Prothomalo:
2025-06-17@14:22:28 GMT

যমুনার চরের বাবু বাটান

Published: 17th, June 2025 GMT

বেশ সকালেই সঙ্গীসাথিদের নিয়ে জীববৈচিত্র্য, বিশেষ করে পাখি জরিপকাজে বের হই। বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে যমুনা নদীর নতুন রেলওয়ে সেতুর পূর্ব পাশে তাদের সার্ভিস সেন্টারে আমরা পৌঁছে যাই। সেখানে আগে থেকেই কয়েকজন বিদেশি ও কয়েকজন বাংলাদেশি কনসালট্যান্ট আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। জায়গাটা অত্যন্ত নীরব। পাখিদের জন্য যেন অভয়ারণ্য।

যথারীতি সবার সঙ্গে জরিপকাজের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা শেষ করে সবাই বেরিয়ে পড়ি জীববৈচিত্র্য জরিপে। বিশেষ করে পাখি এবং যমুনা নদীতে স্পিডবোটে মিঠাপানির ডলফিন জরিপ শুরু করি এবং কয়েকটি ডলফিনের দেখাও পেয়ে যাই। ডলফিনগুলো এত দ্রুত পানির ওপরে ভেসে উঠে আবার ডুব দিচ্ছিল যে দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা তাক করেও ছবি তুলতে পারছিলাম না।

ছবি তুলতে ব্যর্থ হয়ে নদীর মাঝখানে একটি চরে স্পিডবোট থেকে নামি। চতুর্দিকে পাখিদের কলকাকলি শুনে মনে হচ্ছিল যে তাদের রাজ্যে আমরা কেন এসেছি, কেনই–বা তাদের বিরক্ত করছি, সেটাই বারবার তারা জানতে চাইছে। চরের মধ্যে সবাই মিলে হাঁটতে গিয়ে দেখলাম, যে পাখিগুলো আমাদের দেখে উচ্চস্বরে ডাকাডাকি করছিল, কারণ সেই পাখিগুলোর বাসায় ডিম ছিল এবং সেখানে কিছু পাখি তাদের নিজ নিজ বাসায় ডিমে তা দিচ্ছিল। দুটি ডিমসহ একটি বাসা হঠাৎই পেয়ে গেলাম। এই পাখি অত্যন্ত চিরচেনা, যার বাংলা নাম বাবু বাটান। আমরা কয়েক শ বাবু বাটান গুনে ফেললাম।

এই পাখিগুলোর উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছিল নদীর চরগুলো পাখির বৈচিত্র্যের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ! বড় বড় নদীর চর এলাকায় বাবু বাটান পাখির বিচরণ ও প্রজননস্থান। এদের মূলত এশিয়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিস্তৃতভাবে দেখা যায়, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে।

এর বৈজ্ঞানিক নাম Glareola lactea, ইংরেজি নাম Small Pratincole এবং বাংলায় এটি ‘বাবু বাটান’ নামে পরিচিত। এদের দেহ সরু এবং হালকা ধূসর বর্ণের। পেট সাদাটে, পিঠ ফিকে ধূসর ও সাদা। লেজের আগা কালো। কবুতরের চেয়ে একটু আকারে ছোট।

যমুনার চরে এক গাছের নিচে বাবু বাটান পাখির জোড়া ডিম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ষ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘দেবদাস’ সিনেমায় পার্বতীর শাড়ি নিয়ে এই তথ্য জানতেন কি

সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত ‘দেবদাস’ ভারতীয় সিনেমা ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয়। এ সিনেমা আজও দর্শকের মনে আলাদা জায়গা করে রেখেছে। এই ছবির শেষভাগে দেবদাসের জন্য পার্বতী চরিত্রে ঐশ্বরিয়া রাইয়ের দৌড়ের দৃশ্যটি এখনো দর্শকের হৃদয়ে অমলিন।
তবে জানেন কি, এ দৃশ্যে বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া যে লাল পাড় সাদা শাড়ি পরেছিলেন, সেটির জন্য ফ্যাশন ডিজাইনার সময় পেয়েছিলেন মাত্র এক রাত।
সম্প্রতি নিউজ এইটটিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সিনেমার নানা অভিজ্ঞতার কথা জানান ফ্যাশন ডিজাইনার নীতা লুল্লা। তিনি জানান, কীভাবে হঠাৎ ঐশ্বরিয়ার জন্য একটি লম্বা শাড়ি তৈরি করার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন তিনি।

দেবদাসের জন্য পার্বতীর দৌড়ের দৃশ্যটি এখনো দর্শকের হৃদয়ে অমলিন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ