গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও বিক্ষোভ হয়েছে। আজ রোববার সকালে উপজেলার সাহেব বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, গত ১৪ মে কালিয়াকৈর উপজেলা, পৌরসভাসহ জেলার আটটি ইউনিটের কমিটি বাতিল করে গাজীপুর জেলা বিএনপি। এরপর তৃণমূল নেতা–কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌরসভার কমিটি ঘোষণা করা হয়। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সিকদারকে, সদস্যসচিব করা হয়েছে এম আনোয়ার হোসেনকে। কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে মামুদ সরকার ও সদস্যসচিব করা হয়েছে মহসিন উজ্জামানকে।

পৌর বিএনপির কমিটি নিয়ে অসন্তোষ নেই। তবে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি মেনে নিচ্ছেন না উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদ ও তাঁর সমর্থকেরা। তাঁরা আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে গতকাল রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করেন। একই দাবিতে আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা–কর্মী পারভেজ আহমেদের পক্ষ নিয়ে আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এ সময় নতুন কমিটির পক্ষ থেকে আরেকটি মিছিল বের হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা–পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। এরপরও দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে তাঁদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। দুপুর ১২টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

পারভেজ আহমেদ বলেন, ‘গতকাল একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে যাঁদের রাখা হয়েছে, তাঁরা সবাই একসময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সখ্যতা রেখে চলাফেরা করেছেন। যার কারণে ওই কমিটি বাতিল করার দাবিতে আমাদের নেতা–কর্মীরা সকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীর (গাজীপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব) লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালান। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা ওই পকেট কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’

গাজীপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, যাঁদের নতুন কমিটিতে রাখা হয়েছে, তাঁরা সবাই ক্লিন ইমেজের। তাঁদের ব্যাপারে এলাকার মানুষের কোনো অভিযোগ নেই। সকালে নতুন কমিটি আনন্দমিছিল বের করলে পদবঞ্চিত হয়ে একটি পক্ষ তাঁদের ওপর হামলা করেছে। তিনি দলের নেতা–কর্মীকে এলাকায় শান্তি বজায় জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, থানা–পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দুপুর ১২টা থেকে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস যসচ ব আহম দ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আমি বললাম, ‘আমাকে সাত দিন সময় দাও, তোমাকে প্রমাণ করে দেখাব’

ছবি: প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ