Prothomalo:
2025-11-02@22:01:07 GMT

যমুনার চরের বাবু বাটান

Published: 17th, June 2025 GMT

বেশ সকালেই সঙ্গীসাথিদের নিয়ে জীববৈচিত্র্য, বিশেষ করে পাখি জরিপকাজে বের হই। বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে যমুনা নদীর নতুন রেলওয়ে সেতুর পূর্ব পাশে তাদের সার্ভিস সেন্টারে আমরা পৌঁছে যাই। সেখানে আগে থেকেই কয়েকজন বিদেশি ও কয়েকজন বাংলাদেশি কনসালট্যান্ট আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। জায়গাটা অত্যন্ত নীরব। পাখিদের জন্য যেন অভয়ারণ্য।

যথারীতি সবার সঙ্গে জরিপকাজের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা শেষ করে সবাই বেরিয়ে পড়ি জীববৈচিত্র্য জরিপে। বিশেষ করে পাখি এবং যমুনা নদীতে স্পিডবোটে মিঠাপানির ডলফিন জরিপ শুরু করি এবং কয়েকটি ডলফিনের দেখাও পেয়ে যাই। ডলফিনগুলো এত দ্রুত পানির ওপরে ভেসে উঠে আবার ডুব দিচ্ছিল যে দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা তাক করেও ছবি তুলতে পারছিলাম না।

ছবি তুলতে ব্যর্থ হয়ে নদীর মাঝখানে একটি চরে স্পিডবোট থেকে নামি। চতুর্দিকে পাখিদের কলকাকলি শুনে মনে হচ্ছিল যে তাদের রাজ্যে আমরা কেন এসেছি, কেনই–বা তাদের বিরক্ত করছি, সেটাই বারবার তারা জানতে চাইছে। চরের মধ্যে সবাই মিলে হাঁটতে গিয়ে দেখলাম, যে পাখিগুলো আমাদের দেখে উচ্চস্বরে ডাকাডাকি করছিল, কারণ সেই পাখিগুলোর বাসায় ডিম ছিল এবং সেখানে কিছু পাখি তাদের নিজ নিজ বাসায় ডিমে তা দিচ্ছিল। দুটি ডিমসহ একটি বাসা হঠাৎই পেয়ে গেলাম। এই পাখি অত্যন্ত চিরচেনা, যার বাংলা নাম বাবু বাটান। আমরা কয়েক শ বাবু বাটান গুনে ফেললাম।

এই পাখিগুলোর উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছিল নদীর চরগুলো পাখির বৈচিত্র্যের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ! বড় বড় নদীর চর এলাকায় বাবু বাটান পাখির বিচরণ ও প্রজননস্থান। এদের মূলত এশিয়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিস্তৃতভাবে দেখা যায়, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে।

এর বৈজ্ঞানিক নাম Glareola lactea, ইংরেজি নাম Small Pratincole এবং বাংলায় এটি ‘বাবু বাটান’ নামে পরিচিত। এদের দেহ সরু এবং হালকা ধূসর বর্ণের। পেট সাদাটে, পিঠ ফিকে ধূসর ও সাদা। লেজের আগা কালো। কবুতরের চেয়ে একটু আকারে ছোট।

যমুনার চরে এক গাছের নিচে বাবু বাটান পাখির জোড়া ডিম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ষ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ