বিএনপি কার্যালয়ে আ’লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পোস্টার
Published: 23rd, June 2025 GMT
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাঁটানো হয়েছে পোস্টার। আজ সোমবার সকালে স্থানীয়দের নজরে আসার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরপর বিষয়টি বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে পৌঁছালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, রাতের আঁধারে পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু কর্মী তাদের কার্যালয়ের দেয়ালসহ আশপাশের এলাকায় এসব পোস্টার লাগিয়েছে। এতে দলীয়ভাবে তারা চরম অপমানিত ও ক্ষুব্ধ বোধ করছেন।
বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, পোস্টার লাগানোতে কোনো প্রতিহিংসার বিষয় নেই।
উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আলী ইমাম ইনোকি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী। বিএনপির প্রতি শুভেচ্ছা জানাতেই তাদের কার্যালয়ে পোস্টার লাগানো হয়েছে ‘
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক শাহিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পোস্টার লাগিয়ে আমাদের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানাই।’
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পোস্টারগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে সেগুলোর কোনো অস্তিত্ব আর নেই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ব এনপ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
আইএমএফের দুই কিস্তির ১৩০ কোটি ডলার মিলবে দু-এক দিনের মধ্যে
বাংলাদেশের জন্য চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব অনুমোদনে করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের সভায় এ অনুমোদন করা হয়। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে একসঙ্গে দুই কিস্তির ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার বাংলাদেশ পাবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা দিতে ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করা হয়। চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যাওয়া, টাকার দরপতন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ওই সময় আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে বর্ধিত ঋণ সহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ রয়েছে ১৪০ কোটি ডলার। আরএসএফ হলো আইএমএফের একটি নতুন তহবিল, যেখান থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকেই প্রথম ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে। তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার। ১৩০ কোটি পাওয়া গেলে ১০৯ কোটি ডলার বাকি থাকবে। তবে এ কর্মসূচির সঙ্গে নতুন করে প্রায় ৭৬ কোটি যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ গত বছরের ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা থাকলেও শর্ত পরিপালন নিয়ে, বিশেষত টাকা-ডলার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এপ্রিলে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় ঢাকায় আসে। তবে সমঝোতা না হওয়ায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় আটকে যায়। এর পর ওয়াশিংটনে ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হয়।
সবশেষ গত মাসে এ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কয়েকটি ভার্চুয়াল বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১২ মে দুই পক্ষ চূড়ান্ত সমঝোতা হয় এবং বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে বাংলাদেশ। ১৪ মে আইএমএফ জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং পর্ষদ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে জুনে।