যৌথ বাহিনীর অভিযানে আট দিনে গ্রেপ্তার ৩৮৪
Published: 5th, June 2025 GMT
ঈদের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীসহ সারা দেশে যৌথ বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযান চলছে। ২৯ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত আট দিনে এই অভিযানে ৩৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদক ও চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে এই অভিযান পরিচালনা করে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, চোরাকারবারি, কিশোর গ্যাং সদস্য, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্ত ব্যক্তি রয়েছেন।
অভিযানে ৭টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৩ ধরনের গোলাবারুদ, ৩টি ককটেল বোমা, ৬টি কার্তুজ, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, দেশীয় অস্ত্র, মোটরসাইকেল, চোরাই মুঠোফোন ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, শিল্পাঞ্চলগুলোতে মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব এড়াতে সেনা টহল দল সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিতে স্থানীয়দের সঙ্গে সমঝোতার উদ্যোগও নিচ্ছে বাহিনীটি।
এ ছাড়া আসন্ন ঈদ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অস্থায়ী পশুর হাটে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে সড়কপথে বিশেষ টহল কার্যক্রম চলছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে যান চলাচলও পর্যবেক্ষণ করছে সেনাবাহিনী।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাবতলীতে পরিবহন সঙ্কট, ঘরমুখো মানুষের ভিড়
একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ সময়ে রাজধানী ছাড়ছে হাজার হাজার মানুষ। ঢাকার বাইরে মহাসড়কে যানজট হওয়ায় যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফিরে আসা যানবাহনের সংখ্যা কম। তাই গাবতলীতে পরিবহন সঙ্কট দেখা গেছে।
বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অংসখ্য মানুষকে। বৈরি আবহাওয়ার কারণেও ভোগান্তি বেড়েছে।
গাবতলীতে সকাল থেকে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীর চাপ ছিল বেশি। শ্যামলী পরিবহন, এস আর পরিবহন, শাহ ফতেহ আলী পরিবহন, সুপার সনিসহ বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারে যাত্রীদের গাড়ির জন্য বসে থাকতে দেখা গেছে। টিকিট কেটেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাউন্টারে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দূর-দূরান্তের যাত্রীদের।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে ট্রেন ও বাসের ছাদ থেকে পড়ে ২ জন নিহত
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ২ ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ১০
বাস কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা জানান, লম্বা ছুটির কারণে এবার ঘরমুখো যাত্রীর চাপ তুলনামূলক বেশি। গত দুই দিনে বহু মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষ বাড়ির উদ্দেশে গেছেন। তবে আজ শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকেও যাত্রীর চাপ আছে।
শাহজাদপুর ট্রাভেলসের কাউন্টার ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের প্রচুর গাড়ি গেছে। আমাদের আধা ঘণ্টা, ১৫ মিনিট পরপর বাস যায়। যাত্রীর চাপ আছে কিন্তু সিডিউল রাখা যাচ্ছে, না কারণ বাস ফিরে আসছে কম।’’
অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, সড়কে একাধিক দুর্ঘটনা ও যানবাহন বিকল হওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের করটিয়া থেকে সেতু পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটারে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। শুক্রবার (৬ জুন) ভোরেও মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটারে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
যানজট না থাকলেও ঢাকা-আরিচা সড়কেও গাড়ির চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাস কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা।
যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক আছে। গাবতীয় টার্মিনালের প্রবেশমুখে রয়েছে পুলিশ ও র্যাবের কন্ট্রোল রুম। একইসঙ্গে গাবতলী সড়কের যানজট নিরসনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে। টার্মিনালের মাইকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে অভিযোগের আহ্বান ও পরিবহন কাউন্টার থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
ঢাকা/হাসান/বকুল