লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে যৌতুক না পেয়ে এক গৃহবধূকে নির্যাতন ও চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও ননদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার উপজেলার উত্তর চরবংশী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ভুক্তভোগী সামিয়া বেগম (২২) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

বুধবার সকালে সামিয়া বলেন, বিয়ের পর তার বাবার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা, একটি গরু, গলার চেইন ও কানের দুল যৌতুক নেন স্বামী শাহাবুদ্দীন। এরপরও তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। এক বছর আগে তাদের একটি সন্তান হয়। এরপর আরও ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন শাহাবুদ্দীন ও পরিবারের সদস্য। ওই টাকা না দেওয়ায় মঙ্গলবার সকালে তার (সামিয়া) গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় মাথার চুল কেটে দেয় শাহাবুদ্দীন ও তার বোন আসমা বেগম।

শাহাবুদ্দীনকে একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে উল্লেখ করে সামিয়া বলেন, মামলা থেকে নাম কাটানোর অজুহাত দেখিয়ে নতুন করে যৌতুক দাবি করেন তারা। এ বিষয়ে শাহাবুদ্দীনের দাবি, পারিবারিক বিষয়ে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কয়েকটি স্থানীয় সালিশ হয়েছে। তবে মারধর ও চুল কাটার অভিযোগ অস্বীকার করেন। 

রায়পুর থানার ওসি মো.

নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় পুলিশ। এখনও লিখিত অভিযোগ পাননি। তদন্ত চলছে, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: তর ণ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল। 

আরো পড়ুন:

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস

চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।

জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।

এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।

ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ