কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় নিজ ঘর থেকে আবদুর রহমান (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীর মাথায় গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের তাহাজমোড় এলাকা থেকে পুলিশ এটি উদ্ধার করে। মরদেহের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত আবদুর রহমান ওরফে উজ্জ্বল পাটিকাবাড়ি বাজার এলাকার মৃত ওসমানের ছেলে। তিনি একটি বিস্কুট কোম্পানির পরিবেশক ছিলেন। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারে তাঁর ফটোকপির দোকান ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাহাজমোড় এলাকায় নিজ জমির ওপর একটি টিনের ঘরে একাই থাকতেন আবদুর রহমান। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি করলে পরিবারের লোকজন তাঁকে ডাকতে যান। তাঁরা জানালা দিয়ে বিছানার ওপর তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয় লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পুলিশকে খবর দেন।

স্বজনেরা জানিয়েছেন, পারিবারিক কলহের জেরে পৈতৃক বাড়ি থেকে একটু দূরে নিজ জমিতেই টিনের ঘরে থাকতেন আবদুর রহমান। প্রায় তিন মাস আগে পারিবারিক কলহের জেরে তাঁর স্ত্রী একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। এর পর থেকে ওই বাড়িতে আবদুর রহমান একাই থাকতেন।

কুষ্টিয়া পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফয়সাল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মরদেহটি বিছানার ওপর ছিল। লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘরের ভেতর সিমেন্টের খুঁটিসহ কাগজে লেখা চিরকুট পাওয়া গেছে। পিস্তলসহ চিরকুট বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ র রহম ন মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

টিউলিপের কোনো চিঠি পাইনি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি তাঁরা পাননি।

আগামীকাল সোমবার (৯ জুন) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং ১৪ জুন দেশে ফিরে আসবেন। এর মধ্যে আজ যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ‘ভুল–বোঝাবুঝির’ অবসান করতে চান টিউলিপ সিদ্দিক। তাই অধ্যাপক ইউনূসের আসন্ন যুক্তরাজ্য সফরের সময় তাঁর সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ।

এই চিঠির বিষয়ে আজ রোববার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাইনি। ৫ (জুন) তারিখ থেকে আমরা ছুটিতে আছি।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদেন বলা হয়, টিউলিপের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বাংলাদেশে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ এনেছে কর্তৃপক্ষ। গত বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে টিউলিপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে শোরগোল হয়েছে। এর মধ্যে টিউলিপ কিংবা তাঁর মায়ের (শেখ রেহানা) বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে ৭ হাজার ২০০ বর্গফুটের প্লট নেওয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ রয়েছে।

টিউলিপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর টিউলিপের আইনজীবীরা বলেছেন, এসব অভিযোগ ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। এর কোনো ভিত্তি নেই। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছে না বলেও অভিযোগ টিউলিপের।

প্রধান উপদেষ্টা তাঁর সফরকালে যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন। তিনি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব ডেভিড ল্যামি, অন্যান্য জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা এবং নীতিনির্ধারণী ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ