ভারতের দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা নাগার্জুনা আক্কিনেনি। গত বছরের শেষের দিকে অভিনেত্রী শোভিতার সঙ্গে বড় ছেলে নাগা চৈতন্যর বিয়ে দেন। একই বছর কনিষ্ঠ পুত্র আখিল আক্কিনেনির বাগদান সারেন। অবশেষে হবু স্ত্রী জয়নব রাবজির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন আখিল।
এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত শুক্রবার (৬ জুন) সাত পাকে বাঁধা পড়েন আখিল আক্কিনেনি ও জয়নব। বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ হয় হায়দ্রাবাদের অন্নপূর্ণা স্টুডিওতে। এসময় দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার (৭ জুন) হায়দ্রাবাদে গ্র্যান্ড রিসেপশন পার্টির আয়োজন করা হয়, যাতে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বড় তারকারা উপস্থিত ছিলেন। সাদা ফুল ও রাজকীয় সাজসজ্জায় সাজানো হয়েছিল অভিনেতার জুবিলি হিলসের বাড়ি।
রিসেপশন অনুষ্ঠানে আখিল একটি সাদা টাক্সেডো এবং কালো বোটাই পরেছিলেন। নববধূ জয়নব একটি সুন্দর পিচ রঙের লেহেঙ্গা পরেছিলেন, সঙ্গে পরেছিলেন ভারী হীরার গহনা।
বাবা ও বড় ভাইয়ের পথ অনুসরণ করে অনেক আগেই চলচ্চিত্রে পা রেখেছেন আখিল। তবে তার হবু স্ত্রী জয়নব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কেউ নন। শিল্পপতি জুলফি রাবজির কন্যা। তবে জয়নব চিত্রশিল্পী হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। তার আঁকা ছবি নিয়ে হায়দ্রাবাদে বেশ কিছু প্রদর্শনী হয়েছে।
কয়েক বছর আগে আখিল-জয়নবের পরিচয়। এরপর চুটিয়ে প্রেম করে ঘর বাঁধলেন এই জুটি। সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু আখিল-জয়নবের বয়সের ব্যবধান সমালোচনার জন্ম দেয়। কিন্তু এ জুটির বয়সের ব্যবধান কত?
দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল জানিয়েছে, ১৯৯৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন আখিল আক্কিনেনি। তার বয়স এখন ৩০ বছর। অন্যদিকে জয়নব রাবজির বয়স ৩৯ বছর। ৯ বছরের বড় জয়নবকে বিয়ে করার বিষয়টি নিয়ে বেশ চর্চা চলছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি আখিল কিংবা জয়নব।
২০১৫ সালে তেলেগু ভাষার ‘আখিল’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে আখিল আক্কিনেনির। অভিষেক চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দর্শকদের নজর কাড়েন। এ সিনেমার জন্য সেরা নবাগত বিভাগে ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন এই অভিনেতা। বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এ তালিকায় রয়েছে— ‘হ্যালো’, ‘মিস্টার মজনু’, ‘এজেন্ট’ প্রভৃতি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জয়নব র র বয়স
এছাড়াও পড়ুন:
সংরক্ষিত নারী আসনসংখ্যা বৃদ্ধি ও সরাসরি নির্বাচনের দাবি মহিলা পরিষদের
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনসংখ্যা বৃদ্ধি ও সরাসরি নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। আজ বুধবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদে দেখা যাচ্ছে, ১৪ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত সংসদে নারী আসনের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্যে আসতে পারেনি। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছে। আরও বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে, সংসদে নারী আসন বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের এই আলোচনায় রাজনৈতিক দলের নারী প্রতিনিধিত্ব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নারী কমিশনের প্রতিনিধিত্ব এবং দেশের নারী সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব অনুপস্থিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এর আগে ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যানের বক্তব্যে দেখা গিয়েছিল, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংসদে ১০০টি সংরক্ষিত নারী আসনের পক্ষে একমত হয়েছে, যদিও নির্বাচনপদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে, জাতীয় সংসদে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্যের উপস্থিতি নারী সমাজের স্বার্থ ও মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখবে এবং জনগণের কাছে তাঁদের দায়বদ্ধতা তৈরি করবে। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের বিধান থাকায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যথাযথ নারী প্রতিনিধিত্ব হয় না। সাধারণত নারী আসনে মনোনীত হয়ে যাঁরা সংসদে গেছেন, তাঁরা যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেননি।
বিবৃতিতে ছয়টি দাবি তুলে ধরে বলা হয়, জাতীয় সংসদের সাধারণ আসনে নারী-পুরুষ উভয়ই নির্বাচন করতে পারবেন। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন থাকবে। সংরক্ষিত নারী আসনসংখ্যা ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশে উন্নীত করতে হবে। সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের প্রথা বাতিল করতে হবে। একটি সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকা থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই ব্যবস্থা দুই থেকে তিন মেয়াদের জন্য থাকবে।