সন্ত্রাস দমন, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার আসামি এবং আমতলী পৌর যুবলীগ সভাপতিকে পুলিশের ব্যারাকে নিয়ে আপ্যায়নের অভিযোগে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক বশির আলমসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন এ টি এস আই মামুন, কনস্টেবল আশিস, মো.

ফয়সাল, সোহরাব মিয়া ও শাহদাত হোসেন। তাঁদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে আদালত থেকে তাঁদের প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন বরগুনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল-মামুন শিকদার।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২ সেপ্টেম্বর আমতলীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ ব্যারাকে মামলার আসামি আরিফ-উল হাসানকে ভাত খাওয়ান আদালত পরিদর্শক বশির আলম। এ সময় তাঁর সঙ্গে ব্যারাকের ভেতরে দুজন নারী, দুজন পুরুষ এবং একটি শিশু ছিল। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও প্রকাশের পর আসামিকে আপ্যায়নের অভিযোগে আদালত পরিদর্শক বশির আলমসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে গতকাল প্রত্যাহার করা হয়।

বরগুনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল-মামুন শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, আমতলীতে আদালতের গারদখানার সংস্কারকাজ চলায় আসামিকে পুলিশ ব্যারাকে নেওয়া হয়েছিল। পরে সেখানে তাঁর খাবারের আয়োজন করা হয়। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। তাঁদের নির্দেশে ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ল শ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়া ডিসি অফিস চত্বরে দুর্নীতিবিরোধী ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে মূলহোতা কুষ্টিয়ার এডিসি জাহাঙ্গীর আলমসহ দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দুর্নীতিবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় সকলের সামনে আসার পরেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সকল তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে অবস্থান করছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং গণমাধ্যমে প্রচার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এডিসি জাহাঙ্গীর আলমসহ যারা জড়িত দুই দিনের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তারসহ আইনের আওতায় আনা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা।

গত ২৪ অক্টোবর কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন ছাত্র জনতা। ২৬ অক্টোবরও তারা কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেন।

এ সময় নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ তিন দফা দাবিতে কর্মসূচি দেন বিক্ষুব্ধরা। এরই প্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত করা হয়।

এ ঘটনায় ২৭ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার একটি টিম ও স্বাস্থ্য বিভাগের অপর একটি উচ্চপর্যায়ের টিম অভিযোগ তদন্তে ওই কার্যালয়ে যায়।

ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুষ্টিয়া ডিসি অফিস চত্বরে দুর্নীতিবিরোধী ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ