ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বরগুনার উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে বরগুনা সদর, পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরের অংশ প্লাবিত হয়। এ সময় বরগুনার আমতলী-পুরাকাটা ও বড়ইতলা-বাইনচোটকি ফেরি ঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যায়। 

দুপুরে সদরের বড়ইতলা এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বড়ইতলা এলাকার বেড়িবাঁধের বাইরের অন্তত দুই শতাধিক বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে রান্নাঘর। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। 

বড়ইতলার বাসিন্দা মো.

সুলতান বলেছেন, বুধবার রাত থেকে একটানা ভারী বর্ষণে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে নদীতে। রাতেও জোয়ারে প্লাবিত হয়েছিল এই গ্রাম। কিন্তু, আজ দুপুরের জোয়ারের পানি আরো বেড়েছে। 

আরো পড়ুন:

ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি, চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের শঙ্কা 

উত্তপ্ত সুনামগঞ্জে স্বস্তির বৃষ্টি 

ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে আমতলীর আড়পাঙ্গাশিয়া, বেতাগীর কালিকা বাড়ি, তালতলীর জয়ালভাংগা, পাথরঘাটার জীনতলা এলাকার বেড়িবাঁধের বাইরের অন্তত দেড় হাজার বসতঘর। আমতলী-পুরাকাটা ফেরি ঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটছে।  

এদিকে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঢাকা-বরগুনা রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তবে, জেলার ছোট-বড় প্রায় অর্ধশতাধিক খেয়াঘাটে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে নৌকা। 

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রাকিব রাইজিংবিডিকে ডটকমকে বলেছেন, বুধবার রাতভর ভারী বর্ষণে সাগর ও নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের থেকে বেশি বেড়েছে। সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও পরবর্তী সময়ে নিম্নচাপের কারণে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাগর ও নদীপাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে হবে। 

ঢাকা/ইমরান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুরে মহানবী (সা.)–কে কটূক্তির অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার, ১৪টি বসতঘর ভাঙচুর

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগে এক কিশোরকে (১৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উত্তেজিত লোকজন গতকাল শনিবার রাতে ও আজ রোববার বিকেলে ওই কিশোরের বাড়িসহ সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজনের ১৪টি বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে।

আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার কিশোর একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তৃতীয় পর্বের শিক্ষার্থী। বাড়ি গঙ্গাচড়ার বেদগাড়ি ইউনিয়নের একটি গ্রামে।

গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান প্রথম আলোকে বলেন, ওই কিশোর ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর লেখা ও ছবি দিয়েছে—এমন অভিযোগ পায় পুলিশ। পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করে রাত সাড়ে আটটার দিকে থানায় আনা হয়। পরে সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কিশোরকে থানায় নেওয়ার পর তার বিচারের দাবিতে মিছিলসহ উত্তেজিত লোকজন তার বাড়ির সামনে যায়। রাত ১০টার দিকে দ্বিতীয়বার আরেকটি মিছিল এসে কিশোরের এক স্বজনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে। পরে রাতে থানা-পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ওসি আল এমরান বলেন, গতকাল রাত ১২টা থেকে একটা পর্যন্ত পুলিশ ছিল। পরিস্থিতি শান্ত করার পর তাঁরা চলে আসেন। আজ জোহরের নামাজের পর হাজার হাজার লোক সেদিকে যাবেন—এমন খবর পেয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং তাঁরা সেনাবাহিনীর সাহায্য চান। বেলা একটা থেকে পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উত্তেজিত জনতা বাড়িঘরে হামলা শুরু করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর হয়। এতে পুলিশ সদস্যদের অনেকে আহত হয়েছেন। একজন কনস্টেবলকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আলদাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। সেখান থেকে ৫০০ গজ দূরে বাড়িঘরে হামলা করছে উত্তেজিত জনতা। কিছুক্ষণ পর সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, অন্তত ১৪টি বসতঘরে ভাঙচুর করা হয়েছে।

মিছিল নিয়ে এসে মোট ১৪টি বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। রোববার বিকেলে গঙ্গাচড়া উপজেলার আহলাদপুর গ্রামে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গঙ্গাচড়ায় হিন্দুদের বসতঘরে হামলার নিন্দা, জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি
  • ফতুল্লায় আগুনে পুড়লো ২০টি বসতঘর
  • রংপুরে মহানবী (সা.)–কে কটূক্তির অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার, ১৪টি বসতঘর ভাঙচুর