মেজর লিগ ক্রিকেটে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৪৯ বলের ঝড়ো অপরাজিত ১০৬ রানের সেঞ্চুরিতে ওয়াশিংটন ফ্রিডম ১১৩ রানের বড় জয় পেয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্সের (এলএকেআর) বিপক্ষে। ইনিংসের শুরুতে চাপে পড়ে গেলেও ছয় নম্বরে নেমে একাই ম্যাচের চিত্র বদলে দেন ম্যাক্সওয়েল। তার ব্যাটে ভর করেই ওয়াশিংটন ৫ উইকেটে ২০৮ রান পর্যন্ত যেতে পারে। এরপর বল হাতে চেপে ধরে প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দেয় মাত্র ৯৫ রানে।

এটি ছিল ওয়াশিংটনের তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় জয়। এই জয়ে তারা পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে, লস অ্যাঞ্জেরেলস এখনো জয়বিহীন। তিন ম্যাচের তিনতেই হেরে পাঁচ নম্বরে রয়েছে। নেট রান রেটের দয়ায় কেবল তলানি থেকে উপরে আছে।

আগে ব্যাট করতে নেমে ওয়াশিংটন ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে। সেখান থেকেই ছক্কা-চারের ঝড় তোলেন ম্যাক্সওয়েল। ১৩টি ছক্কা আর ২টি চারে তুলে নেন নিজের অষ্টম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। এই ইনিংসটি হয়ে রইল টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সপ্তম শতক। শেষ ১০ ওভারে তার একার হাতেই দল তুলেছে ১২৪ রান! তার সাথে সঙ্গ দিয়ে গেছেন মার্ক চ্যাপম্যান (১৭ বলে ২১) ও ওবাস পিয়েনার (১৫ বলে অপরাজিত ১৪)। তাতে ২০৮ রান তুলতে পারে ওয়াশিংটন।

আরো পড়ুন:

আবারো নব্বইয়ের ঘরে আউট লিটন

টেস্ট হয়ে যাচ্ছে চার দিনের!

কর্নে ড্রাই ও তানভীর সাঙ্গা ২টি করে উইকেট নেন।

জবাব দিতে নেমে লস অ্যাঞ্জেলেস ইনিংস শুরুই করে দুঃস্বপ্নের মতো। অ্যালেক্স হেলস, সুনীল নারিন ও উন্মুক্ত চাঁদ তিনজনই ফেরেন ‘ডাক’ মেরে। টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ইতিহাসে এমন ঘটনা চতুর্থবারের মতো ঘটল, যেখানে ওপেনার ও তিন নম্বর ব্যাটসম্যান একসাথে রানের খাতা না খুলেই ফিরলেন।

মাঝে সাইফ বাদার (৩২) ও অধিনায়ক জেসন হোল্ডার (২৩) কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও হারের ব্যবধান ১০০ রানের নিচে নামাতে পারেননি।

বল হাতে ওয়াশিংটনের জ্যাক এডওয়ার্ডস ছিলেন বিধ্বংসী। তিনি ফিরিয়েছেন চাঁদ, পাওয়েল ও হোল্ডারকে। তিনটি উইকেট নেন মিচেল ওয়েনও। অন্যদিকে, ম্যাচের শুরু ও শেষ উইকেট তুলে নিয়ে সৌরভ নেত্রাভালকারও রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাতে লস অ্যাঞ্জেলেসের ইনিংস শেষ হয় ১৬.

৩ ওভারে মাত্র ৯৫ রানে।

সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচসেরা হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ম য ক সওয় ল লস অ য ঞ জ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

বরগুনায় সমন্বয়ক পরিচয়ে দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে মারধর 

বরগুনায় সমন্বয় পরিচয়ে দোকানে ঢুকে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অন্য ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে ফেলেন।

শনিবার (২ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বরগুনা পৌর শহরের বিবি সড়কের একটি কাপড়ের দোকানে এ হামলা হয়। 

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. জসিম বরগুনা শহরের লেডিস পয়েন্ট নামের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক। 

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, জসিমের শিশু সন্তানের সঙ্গে ইয়াসমিন তানিয়া নামের এক পথচারী নারীর ধাক্কা লাগে। এতে জসিমের শিশুসন্তান ছিটকে পড়ে যায়। এ নিয়ে জসিম এবং ওই নারী মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে ডাকেন বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। 

এ সময় সেখানে সমন্বয়ক পরিচয়ে লোকজন নিয়ে উপস্থিত হন ইয়াসমিন তানিয়ার ছেলে সিনহা রহমান। উভয় পক্ষের কথোপকথনের একপর্যায়ে সিনহা জসিমের ওপর হামলা করেন। এ সময় অন্য ব্যবসায়ীরা বাধা দিতে আসলে তাদেরকেও মারধর করার হুমকি দেন সিনহা। এতে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করেন।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. জসিম বলেছেন, “আমি আমার সন্তানকে নিয়ে খাবার কিনতে যাচ্ছিলাম। এ সময় এক পথচারী নারী আমার সন্তানকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় ওই নারী কোনো প্রকার সহানুভূতি না দেখিয়ে উল্টো বলেন, দেখে হাঁটতে পারেন না। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডার পর যে যার মতো চলে যাই। পরে ওই নারী তার ছেলেকে জানালে বিষয়টির মীমাংসা করতে আমাকে ডাকেন বস্ত্র ব্যবসয়ী সমিতির নেতারা। সেখানে উপস্থিত হলে সবার সামনেই আমাকে মারধর করেন নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করা সিনহা। আমি এ হামলার বিচার চাই।”  

এ বিষয়ে বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন আর রশিদ বলেছেন, “জসিমের সঙ্গে এক নারী পথচারীর বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার একপর্যায়ে ওই নারীর ছেলে সিনহা ও সঙ্গে থাকা আরেক ছেলে দোকানে উঠে জসিমকে মারধর শুরু করে। এ সময় আমরা তাদেরকে থামাই। সিনহা আমাদেরকেও মারধর করার হুমকি দেন। আমাদের গালিগালাজ করতে করতে বলেন, ‘তোরা আওয়ামী লীগের দালাল, আমরা আন্দোলন করে তোদের বিদায় করেছি।’ এ ঘটনার পরপরই ব্যবসায়ীরা সকল দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ ঘটনায় উপযুক্ত বিচার না হলে আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।”

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াকুব হোসাইন রাইজিংবিডি ডটকমকে জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/ইমরান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ