদাবাজ নির্মূলে গ্রামে গ্রামে, পাড়া মহল্লায় কমিটি গড়ে তোলার কথা বলেন তিনি। 

জাতীয় নাগরিক পার্টির সাতক্ষীরা জেলার সমম্বয়ক কামরুজ্জামান বুলুর সভাপতিত্বে পথসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মেজবাহ কামাল ও চিকিৎসক তাসনীম জারা। মঞ্চে শ্লোগান দেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। 

পথসভার আগে শহীদ আসিফ চত্বর এলাকায় জুলাই বিপ্লবে আহত ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির নেতারা। পরে একটি পদযাত্রা শহীদ আসিফ চত্বর থেকে বের হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে শেষ হয়। এরপর নিউমার্কেট এলাকায় আল-বারাকা হোটেলের দ্বিতীয় তলায় জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
 

ঢাকা/শাহীন//

সম্পর্কিত নিবন্ধ