সাবেক মেয়র তাপসের সহযোগী খোরশেদ গ্রেপ্তার
Published: 17th, June 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি ছোড়ার ঘটনায় করা হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর শুক্রাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।
এর আগে, একই মামলায় গত ১৫ মে সাবেক মেয়রের আরেকজন ঘনিষ্ঠ প্রতিনিধি এস এম কামাল হায়দারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান সমকালকে জানান, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ধানমন্ডির জিগাতলা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে আব্দুল্লাহ সিদ্দিক নামে এক আন্দোলনকারী নিহত হন। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়, যার তদন্ত করছে সিআইডি ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ বিভাগ।
তদন্তে উঠে আসে, খোরশেদ আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে হামলায় নেতৃত্ব দেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ছাত্র-জনতার ওপর হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। খোরশেদ আলম সাবেক মেয়র তাপসের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত এবং আন্দোলন দমন কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের বিরুদ্ধে শেয়ার কারসাজির মামলা
শেয়ার কারসাজি করে প্রায় ২৫৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ক্রিকেটার ও মাগুরার সাবেক এমপি সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলাটি করেন।
অন্য আসামিরা হলেন- সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের ওরফে হিরু, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, খিলগাঁওয়ের আবুল কালাম মাদবর, তার মেয়ে কনিকা আফরোজ, ছেলে মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, শরীয়তপুরের নড়িয়ার আলেয়া বেগম, কাজি ফুয়াদ হাসান, কাজি ফরিদ হাসান, মাগুরা পৌরসভার শিরিন আক্তার, ঢাকার গুলশানের জাভেদ এ মতিন, চাঁদপুরের মিরপুর উপজেলার জাহেদ কামাল, যশোরের শার্শা উপজেলার মো. হুমায়ূন কবির ও ঢাকার কেরাণীগঞ্জের তানভীর নিজাম।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দ্রুত সময়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত প্রচলিত আইন ও বিধি পরিকল্পিতভাবে লঙ্ঘন করেছেন। নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিও অ্যাকাউন্টগুলোতে অবৈধ উপায়ে ফটকা ব্যবসার মতো সিরিজ লেনদেন, প্রতারণামূলক ট্রেডিং, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বাজারকে প্রভাবিত করেছেন। পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ার সংঘবদ্ধভাবে ক্রমাগত ক্রয়-বিক্রয় করে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়েছেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওই শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করে তাদের ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা অস্বাভাবিক রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থ শেয়ারবাজার থেকে সংঘবদ্ধভাবে উত্তোলন করেন। আসামি আবুল খায়ের কর্তৃক তার স্ত্রী সাদিয়ার সহায়তায় ক্যাপিটাল গেইনের নামে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থের ২৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার টাকার উৎস গোপনের অভিপ্রায়ে লেয়ারিং করে বিভিন্ন খাতে স্থানান্তর করেন। আবুল খায়েরের ১৭টি ব্যাংক হিসাবে ৫৪২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার টাকার অস্বাভাবিক, অযৌক্তিক এবং সন্দেহজনক প্রকৃতির লেনদেন করা হয়।
সাকিব আল হাসানের অপরাধ: এজাহারে বলা হয়, আসামি আবুল খায়ের কর্তৃক শেয়ারবাজারে কারসাজিকৃত প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স এবং সোনালী পেপারসের শেয়ারে সাকিব আল হাসান বিনিয়োগ করে বাজার কারসাজিতে যোগসাজশ করেছেন। তিনি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কারসাজিকৃত শেয়ারে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করে তাদের ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে অপরাধলব্ধ আয় হিসেবে শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এর আগে গত এপ্রিলে সাকিবে বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে জন্য দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।