নওগাঁয় ৪ হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের আশা
Published: 31st, May 2025 GMT
নওগাঁয় প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে আমের উৎপাদন। এ অঞ্চলে পানির সংকট থাকায় অন্যান্য ফসল চাষাবাদ ছেড়ে আম চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। এছাড়া, এ জেলায় আমের ফলনও ভালো হয়।
চাষি ও কৃষি বিভাগের দাবি, চলতি মৌসুমেও আম উৎপদনে শীর্ষে থাকবে নওগাঁ জেলা। গত বছরের চেয়ে ৩০০ হেক্টর বেড়ে এ বছর নওগাঁয় আম চাষ হয়েছে ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। আম উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার আম বেচা-কেনা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নওগাঁয় আম সংগ্রহের তারিখ নির্ধারণ করেছে জেলা প্রশাসন। নির্ধারিত তারিখের আগে আম পরিপক্ব হলে তা সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে সনদ নিতে হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নওগাঁয় আম্রপালি আমের চাষ সবচেয়ে বেশি হয়। উৎপাদিত আমের প্রায় ৭০ শতাংশই আম্রপালি। এছাড়াও নওগাঁয় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হয় বারি-৪, ল্যাংড়া, গৌড়মতি, আশ্বিনা, হিমসাগর, গোপালভোগ ও কাটিমন আম।
আমের মান বজায় রাখতে আগে থেকেই সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। গত ২২ মে গুটি ও ৩০ মে গোপালভোগ জাতের আম পাড়া শুরু হয়েছে। ক্ষীরশাপাত ও হিমসাগর ২ জুন, নাগ ফজলি ৫ জুন, ল্যাংড়া ও হাড়িভাঙ্গা ১০ জুন, ব্যানানা ম্যাংগো ও ফজলি আম ২৫ জুন, আম্রপালি ১৮ জুন এবং আশ্বিনা, বারী-৪ ও গৌরমতি জাতের আম সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে পাড়া যাবে।
গত ১২ মে বিভিন্ন জাতের আম সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণের বৈঠকে নওগাঁর জেলা প্রশাসক আবদুল আউয়াল বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের আগে কোনোভাবেই অপরিপক্ব আম সংগ্রহ কিংবা বাজারে তোলা যাবে না। তবে, সময়ের আগে আবহাওয়ার কারণে আম পরিপক্ব হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী আমচাষিরা তারিখ পুনর্নির্ধারণ করে সময়ের আগে আম সংগ্রহ করতে পারবেন। আমে ভেজাল ঠেকাতে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় আমের বাজার—সাপাহার উপজেলা সদর বাজার, পোরশার নোচনাহার, সারাইগাছিসহ বিভিন্ন বাজারে বিশেষ নজরদারি করবে প্রশাসন।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলছেন, নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির সংকটের কারণে অন্যান্য ফসলের চেয়ে আম চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নওগাঁর চেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আম চাষ হলেও নওগাঁর আম বাগানগুলো নতুন হওয়ায় ফলন হয় বেশি। তাই, আমাবাগানের আয়তনে এ জেলা দ্বিতীয় বৃহত্তম হলেও উৎপাদনে প্রথম স্থানে আছে।
ঢাকা/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স গ রহ র আম চ ষ উৎপ দ
এছাড়াও পড়ুন:
৪৭তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষার্থীদের জন্য পিএসসির যত নির্দেশনা
আগামী শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার আসনব্যবস্থা, সময়সূচি ও শিক্ষার্থীদের জন্য নানা নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে।
পিএসসি জানিয়েছে, ৪৭তম বিসিএসে অংশ নিতে মোট ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৭ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন। ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ৪৭তম বিসিএসে মোট শূন্য ক্যাডার পদের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৮৭। আর নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা ২০১। এই বিসিএস থেকে মোট ৩ হাজার ৬৮৮ জনকে (ক্যাডার ও নন–ক্যাডার মিলিয়ে) নিয়োগ দেওয়া হবে। এই বিসিএসে কিছু নতুন পদ যুক্ত হয়েছে।
সময়সূচি ও কেন্দ্র১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে পরীক্ষা। পরীক্ষাকেন্দ্র ৮টি। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ।
আরও পড়ুনইউনিমেট-শাবানা মাহমুদ-দেখার হাওর-বেন গুরিয়ান বিমানবন্দর-কী, জেনে নিন১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫পরীক্ষার্থীদের করণীয়১। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। ৯টা ৩০ মিনিটের পর কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না। পরীক্ষার্থীদের হলের নাম ও কক্ষ নম্বর আগেই মেসেজের মাধ্যমে তাঁদের মুঠোফোন নম্বরে প্রেরণ করা হবে।
২। সকাল ৯টা ৩০ থেকে ৯টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তরপত্র বিতরণ করা হবে। উত্তরপত্রের ৪টি সেট থাকবে, যেমন সেট # ১, ২, ৩ ও ৪। সকাল ১০টায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন১২ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫৩। পরীক্ষাকেন্দ্রে বইপুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক কার্ড/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বর্ণিত নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
৪। পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
৫। পরীক্ষায় মোট ২০০টি এমসিকিউ টাইপ প্রশ্ন থাকবে। পরীক্ষার্থী প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন, তবে ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ০.৫০ নম্বর করে কাটা হবে।
আরও পড়ুন৪৭ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি: শেষ মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসই আসল প্রস্তুতি১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫৬। প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন থেকে শ্রুতলেখক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কমিশনের মনোনীত শ্রুতলেখক ছাড়া অন্য কেউ শ্রুতলেখক হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য শ্রুতলেখকদের ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টার পরীক্ষার জন্য ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টার পরীক্ষার জন্য ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে।
পরীক্ষাকেন্দ্র ও নির্দেশনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন।
আরও পড়ুন৪৩তম বিসিএসের প্রশাসনে প্রথম শানিরুলকে ভাইভায় যেসব প্রশ্ন করা হয়েছিল ২৯ মে ২০২৪