জাতীয়  ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক এমরান হাসান সোহেলকে জেলে দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সাংবাদিকরা। এ সময় তারা হুমকিদাতা বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবি জানান।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বাউফল প্রেসক্লাবের বীর উত্তম সামসুল আলম তালুকদার ভবনের সামনের সড়কে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে উপজেলার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এতে বক্তব্য দেন, দৈনিক ভোরের কাগজের অতুল চন্দ্র পাল, দৈনিক জনকণ্ঠের কামরুজ্জামান বাচ্চু, দৈনিক সমকালের জিতেন্দ্র নাথ রায়, দৈনিক যুগান্তরের আরেফিন সহিদ, দৈনিক  কালবেলার এমএ বশার, দৈনিক মানবজমিনের তোফাজ্জেল হোসেন, দৈনিক প্রথম আলোর এবিএম মিজানুর রহমান, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের দেলোয়ার হোসেন ও দৈনিক ভোরের অকঙ্গিকারের অহিদুজ্জামান সুপন।

আরো পড়ুন:

ঈদে গণমাধ্যমে ৫ দিন ছুটি দাবি

বাংলাফ্যাক্টের অনুসন্ধান: যেভাবে ছড়ায় প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুজব

বক্তারা বলেন, ইউএনও আমিনুল ইসলাম ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের মূখ্য সচিবের আপন ভাগ্নি জামাই। সেই প্রভাবে পূর্বের কর্মস্থল মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় ইউএনও থাকাকালে ব্যাপক দুর্নীতি করে পত্রিকার শিরোনামও হয়েছিলেন। তিনি সাংবাদিককে জেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি (ইউএনও) বাউফলে চাকরি করার যোগ্যতা হারিয়েছেন। আমরা তার বিভাগীয় শাস্তিসহ অপসারণ দাবি করছি।

গত সোমবার (১৯ মে) বাউফল গার্লস স্কুলে দুর্নীতি প্রতিরোধে বিতর্ক প্রতিযোগিতার স্কুল পর্যায়ের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান চলাকালে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ তুলে বাউফল দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক এমরান হাসান সোহেলের সঙ্গে অসাদাচারণ করেন ইউএনও আমিনুল ইসলাম।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে ইউএনওকে বলতে শোনা যায়, “আপনারা প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি হয়ে মনে করছেন, আপনারা রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি হয়ে গেছেন। আমি প্রজাতন্ত্রের এমন চাকর মালিককে শাস্তিও দিতে পারি।” এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইউএনওকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

ঢাকা/ইমরান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউএনও ব উফল উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশালে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিসি-ইউএনওর সামনে হামলা–ভাঙচুর

বরিশালের মুলাদীতে একটি সেতুর নাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।

আজ শনিবার সকালে মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর নির্মিত একটি সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানের জন্য সেখানে উপস্থিত জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সামনেই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা সেতুর নামফলক, সভামঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করেন এবং অনুষ্ঠানস্থলে বিছানো লালগালিচা তুলে নিয়ে যান। পরে মুলাদী ও পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শী কাচিচর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম, ইউএনও মো. গোলাম সরওয়ার, মুলাদী থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে উপস্থিত হন। সকাল ১০টার দিকে নাজিরপুর ও রামারপোল গ্রামের লোকজন সেতুর পূর্ব পাশ থেকে ‘উদ্বোধন মানি না’ স্লোগান দিতে দিতে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। এরপর জেলা প্রশাসকসহ কর্মকর্তাদের সামনেই নামফলক, মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।

স্থানীয় সূত্রের ভাষ্য, সেতুটির পূর্বনির্ধারিত নাম ছিল ‘নাজিরপুর–রামারপোল সৌহার্দ্য সেতু’। স্থানীয় লোকজনের মতামত উপেক্ষা করে নাম পরিবর্তন করে ‘৩৬ জুলাই সেতু’ নামে উদ্বোধনের চেষ্টা করা হচ্ছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকার সঙ্গে নাজিরপুর এলাকার যোগাযোগ উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর ‘নাজিরপুর–রামারপোল সৌহার্দ্য সেতু’ নামে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকার পর চলতি বছর মূল সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়। তবে সংযোগ সড়কের কাজ অসম্পূর্ণ থাকা অবস্থায় মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে সেতুটির নাম পরিবর্তন করে ‘৩৬ জুলাই সেতু’ রাখা হয় এবং ৬ ডিসেম্বর উদ্বোধনের দিন নির্ধারণ করা হয়।

মুলাদী থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় কিছু লোকের হামলা ও ভাঙচুরের কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে গেছে।

মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. গোলাম সরওয়ার বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সেতুটির নাম পরিবর্তন করে ‘৩৬ জুলাই সেতু’ নামে উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে নাম পরিবর্তন নিয়ে স্থানীয়রা আগেই আপত্তি জানিয়ে অভিযোগ দিয়েছিলেন, যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে নতুন ইউএনও শিবানী সরকারের যোগদান
  • রাজবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত কবরস্থানে দুর্বৃত্তদের আগুন
  • বরিশালে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিসি-ইউএনওর সামনে হামলা–ভাঙচুর