‘তথ্য আপাদের’ দাবি নিয়ে সরকারকে আলোচনায় বসার আহ্বান
Published: 16th, June 2025 GMT
চাকরি স্থায়ীকরণে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের নারীদের দাবির বিষয়ে সরকারের কর্ণপাত না করার তীব্র সমালোচনা করলেন রাজনৈতিক নেতারা। আজ সোমবার তাঁদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন দলের নেতারা বলেছেন, চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ও পাওনা টাকার দাবিতে ২০ দিন ধরে ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের নারীরা রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের বাইরে অবস্থান করলেও সরকার তা আমলে নিচ্ছে না। সরকারের এই আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা আগামী দুই দিনের মধ্যে ‘তথ্য আপাদের’ সঙ্গে আলোচনায় বসে সরকারকে যৌক্তিক সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘জাতীয় মহিলা সংস্থা’র বাস্তবায়ন করা এ প্রকল্পের পুরো নাম ছিল ‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন’। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘তথ্য আপা: তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) (২য় সংশোধিত)’।
আজ দুপুরে প্রেসক্লাবের সামনে তথ্য আপাদের দাবির প্রতি সংহতি জানাতে আসেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান মঞ্জু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা দিদারুল ভূঁইয়া, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার।
২০ দিন ধরে ‘তথ্য আপারা’ অবস্থান করছেন, অথচ সরকারের মধ্যে কোনো রেখাপাত হচ্ছে না উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলেও দেখেছি দিনের পর দিন দাবি নিয়ে লোক বসে থাকত, আর সরকার কর্ণপাত করত না। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আসা সরকারের কাজ হচ্ছে মানুষের কথা শোনা, সব সমস্যার সমাধান দাবি অনুযায়ী হবে তা নয়। তবে মানুষের কথা তো শুনবেন আপনারা (সরকার)! মানুষ দিনের পর দিন বসে থাকবে, আর আপনারা কর্ণপাত করবেন না, পাত্তা দেবেন না, এটা হতে পারে না।’
আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের রাস্তা বের হয় উল্লেখ করে গণ সংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি বলেন, এই প্রকল্পের কর্মীরা আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত বলে ‘আওয়ামী ট্যাগ’ লাগিয়ে সরকার একদল মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। দুই দিনের মধ্যে সরকারকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান তিনি।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান (মঞ্জু) আগামী দুই দিনের মধ্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে ‘তথ্য আপাদের’ যৌক্তিক দাবিগুলোর বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘তথ্য আপারা দিনের পর দিন বসে আছেন। অথচ অবাক হচ্ছি, তাঁদের কথাগুলো কেউ আমলে নিচ্ছেন না। ১০-২০ হাজার নারী গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করলে তখন আমরা দেখব দেশি ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া আসবে। কেউ বোতল ছুড়ে মারলে দাবি আদায় হবে। এই সংস্কৃতি কেন?’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে লাখ লাখ কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তথ্য আপা প্রকল্প নিয়ে বড় কোনো দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়নি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তথ্য আপারা প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছাতেন। প্রকল্প সফল হয়েছে বলেই তা তৃতীয় মেয়াদে নেওয়া হচ্ছে। তৃতীয় মেয়াদে তথ্য আপাদের অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এই সরকার একটা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছে এমন তথ্য নেই, বরং বেকারত্ব বাড়ছে, সামাজিক সুযোগ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
অন্যায়ভাবে প্রকল্পের ১ হাজার ৯৬৮ জন নারীকে চাকরিচ্যুত না করার আহ্বান জানান ঝালকাঠি তথ্যসেবা কর্মকর্তা ও আন্দোলন পরিচালনা কমিটির সভাপতি সঙ্গীতা সরকার। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁরা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। কারও সুপারিশে নয়। প্রকল্পে নিয়োগের সময় প্রকল্প শেষে নতুন পদ সৃষ্টি করে জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে এমন কথা বলা হয়েছিল। উচ্চশিক্ষিত নারীরা সেসব দেখেই প্রকল্পের চাকরিতে আকৃষ্ট হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে রাজস্ব খাতে নিতে সুবিধা হবে জানিয়ে তাঁদের যা বেতন ধরা হয়েছিল, তা থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। সেই পাওনাও তাঁরা পাচ্ছেন না।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে পাইলট আকারে ১৩টি উপজেলায় তথ্য আপা প্রকল্প শুরু হয়। পরে ২০১৮ সালের শেষ দিকে ৪৯২টি উপজেলায় প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। পরে তা দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন করা হয়। গত বছর আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন করা হয়। সে হিসাবে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে আর ১৪ দিন বাকি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র আহ ব ন জ ন প রকল প র সরক র র ন র পর হয় ছ ল আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
প্রভাষকসহ চার পদে নিয়োগ দিচ্ছে কেডিএ স্কুল অ্যান্ড কলেজ
খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত কেডিএ স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৩টি বিষয়ে প্রভাষকসহ চার পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
পদের নাম ও বিবরণ১। প্রভাষক (পদার্থবিজ্ঞান)
পদসংখ্যা: ০১
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম ২য় শ্রেণির অনার্সসহ ২য় শ্রেণির মাস্টার্স ডিগ্রি বা সমমানের সিজিপিএ। সমগ্র শিক্ষাজীবনে ৩য় বিভাগ/শ্রেণি/সমমানের জিপিএ/সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
আরও পড়ুন৪৭তম বিসিএস প্রিলি: পরীক্ষার হলে কোন ভুলে পিছিয়ে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫২। প্রভাষক (ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা)
পদসংখ্যা: ০১
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম ২য় শ্রেণির অনার্সসহ ২য় শ্রেণির মাস্টার্স ডিগ্রি বা সমমানের সিজিপিএ। সমগ্র শিক্ষাজীবনে ৩য় বিভাগ/শ্রেণি/সমমানের জিপিএ/সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
৩। প্রভাষক (তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি)
পদসংখ্যা: ০১
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে কম্পিউটার বিজ্ঞান/আইসিটি বিষয়ে ন্যূনতম ২য় শ্রেণির অনার্স বা সমমানের সিজিপিএ। সমগ্র শিক্ষাজীবনে ৩য় বিভাগ/শ্রেণি/সমমানের জিপিএ/সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ১ ঘণ্টা আগে৪। অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী
পদসংখ্যা: ০১
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত শিক্ষা বোর্ড হতে এইচএসসি (ব্যবসায় শিক্ষা)/সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম ২য় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ। এইচএসসি (ব্যবসায় শিক্ষা)/সমমানসহ ৬ (ছয়) মাস মেয়াদি কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। সমগ্র শিক্ষাজীবনে ১টির বেশি ৩য় বিভাগ/সমমানের জিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
সব পদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা: ১৮ থেকে ৩৫ বছর
আরও পড়ুনজাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনে শর্তাবলি১। আগ্রহী প্রার্থীদের খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট এর নোটিশ বোর্ড হতে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে হাতে লিখে পূরণ করে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত কপি, নাগরিকত্ব সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত সত্যায়িত কপি, অভিজ্ঞতার সনদপত্র (যদি থাকে), ৩ কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙিন ছবি এবং আবেদন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্রাদি (যদি থাকে) আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
২। আবেদন ফি ব্যাংক ড্রাফট করতে হবে এবং কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুনসহকারী শিক্ষক নিয়োগে পুনঃবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, গ্রেড-১৩-তে বেতন১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদন ফি১। প্রভাষক পদের জন্য ৫০০ টাকা।
২। অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী পদের জন্য ৩০০ টাকা।
আবেদনের সময়সীমা৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫